সিএএ বিরোধী প্রতিবাদ থেকে দিল্লির হিংসা, পাকিস্তান যোগ, দাবি গোয়েন্দাদের
দেশজুড়ে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে যে প্রতিবাদ–আন্দোলনের ঝড় উঠেছিল তার নেপথ্যে পাক যোগ রয়েছে বলে প্রমাণ পেয়েছে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা। সরকারের কাছে নির্দিষ্ট প্রমাণ রয়েছে, যে দেশজুড়ে সিএএ নিয়ে যে আন্দোলনের সূচনা হয়েছে তা পাকিস্তানের নির্দেশে অর্থের বিনিময়ে হয়েছে। এমনকি জেনেভাতে রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার কাউন্সিলে ইসলামাবাদ ২০০২ সালের গুজরাতের হিংসাত্মক ঘটনার সঙ্গে দিল্লির সাম্প্রদায়িক অশান্তির তুলনাও করেছে।
দিল্লি হিংসায় রয়েছে পাক যোগ
ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থারা সম্প্রতি ক্রস-কান্ট্রি ইলেকট্রনিক চ্যাটার নামে এক পদ্ধতির প্রয়োগ করেছে যেখানে পাকিস্তানিরা ৩ ও ৪ মার্চ আয়োজিত হওয়া সিএএ-বিরোধী আন্দোলনে প্রচুর পরিমাণ মানুষ জমায়েত না করতে পারার জন্য তাদের অর্থ দিয়ে পোষা মদতকারীদের গাল-মন্দ করছে। সেরকমই একটি ফোনের মাধ্যমে জানা গিয়েছে যে পাকিস্তানের হ্যান্ডলার তার মদতকারী কর্মীকে অভিশাপ দিচ্ছে এবং তাকে বলছে যে জমায়েত না হওয়ার বিষয়টি তার উচ্চতর আধিকারিকে ব্যাখা করতে হবে। এই ফোনের গলার আওয়াজ স্পষ্ট হলেও ফোনের দুই প্রান্তে থাকা বক্তার পরিচয় সামনে আনা হয়নি।
দিল্লির হিংসাকে কাজে লাগিয়ে চরমপন্থী তৈরি
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছে, দিল্লির হিংসাত্মক ঘটনা যখন ঘটছে তখন এটা স্বাভাবিক যে পাকিস্তান ও তাদের বন্ধু দেশগুলি চেষ্টা করবে উত্তর ভারতের যুব মুসলিমদের চরমপন্থী তৈরি করতে এবং ভিডিও ও বক্তব্যের মধ্য দিয়ে মোদী সরকারের বিরোধিতা করার জন্য উদ্বুদ্ধ করবে। ২০০২ সালে গুজরাতের হিংসাত্মক ঘটনার সময়ও একই ধরনের উদ্দেশ্য সামনে এসেছিল। বিশেষজ্ঞরা আরও জানায়, ইরান ও তুরস্কের মতো দেশগুলি ইসলামাবাদকে সহায়তা করার কারণ হল এই ইসলাম দেশগুলি চায় বিশ্বে শিয়া ও সুন্নি নেতৃত্ব গড়ে উঠুক। যেমন রাওয়ালপিন্ডির জিএইচকিউ মাছ ভারতের জলে সমস্যা তৈরি করেছে, তেমনি এনডিএ সরকার দ্বারা মুসলিম হত্যা ও নিপীড়নের কথা বলে জাতিপুঞ্জের সংস্থাগুলিতে ভারতকে বদনাম করার বিষয়টিও সমালোচিত হয়েছে। যদিও ইমরান খানের সরকার তাদের অভিযোগে কোনও সময়ই সিএএ শব্দটির প্রয়োগ করেনি। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যেহেতু আইনটি কেবলমাত্র প্রতিবেশী অন্যান্য দেশগুলির মধ্যে পাকিস্তানেও নির্যাতিত সংখ্যালঘুদের সহায়তা করার জন্যই তৈরি করা হয়েছে।
ভারতের নিন্দা রাষ্ট্রপুঞ্জে
এর পাশাপাশি জেনেভাতে চলা রাষ্ট্রপুঞ্জে মানবাধিকার কাউন্সিলের বৈঠকে মুসলিম সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে কাজ করার জন্য ভারতকে অপমান করার একটা সুযোগও ছাড়েনি পাকিস্তান। অথচ পাকিস্তান বালোস, পাশতুন ও আহমেদিয়াতে সংখ্যালঘুদের ওপর নিজের নির্যাতনের বিষয়ে মুখ খোলেনি। অথচ এরজন্য প্রায় রোজ জেনেভায় মানবাধিকার কাউন্সিলের অফিসের বাইরে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হচ্ছে।