শরীরে রক্তজমাট বেঁধেই কি করোনা রোগীদের মৃত্যু হচ্ছে! কোন ভয়াবহ তথ্য প্রকাশ্যে এল
করোনা ভাইরাস নির্মূলে ভ্যাকসিন নিয়ে রীতিমতো আশার আলো গোটা দুনিয়ায়। অক্সফোর্ডে যে ভ্যাকসিন তৈরি হচ্ছে, তা নিয়ে রীতিমতো গবেষণা এগিয়ে যাচ্ছে, অন্যদিকে, এই রোগ ঘিরে একের পর এক উপসর্গ বিভিন্ন রকমের উদ্বেগে রেখেছে মানব সভ্যতাকে। এবার প্রশ্ন করোনা রোগীদের কি রক্তজমাট বেঁধেই মৃত্যু হচ্ছে? উত্তরে যা জানা গেল।
রক্ত জমাট ও আশঙ্কা
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শরীরের কোনও জায়গাতেই রক্ত জনাট বাঁধা ভাল লক্ষণ নয়। রক্ত জমাট বাঁধলেই চলাচলের রাস্তা বন্ধ হবে। যার প্রভাব শিরায় পড়বে। এর ফলে স্ট্রোকএর মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। থ্রম্বাস ভেঙে অনেক সময় শরীরের বিভিন্ন অংশে তলে যেতে পারে রক্ত জমাচ বাঁধলে। এটা ফুসফুস , কিডনি, আর হৃদযন্তের গেলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়।
সমস্যা কোথায় তৈরি হচ্ছে?
ভাইরাস সংক্রমণ রুখতে অকাধিক ব্যবস্থাপনা র ওপর নির্ভর করেন চিকিৎসকরা। মনে করা হচ্ছে, ডি-ডিমার নামের একটি পদ্ধতি যদি করোনা রোগীর দেহে প্রয়োগ করা হয়, তাহলেই সমস্যা গাঢ় হবে। এর থেকে বিভিন্নভাবে থ্রম্বোসিস হয়ে যেতে পারে।
চিকিৎসা ঘিরে উদ্বেগ
করোনা যে ফুসফুসের সংক্রমনের সঙ্গে দেহে রক্ত জমাট বাঁধাচ্ছে , তা বহু রোগীর দেহে লক্ষ্য় করেছেন চিকিৎসকরা। কোভিডের যেরে একটি জমাট বাঁধা রক্ত শরীরে সাইটোকাইন স্টর্ম তৈরি করে। যা শরীরের কোষগুলিকে নষ্ট করে দিতে সমর্থ। একটি নয়া রিপোর্ট বলছে, ১০৬ জনের মধ্য়ে ৩০ শতাংশই এমন করোনারোগী যাঁরা এই সমস্যায় ভোগেন।
কোন এলাকার রোগীদের বিপদ বাড়ছে?
রিপোর্ট বলছে, ককেশিয়ানদের মধ্যে করোনার সংক্রমণে রক্ত জমাট বাঁধার প্রক্রিয়া বেশি পরিলক্ষিত হয়েছে। তবে , চিনের বাসিন্দাদের ক্ষেত্রে সেই বিপদ খানিকটা কম বলে দেখা গিয়েছে রিপোর্টে। তবে ডি -ডিমার ভাইরাস রোখার ক্ষেত্রে সাফল্য এনে দিলেও বহু রোগীকে করোনা ভাইরাসের থেকেও বেশি ক্ষতি করেছে।