ফের উত্তপ্ত আর্মেনিয়া-আজারবাইজান সীমান্ত! এক রাতে মৃত্যু ১০০ সেনার
ফের উত্তপ্ত আর্মেনিয়া-আজারবাইজান সীমান্ত! এক রাতে মৃত্যু ১০০ সেনার
রাশিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার সময় থেকেই দুদেশের মধ্যে বিতর্কিত অঞ্চল নগোর্না-কারাবাখ। যা নিয়ে মাঝে মধ্যেই আর্মেনিয়া আর আজারবাইজানের যুদ্ধ হয়। ২০২০ সালের যুদ্ধের পরে মঙ্গলবার সব থেকে খারাপ পরিস্থিতি দু দেশের যুদ্ধে। এখনও পর্যন্ত ১০০ জন সেনার প্রাণ হারানোর খবর পাওয়া গিয়েছে। এব্যাপারে কার্যত রাশিয়ার মধ্যস্থতাও ব্যর্থ হয়েছে।
আর্মেনিয়ার দিকে অভিযোগ
আজারবাইজানের তরফে অভিযোগ তুলে বলা হয়েছে, আর্মেনিয়ার উস্কানির ফলে অন্তত ৫০ জন আজারবাইজানীয় সৈন্য মারা গিয়েছে। এর আগে অবশ্য আর্মেনিয়া তাদের প্রায় ৫০ জন সেনার মৃত্যুর খবর দিয়েছে। এক রাতের সংঘর্ষের পরে আজারবাইজান আর্মেনিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ বিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে। তারপর থেকেই দুদেশের মধ্যে সংঘাত ফের তীব্র হতে পারে বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।
ভারসাম্য রক্ষা করে এসেছে রাশিয়া
আজারবাইজানের
তরফে
আর্মেনিয়াকে
দাশকেসান,
কেলবাজর
এবং
লাচিনে
নাশকতামূলক
কর্মকাণ্ডের
জন্য
অভিযুক্ত
করেছে।
তারা
বলছে
আর্মেনিয়ার
সশস্ত্র
বাহিনী
তাদের
অবস্থানগুলিকে
লক্ষ্য
করে
গুলি
চালিয়েছে।
১৯৯০
থেকে
২০২০-র
মধ্যে
দুদেশের
যুদ্ধে
বহু
প্রাণ
গিয়েছে।
১৯৯১
সালে
সোভিয়েত
ইউনিয়নের
পতন
হলে
নাগর্নো-কারাবাখ
নিয়ে
জাতিগত
যুদ্ধে
প্রায়
৩০
হাজার
মানুষের
প্রাণ
গিয়েছে।
আর্মেনিয়া-আজারবাইজানের
মধ্যে
চুক্তিও
হয়েছে
এর
আগে।
যার
ভিত্তিতে
আর্মেনিয়া
কয়েক
দশক
ধরে
তাদের
নিয়ন্ত্রণে
থাকা
ভূখণ্ড
ছেড়েও
দেয়।
অন্যদিকে
মস্কো
দুদেশের
যুদ্ধবিরতির
পর্যবেক্ষণে
২
হাজার
সেনাও
মোতায়েন
করে।
যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পরেও যুদ্ধ
রাশিয়ার মধ্যস্থতায় দু দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হলেও, তা ছিল কয়েক ঘন্টার জন্য। এর মধ্যে আর্মেনিয়া কামান ও ভারী অস্ত্র নিয়ে আজারবাইজানের ওপরে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরে আর্মেনিয়া অভিযোগ করেছিল আজারবাইজান তাদের ভূখণ্ড দখলের চেষ্টা করছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন উভয় দেশের নেতাদের বৈঠক ডেকেছেন। পাশাপাশি যুদ্ধ বন্ধ এবম মীমাংসার জন্য আমেরিকা চাপ দেবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট যুদ্ধবিরতিতে ফেরার আহ্বান জানিয়েছেন। যদিও এর আগে আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ান ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলেছেন। পাশাপাশি তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট এবং আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আজারবাইজানের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছিলেন।
শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের আহ্বান
উভয় দেশের সীমান্তে রয়েছে ইরান। তারা শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানিয়েছে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এবং রাষ্ট্রসংঘও এই উদ্বেগ প্রকাশ করে , যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান করেছে। যুদ্ধবিরতি ঘোষণার আগে আর্মেনিয়ার তরফে মস্কোর কাছে সামরিক সাহায্য প্রার্থনা করা হয়েছিল। অন্যদিকে আজারবাইজান কারাবাখকে তাদের দেশের অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে আর্মেনিয়াকে বাধ্য করতে চায়। কিন্তু রাশিয়ার ইউক্রেনে হামলা এই অঞ্চলের শান্তির ভারসাম্য বদলে দিয়েছে।
প্রতীকী ছবি
আফগানিস্তানে নয় পাকিস্তানেই লুকিয়ে আছে মাসুদ আজহার, পাক চিঠির পাল্টা উত্তর তালিবানের