অসুরক্ষিত গুগল প্লে স্টোর? এখান থেকে সবচেয়ে বেশি ম্যালওয়ার ঢুকছে অ্যানড্রয়েডে, বলছে সমীক্ষা
নিজেদের ফোন এবং তার মধ্যে থাকা ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রাখতে সকলেই এখন বেশ তৎপর। কারণ প্রত্যেকের হাতেই স্মার্টফোন। আর এই স্মার্টফোনের সবচেয়ে জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম হল অ্যানড্রয়েড। এতেই সব থেকে বেশি অ্যাপ রয়েছে,অন্যান্য অপারেটিং সিস্টেমের থেকে অ্যাপ ডাউনলোডও করা যায়। এই কারণে এতে ম্যালওয়্যার ও ভাইরাস ঢোকার আশঙ্কা বেশি। এমনটাই জানিয়েছে নর্টনলাইফলক ও মাদ্রিদের আইএমডিইএ সফটওয়্যার ইনস্টিটিউটের গবেষণা।

এক ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে এই গবেষণা। গবেষণার নাম 'হাও ডিড দ্যাট গেট ইন মাই ফোন? আনওয়ান্টেড অ্যাপ ডিস্ট্রিবিউশন অন অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসেস।' এতে জানা গিয়েছে, গুগল প্লে স্টোর দিয়ে অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনে সব থেকে বেশি ম্যালওয়্যার ঢোকে। দেখা যাচ্ছে, অ্যান্ড্রয়েড ফোনে যত ক্ষতিকর অ্যাপ ইনস্টল হয়েছে, তার ৬৭.২ শতাংশ এসেছে গুগল প্লে স্টোর থেকে।
১ কোটি ২০ লক্ষ অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনের ৭০ লক্ষ ৯০ হাজার অ্যাপে গত ৪ মাসের যাবতীয় ডেটা রেকর্ড করে গবেষকরা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন। দেখা যাচ্ছে, ১০ থেকে ২৪ শতাংশ অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারী অন্তত একটি ক্ষতিকর অ্যাপ ডাউনলোড করেছেন।
গবেষকরা এই গুগল প্লের বিকল্প হিসাবে মার্কেট, ওয়েব ব্রাউজার, বাণিজ্যিক পে-পার-ইনস্টল সহ সাতটি অন্য সূত্রের সঙ্গে ডাউনলোডগুলি তুলনা করে দেখেছে। সেখানে দেখা গিয়েছে, অ্যানড্রয়েডে ডাউনলোড হওয়া ৮৭.২ শতাংশ অ্যাপ আসছে গুগল প্লের মাধ্যমে। এখান থেকেই প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে যে ৬৭.৫ শতাংশ ম্যালিসিয়াস অ্যাপ ইনস্টল হচ্ছে গুগল প্লে থেকে।
তবে এর অর্থ এই নয় যে গুগল প্লে অসুরক্ষিত অ্যাপে অনুমোদন দেয় বা তাদের সুরক্ষা বিধি কড়া নয়। এই সমীক্ষা থেকে এটা বোঝা যায় যে প্লে স্টোরের ভেক্টর ডিটেকশন অনুপাত (ভিডিআর) অন্যান্য মাধ্যমের তুলনায় নিম্নমানের। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষতিকর অ্যাপই যাবতীয় নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থার চোখে ধুলো দিতে সক্ষম। আর গুগল প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড যেহেতু বেশি হচ্ছে, তাই ক্ষতিকর অ্যাপও এভাবে ঢুকছে বেশি।
মন্ত্রক নিয়ে দরাদরির জেরে বিলম্ব? নীতীশকে বিহারের মুকুট পরানোর আগে চূড়ান্ত বৈঠক রবিবার