বিশ্বজুড়ে ওমিক্রন দাপাচ্ছে, শীত খুব একটা সুখের হবে না’ সতর্কবার্তা অ্যান্টনি ফাউসির
এই শীতের আমেজ খুব একটা ভালোভাবে কাটবে না
ওমিক্রন নিয়ে ক্রমশই বাড়ছে আতঙ্ক। প্রতিনিয়ত বিশ্বজুড়ে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এই শীতের আমেজ খুব একটা ভালোভাবে কাটবে না। করোনার নতুন প্রজাতি ওমিক্রন আতঙ্কের মধ্যে এমনই সতর্কবার্তা দিলেন মার্কিন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অ্যান্টনি ফাউসি। নতুন করে এবিষয়ে সতর্কবার্তা দিলেন তিনি।
ওমিক্রন নিয়ে মার্কিন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ কী জানালেন
মার্কিন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অ্যান্টনি ফাউসি বলেন, এই শীতে বিশ্বাবাসীক কঠোরভাবে বিধি-নিষেধ মেনে চলার বার্তা দিয়েছেন তিনি। অপরদিকে, হাসপাতালগুলির পরিস্থিতি নিয়ে বেশ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। 'একটা বিষয় স্পষ্ট যে, ওমিক্রন নজিরবিহীন গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে, গোটা বিশ্ব জুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ওমিক্রন।'
ওমিক্রন নিয়ে ফাউসি বলেন?
করোনাভাইরাসের নয়া প্রজাতি ওমিক্রন নিয়ে ইতিবাচক ধারণা না রাখাই ভালো। বিশ্বজুড়ে ওমিক্রনের আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। তিনি প্রাথমিক অনুমান করে বলেন এই ওমিক্রন দক্ষিণআফ্রিকা থেকে এসেছে। কিন্তু সেখানকার বাসিন্দাদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে তাঁরা ওমিক্রন আক্রান্তের হসপিটালে ভর্তি করার প্রবণতা কম। ডেল্টার থেকে এই ভাইরাস বেশি সংক্রমিত।
১-২ সপ্তাহের মধ্যে আমেরিকায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়বে
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ অ্যালার্জি এবং সংক্রামক রোগের পরিচালক ফৌসি রবিবার জানান, উপসর্গ যতই কম হোক তাকে এড়িয়ে না যাওয়াই ভালো। যখন একসঙ্গে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়তে থাকবে তখন তাকে সামলানো কঠিন হয়ে পড়বে। ১-২ সপ্তাহের মধ্যে আমেরিকার হসপিটালগুলিতে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়বে। যাদের এখন পর্যন্ত টিকা নেওয়া হয়নি। তাঁরা খুব তাড়াতাড়ি টিকা নিয়ে নিন।
ফাউসি কী দাবি করলেন
ফাউসি
আরও
বলেন,
এই
ভাইরাসের
সাথে
প্রায়
দুই
বছরের
অভিজ্ঞতা
থেকে
আমরা
যে
একটি
জিনিস
জানি
তা
হল
এটি
সত্যিই
খুব
অপ্রত্যাশিত।
মার্কিন
যুক্তরাষ্ট্র
এবং
জ্বালানী
মুদ্রাস্ফীতির
মুখোমুখি
সরবরাহ
চেইন
চ্যালেঞ্জগুলিকে
আরও
খারাপ
করতে
পারে
এমন
একটি
ঝুঁকি
রয়েছে।
গভর্নর
জ্যারেড
পলিস,
ডি-কলো-
যে
বিডেনের
উচিত
দুটি
শট
ও
একটি
বুস্টার
হিসাবে
টিকা
দেওয়ার
কথা
বলা
বন্ধ
করা
।
এর
পরিবর্তে
এটিকে
তিন
ডোজ
বলা
উচিত
যা
সুরক্ষা
সর্বাধিক
করার
জন্য
প্রয়োজন।
AIIMS প্রধান কি জানালেন
