বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হু ফাউন্ডেশনের শীর্ষপদের দায়িত্বে ভারতীয় বংশোদ্ভুত অনিল সোনি
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হু ফাউন্ডেশনের শীর্ষপদের দায়িত্বে ভারতীয় বংশোদ্ভুত অনিল সোনি
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অধীনস্ত নতুন দ্য হু ফাউন্ডেশনের সিইও পদে যোগ দিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভুত অনিল সোনি। এই হু ফাউন্ডেশন হু–এর পাশাপাশি বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করবে। আগামী বছর ১ জানুয়ারি থেকে অনিল সোনি দ্য হু ফাউন্ডেশনের উদ্বোধক সিইও হিসাবে কাজের দায়িত্ব নেবেন।
সোমবার
ফাউন্ডেশনের
পক্ষ
থেকে
এক
বিবৃতিতে
বলা
হয়েছে,
'নতুন
এই
ভূমিকায়
সোনি
ফাউন্ডেশনের
উদ্ভাবনী,
প্রমাণ–ভিত্তিক
উদ্যোগগুলিতে
বিনিয়োগের
কাজকে
ত্বরান্বিত
করবে
যা
স্বাস্থ্যকর
জীবন
নিশ্চিত
করতে
এবং
সকলের
মঙ্গল
কামনার
লক্ষ্যে
তার
মিশন
সরবরাহ
করতে
হু–কে
সহায়তা
করে।’
দ্য
হু
ফাউন্ডেশন,
একটি
স্বাধীন
অনুদান–প্রদানকারী
সংস্থা,
যাদের
সদর
দফতর
জেনেভাতে।
২০২০
সালের
মে
মাসে
এর
সূচনা
হয়
হু–এর
পাশাপাশি
কাজ
করার
জন্য
এবং
বিশ্বের
স্বাস্থ্য
চ্যালেঞ্জগুলি
নিয়ে
পর্যবেক্ষণ
ও
তার
থেকে
মুক্তির
উপায়
বের
করার
জন্য।
অনিল
সোনি
ভায়াট্রিস
নামে
একটি
বৈশ্বিক
স্বাস্থ্যসেবা
সংস্থা
থেকে
ফাউন্ডেশনে
যোগদান
করেন,
যেখানে
তিনি
গ্লোবাল
সংক্রমক
রোগের
প্রধান
হিসাবে
দায়িত্ব
পালন
করেছেন।
প্রসঙ্গত এইচআইভি, যক্ষ্মা, ক্যানসারের সঙ্গে লড়াইয়ে বিশ্বজুড়ে কাজ করেছেন অনিল সোনি। তাঁর মাধ্যমেই দুরারোগ্য ব্যাধির প্রতিষেধক পৌঁছে গিয়েছে বিশ্বের কোণায় কোণায়। দ্য হু ফাউন্ডেশনের দায়িত্বও অনিল সোনি অত্যন্ত মনোযোগ সহকারে পালন করবেন বলেই বিশ্বাস হুয়ের। বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্য সঙটকট মোকাবিলা করতে এই সংগঠন অগ্রনী ভূমিকা পালন করবে। হু–এর ডিরেক্টর জেনারেল ডাঃ টেডরস আধানম ঘেব্রেয়েসাস বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যের একজন প্রমাণিত উদ্ভাবক হিসাবে অনিল সোনিকে বর্ণনা করেছিলেন, যিনি এইচআইভি / এইডস এবং অন্যান্য সংক্রমক রোগে আক্রান্ত সম্প্রদায়ের সেবায় দুই দশক অতিবাহিত করেছেন। টেডরস বলেন, 'সোনি ও তাঁর দল যখন ক্লিন্টন হেল্থ অ্যাকসেস ইনিসিয়েটিভের সঙ্গে ইথিওপিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যৌথ উদ্যোগে চিকিৎসার প্রসার ও আমাদের স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পরিচালন শক্তি নিয়ে কাজ করছিলেন, সেই সময় তিনি আমার বিশ্বাস অর্জন করেন। সোনি একজন অনন্য ব্যক্তিত্ব।’ তিনি নিজের দক্ষতা প্রমাণ করেছেন সরকারি ও বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রে এবং তাঁর ফাউন্ডেশনের প্রতি নেতৃত্ব মূল্যমান সমর্থন প্রদান করবে হু–এর মিশনে, কোটি কোটি মানুষ এর ওপরই নির্ভরশীল বলে জানিয়েছেন হু প্রধান।
তাঁর নিয়োগের পর অনিল সোনি জানিয়েছেন যে বিশ্ব জনস্বাস্থ্যের সঙ্কটময় জংশনে দাঁড়িয়ে রয়েছে বিশ্ব। কোভিড–১৯ মহামারির সঙ্গে কয়েক মাস লড়াই করার পর বেশ কিছু সফল ভ্যাকসিন প্রার্থী আশার আলো দেখিয়েছে। এই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের বাইরেও বহু স্বাস্থ্য অগ্রাধিকার সাম্প্রতিক মাসে উপেক্ষিত হয়েছে, যা পুনরুদ্ধার করতে হবে। এইচআইভি চিকিৎসা থেকে ক্যান্সারের চিকিৎসায় বিলম্বিত হওয়া, সবই এবার নজরে আনতে হবে। তিনি আরও জানিয়েছেন, হু ফাউন্ডেশন এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এবং বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যের উন্নয়নে, শক্তিশালী ও প্রাণবন্ত হ–এর মাধ্যমে বিশ্বের প্রত্যেকের জন্য তাদের ভূমিকা নেওয়ার একটি অনন্য নতুন সুযোগের প্রতিনিধিত্ব করবে।
সীসা ও নিকেল কারণ হতে পারে অন্ধ্রপ্রদেশের অজানা রোগের, রিপোর্ট জমা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে