জাতিসংঘের রিপোর্টের প্রেক্ষিতে পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদের ‘কেন্দ্রবিন্দু’ বলে তোপ ভারতের
সন্ত্রাসবাদের বাড়বাড়ন্ত নিয়ে এবার আবারও ইসলামাবাদকে এক হাত নিতে দেখা গেল নয়া দিল্লিকে। পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদের 'কেন্দ্রবিন্দু’ বলে তুলোধোনা করলেন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব। সম্প্রতি পাকিস্তানের মাটিতে জঙ্গি কার্যকলাপ বৃদ্ধি নিয়ে জাতিসংঘের একটি রিপোর্টের বিরোধিতা করতে দেখা যায় পাকিস্তানকে। এই প্রসঙ্গে গত ৪ঠা জুন পাক বিদেশমন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতিও দিতে দেখা যায়।
ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে তোপ অনুরাগ শ্রীবাস্তবের
এবার পাক রাষ্ট্র নেতাদের সেই মন্তব্যের বিরুদ্ধেই আওয়াজ তুলতে দেখা গেল ভারতকে। সম্প্রতি পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদ বাড়বাড়ন্ত নিয়ে একটি রিপোর্ট পেশ করে জাতিসংঘের একটি পর্যবেক্ষক দল। এরপরেই জাতিসংঘের দাবিকে নস্যাৎ করতে মাঠে নামেন পাক নেতারা। যদিও পাকিস্তানের মাটিকে ব্যবহার করেই যে পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদীরা অন্যান্য দেশে জঙ্গি নাশকতা চালাচ্ছে সে বিষয়ে ওই সমস্ত পাক নেতাই অবগত বলে তোপ দাগতে দেখা যায় অনুরাগ শ্রীবাস্তব।
পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্রবিন্দু
ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র এই প্রসঙ্গে আরও বলেন, " জাতিসংঘের দিকে আঙুল তোলার বদলে পাকিস্তানের উচিত নিজের আত্মসমালোচনা করা। পাশাপাশি দেশের মধ্যে থাকা যে কোনও অঞ্চলেই সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন বন্ধ করা উচিত। পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্রবিন্দু। পাকিস্তানের এই বাস্তবতার সাথে জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক মহল ভালোভাবেই অবগত।"
৩০ থেকে ৪০ হাজার জঙ্গি পুষছে পাকিস্তান
পাক বিদেশ মন্ত্রকের ওই বিবৃতি প্রসঙ্গে অনুরাগ গত বছরের অপর একটি প্রসঙ্গেরও অবতারণা করেন। তিনি বলে, "পাক বিদেশ মন্ত্রক যদি একটা বিষয় মনে করতে পারে তবে খুব ভালো হয়। গত বছর তাদের প্রধানমন্ত্রী স্বীকার করেছিলেন পাকিস্তান ৩০ থেকে ৪০ হাজার সন্ত্রাসবাদীদের পুষছে। পাক নেতাদের নিশ্চয় মনে আছে অতীতেও অন্যান্য দেশের উপ হামলা চালানোর সময় পাকিস্তানের মাটিকেই ব্যবহার করেছিল সন্ত্রাসীরা।" যদিও পাকিস্তানের ‘নিন্দা' করার জন্যই ভারত জাতিসংঘের রিপোর্টের অপব্যাখা করছে বলে পাক বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বলা হয়।
কি আছে জাতিসংঘের রিপোর্টে ?
গত মাসে জাতিসংঘের তরফে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন বলা আফগানিস্তানে থাকা ভিন দেশের সন্ত্রাসীদের মধ্যে প্রায় সাড়ে ছয় হাজার জঙ্গি পাকিস্তানের। তাদের কাছে পাকিস্তানের পরিচয়পত্র রয়েছে। একইসাথে জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মোহাম্মদ (জেএম) ও লস্কর-ই-তৈবা (এলইটি) এই সমস্ত সন্ত্রাসীদের পাকিস্তান তেকে আফগানিস্তানে আনার ক্ষেত্রে সহায়তা করে বলেও জাতিসংঘের রিপোর্টে বলা হয়।
কি বলেছিলেন ইমরান খান ?
এদিকে ২০১৯ সালে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ওয়াশিংটনের ইউএস ইন্সটিটিউট অফ পিসে বক্তৃতা দেওয়ার সময় এই বক্তব্য রাখেন বলে জানা যায়। সেখানে তাকে স্পষ্টতই বলতে শোনা যায় পাকিস্তানে এখনও ৩০ হাজার থেকে ৪০ হাজার জঙ্গি রয়েছে। যাদের মধ্যে বেশিরভাগই আফগানিস্তান বা কাশ্মীরের কিছু অংশে প্রশিক্ষণ পেয়েছে এবং সেখানেই লড়াইয়ে আছে বিভিন্ন সময়।