ক্ষমতার জন্য অর্থের চক্রে আটকে গিয়েছে মানুষ, কেজরিওয়ালকে চিঠি আন্না হাজারের
আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে চিঠি লিখলেন দুর্নীতি বিরোধী আন্দোলনকারী আন্না হাজারে। চিঠিতে তিনি লেখেন, অর্থের জন্য ক্ষমতা ও ক্ষমতার জন্য অর্থ এই বৃত্তে সাধারণ মানুষ থেকে রাজনৈতিক দলগুলো আটকে পড়ে গিয়েছে।
দিল্লিতে নয়া আবগারি নীতি বাস্তবায়নের দুর্নীতির অভিযোগে বিজেপি বার বার আপ সরকারকে বিদ্ধ করছে। আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে বর্তমানে আপ সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রী জেলে। এই পরিস্থিতিতে আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে চিঠি লিখলেন দুর্নীতি বিরোধী আন্দোলনকারী আন্না হাজারে। চিঠিতে তিনি লেখেন, অর্থের জন্য ক্ষমতা ও ক্ষমতার জন্য অর্থ এই বৃত্তে সাধারণ মানুষ থেকে রাজনৈতিক দলগুলো আটকে পড়ে গিয়েছে। কিন্তু যে রাজনৈতিক দলের জন্ম একটি আন্দোলন থেকে হয়েছে, তার ক্ষেত্রে এই ধরনের অভিযোগ কখনই মেনে নেওয়া যাওয়া যায় না।
ঠিক যে মুহূর্তে দিল্লি সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে ক্রমেই বিজেপি চাপ বাড়াচ্ছে, সেই সময় অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে লেখা আন্না হাজারের চিঠি প্রকাশ্যে এসেছে। এই চিঠি যে কেজরিও সরকারের ওপর নতুন করে চাপ বাড়াবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আন্না হাজারে চিঠিতে লেখেন, 'একটি আন্দোলন থেকে রাজনৈতিক দল আম আদমি পার্টির জন্ম হয়েছে। এই রাজনৈতিক দল থেকে সাধারণ মানুষের চাহিদা অনেক। কিন্তু বর্তমানে আম আদমি পার্টি অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোকে অনুসরণ করছে। ১০ বছর আগে ২০১২ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে একটি বৈঠক হয়েছিল। বৈঠকে আপ রাজনৈতিক পথ অবলম্বনের কথা বলেছিল। কিন্তু আমাদের লক্ষ্য কোনও রাজনৈতিক দল গঠন করা ছিল না। সেই সময়ে টিম আন্না সম্পর্কে মানুষের মনে একটা বিশ্বাস তৈরি হয়েছিল।'
অন্যদিকে, দিল্লি সরকারের নয়া আবগারি নীতি বাস্তবায়নের দুর্নীতির অভিযোগে মঙ্গলবার গাজিয়াবাদে মনীশ সিসোদিয়ার ব্যাঙ্কের লকারে তল্লাশি চালায় সিবিআই। পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের গাজিয়াবাদ শাখায় মনীশ সিসোদিয়ার লকারে তল্লাশি চালায়। যে কোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মঙ্গলবার সকাল থেকেই কড়া নিরাপত্তায় ব্যাঙ্ক চত্বরটি ঘিরে ফেলা হয়। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ সিবিআই পঞ্জাব ন্যাশনাল শাখায় প্রবেশ করে। তারপরেই তল্লাশি শুরু হয়।
সিবিআই তল্লাশি শেষে মনীশ সিসোদিয়া বলেন, 'গজিয়াবাদের লকারটিতে আমার স্ত্রী ও সন্তানের ৭০ হাজার টাকা মূল্যের গয়না রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আমার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছেন, আমার ব্যাঙ্কের লকারে তল্লাশি চালিয়েছেন। কিন্তু বাড়ি বা ব্যাঙ্কের লকার থেকে কিছুই পাওয়া যায়নি। আমার পরিবার ও আমি এই অভিযানে ক্লিনচিট পেয়েছি।' পাশাপাশি তিনি জানান, প্রতিটি অভিযানের সময় সিবিআইয়ের আধিকারিকরা তাঁর সঙ্গে ভদ্র আচরণ করেছিলেন। তিনি বলেন, 'সিবিআইয়ের আধিকরারিকরা ভালো করে জানতেন, আমার বিরুদ্ধে কোনও তথ্য প্রমাণ পাওয়া যাবে না। প্রধানমন্ত্রীর চাপে আমাকে কয়েক মাসের জন্য জেলে রাখার চেষ্টাতেই এই অভিযানগুলো করেছিলেন।'