AIIMS সতর্ক করে বলেন ভারতে মোট নয়া প্রজাতির আক্রান্তের সংখ্যা একশো পার করেছে। এই পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অল ইন্ডিয়া ইন্সটিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সের ডিরেক্টর ডঃ রণদীপ গুলেরিয়াও। তিনি বলেন, যে হারে ব্রিটেনে সংক্রমণ বাড়ছে, তা মাথায় রেখে ভারতকে যে কোনও পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুতি নেওয়া উচিত।
সাবধানতার বানী শোনালেন ফাউসি
পলিস
বলেন,
কলোরাডো
গাড়ির
রেজিস্ট্রেশন
ফি
কাটছে
এবং
একটি
নতুন
ব্যবসা
নিবন্ধন
করার
জন্য
বিনামূল্যে
দেওয়ার
চেস্টাও
করছে।
প্রশাসন
সূত্রে
জানা
গিয়েছে,
ক্রমশ
বাড়ছে
ওমিক্রন
আক্রান্তের
সংখ্যা।
ফাউসি
বলেন,
যাদের
এখনও
করোনার
টিকা
নেওয়া
হয়নি।
তাদের
এখনই
করোনার
টিকা
নিতে
হবে।
সবাইকে
খুব
সচেতন
থাকতে
হবে।
মাস্ক
পড়তে
হবে।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি টুইট করে বলেন, ব্রিটেনে মঙ্গলবার COVID-19-এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অবস্থা নিয়ে কথা বলার এবং সহায়তার প্রয়োজনে সম্প্রদায়ের জন্য সরকারী সহায়তা নিয়ে আলোচনা করার পরিকল্পনা করেছেন তিনি। রাষ্ট্রপতি আমেরিকানদের ঝুঁকি সম্পর্কেও সতর্ক করবেন যারা "টিকাহীন থাকতে পছন্দ করেন।"
ফাউসি দাবি করে বলেন,হাসপাতালের জন্য "সার্জ টিম" নিয়ে আলোচনা করবেন এবং বাকি বিশ্বের জন্য ভ্যাকসিন সরবরাহ করা কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা ব্যাখ্যাও তিনি এদিন দিলেন। একটি জিনিস যা খুব স্পষ্ট, এবং এতে কোন সন্দেহ নেই, তা হল ওমিক্রনের ছড়িয়ে পড়ার অসাধারণ ক্ষমতা রয়েছে। এটি খুব সংক্রমিত।
সাকির টুইট করে কী বললেন
ফাউসি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এখন এমন কিছু অঞ্চল রয়েছে যেগুলি ইতিবাচক বিচ্ছিন্নতার কয়েক শতাংশ এগিয়ে। যা এখন ৩০ শতাংশ, ৪০ শতাংশ এবং কিছু জায়গায় ৫০ শতাংশ পর্যন্ত যাচ্ছে। শনিবার টুইটারে সাকির বলেন, ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস লস অ্যাঞ্জেলেস বলেন বিডেনে যখন ডেল্টা ভাইরাস এসেছিল তখন পরিস্থিতি এমন ভয়ানক হয় না। ডেল্টার থেকেও ওমিক্রন বেশি সংক্রমিত। যার গতির ও রূপ ক্রমশই পাল্টাছে।
ভাইস প্রেসিডেন্টের কী জানালেন
ভাইস প্রেসিডেন্টের কথায় মহামারী মোকাবিলায় প্রশাসনের কৌশল নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। বিডেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরে ভ্যাকসিনেশনের অগ্রগতি চিহ্নিত করার জন্য জুলাইয়ে হোয়াইট হাউসে ভাইরাস থেকে বাঁচতে করোনার ভ্যাকসিনের প্রয়োজন। সেই সঙ্গে দরকার বুস্টার শটও।
এখন পর্যন্ত ব্রিটেনে ৮৫% কোভিড-১৯ আক্রান্তের শরীরেই ওমিক্রনের রয়েছে। ব্রিটেন জুড়ে দ্রুত হারে বাড়ছে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা। কয়েকদিনের ব্যাবধানেই দ্বিগুণ হয়ে যাচ্ছে আক্রান্তের সংখ্য়া।