অ্যাডভান্টেজ ভারত, লাদাখ সংঘাতের মাঝে রাশিয়ার বড় ধাক্কা চিনকে! এস-৪০০ মিসাইল পাবে না বেজিং
এখনই চিনকে দেওয়া হবে না এস ৪০০ মিসাইল। পরে কখন তা তাদের হাতে তুলে দেওয়া হবে তা নিয়েও কোনও স্পষ্ট বার্তা দেয়নি রাশিয়া। এর আগে ভারতকে এই মিসাইলসিস্টেম দ্রুত দেওয়ার বিষয়ে রাশিয়া সম্মত হলে তা নিয়ে আপত্তি তুলেছিল চিন। কারণ রাশিয়া থেকে লাদাখের জন্যে তারাও একই অস্ত্র কিনেছিল। তবে এখন দেখা যাচ্ছে চিনের হাতে সেই অস্ত্র আর পৌঁছাবে না।
মিসাইল নিয়ে ভারতের বড় দান
কয়েকদিন আগেই তিনদিনের সফরে রাশিয়া গিয়েছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। বর্তমান ভারত-চিন উত্তপ্ত পরিস্থিতি মাথায় রেখে তাঁর এই সফরে মস্কো থেকে এস-৪০০ ট্রায়ামফ দীর্ঘ পরিসীমার ভূমি থেকে বায়ু মিসাইল সিস্টেম দ্রুত অর্জন করার উপর বিশেষ জোর দেওয়া হয় এই সফরকালে। আর এর ফল হাতেনাতে পেল ভারত। সব বিলম্ব, বাধা দূর করে শীঘ্রই দেশে আসতে চলেছে এই অত্যাধুনিক মিসাইল সিস্টেম।
বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র রাশিয়ার এস-৪০০
বর্তমান সময়ের বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র রাশিয়ার এস-৪০০ মিসাইল। এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা প্রাথমিকভাবে ২০২০ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৩ সালের এপ্রিলের মধ্যে ভারতে আসার কথা ছিল। কিন্তু, চলতি বছরের গোড়ায় নয়াদিল্লির রুশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ভারতে আসতে আসতে অন্তত ২০২৫ সাল হবে। এই দেরির কারণ হিসাবে বলা হয়, সমগ্র বিশ্বে এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার চুক্তিমূল্য ১৬০০ কোটি ডলার পেরিয়ে গিয়েছে। তবে সম্প্রতি রাজনাথ সিংয়ের রাশিয়া সফরে ফল মিলেছে। ভারতে দ্রুত আসতে চলেছে এই মিসাইল সিস্টেম।
মাঝখানে মিসাইল চুক্তি আটকে গিয়েছিল
২০১৮ সালে নয়াদিল্লিতে দ্বিপাক্ষিক সামিটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে ৫.৪ বিলিয়ন ডলারের মিসাইল চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়। তবে ২০১৮ সালেই সিএএটিএসএএ আইন কার্যকর হয় আমেরিকায়। নিজেদের প্রতিপক্ষদের প্রতিহত করতে এই আইনকে হাতিয়ার করে রাশিয়া, ইরান এবং উত্তর কোরিয়ার প্রতিরক্ষা সংস্থাগুলির সঙ্গে ব্যবসা করা দেশগুলিকে লক্ষ্য করে আমেরিকার প্রশাসন।
পঞ্চম প্রযুক্তির যুদ্ধ বিমান ধ্বংস করতে পারে এস-৪০০
৪০০ কিলোমিটারের মধ্যে থাকা আকাশে ভাসমান কোনও বস্তুকে অব্যর্থ ভাবে নিজের শিকার বানাতে পারে এস-৪০০। বর্তমান সময়ের বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র রাশিয়ার এস-৪০০ মিসাইল। ল্যান্ড টু এয়ার ডিফেন্স মিসাইল হিসাবে এই মিসাইলের খ্যাতি রয়েছে বিশ্বজোড়া। এটি পঞ্চম প্রযুক্তির যুদ্ধ বিমানগুলিকে ধ্বংস করতে পারে অনায়াসে।
রাশিয়ার কাছে বড় ধাক্কা খেল চিন
ভারতের আগে এই প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম শুধু রাশিয়া আর চিনই ব্যবহার করত। ২০১৪ সালে এই প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কিনেছিল চিন। 'এস-৪০০' ক্ষেপণাস্ত্রটি 'এস-৩০০' ক্ষেপণাস্ত্রের আধুনিক সংস্কার। এই প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কিনতে ভারত রাশিয়ার সঙ্গে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকার চুক্তি করেছে। তবে এবার নয়া এস ৪০০ কেনার বিষয়ে চিন বড় ধাক্কা খেল রাশিয়ার কাছ থেকে। প্রসঙ্গত, রাশিয়ার তরফে এই ঘোষণা করার আগে বেজিংয়ের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ জানিয়েছিল মস্কো।
সম্প্রদায়ের অস্তিত্ব বাঁচাতে ৬০ হাজার কোভিশিল্ড প্রতিষেধক আলাদা করে রাখতে চান সিরামের পারসি কর্ণধার