৮০ কোটি বছর আগের প্রাগৈতিহাসিক যুগের হাঙর ধরা পড়ল, হইচই বিজ্ঞানী মহলে
পর্তুগালের উপকূল এলাকায় কাজ করার সময় ৮০ কোটি বছর আগের যুগের হাঙর ধরেছেন বিজ্ঞানীরা।
প্রাগৈতিহাসিক যুগের হাঙরের খোঁজ পেলেন বিজ্ঞানীরা। পর্তুগালের উপকূল এলাকায় কাজ করার সময় ৮০ কোটি বছর আগের যুগের হাঙর ধরেছেন বিজ্ঞানীরা। তা পরীক্ষা করার পরই জানানো হয়েছে, এটিই বর্তমানে পৃথিবীর সবচেয়ে পুরনো প্রজাতি যাঁদের খোঁজ সংগ্রহে রয়েছে।
সাপের মতো দেহাকৃতি রয়েছে হাঙরটির। সঙ্গে রয়েছে মুখের ভিতরে ৩০০টি দাঁত। সমুদ্রে মাছ ধরা নিয়ে একটি প্রকল্পে কাজ করছিলেন গবেষকরা। সেখানেই এই বিরল প্রাণীটি ধরা পড়েছে।
গবেষকরা পরীক্ষা করে জানিয়েছেন, মাছটি দৈর্ঘ্যে দেড় মিটার লম্বা। সমুদ্রে ৭০০ মিটার গভীরে পোর্তিমাওয়ে এটি ধরা পড়েছে। এই হাঙর সম্পর্কে বিশেষ কিছুই জানা নেই। আটলান্টিক মহাসাগরে অস্ট্রেলিয়া, নিউ জিল্যান্ড ও জাপানের কাছাকাছি এটির বসবাস ছিল বলে আন্দাজ করছেন বিজ্ঞানীরা।
পর্তুগালের 'ইনস্টিটিউট ফর দ্য সি অ্যান্ড অ্যাটমসফেয়ার' গবেষকরা এটিকে খুঁজে পেয়েছেন। এটির নাম দেওয়া হয়েছে 'স্নেক লাইক সার্ক'। অর্থাৎ মাছের সাপের মতো দেখতে হাঙর। প্রাগৈতিহাসিক যুগের মাছটি পুরুষ। দৈর্ঘ্যে এটি ২ মিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে।
জীবিত জীবাশ্ম বা লিভিং ফসিলস-এর তত্ত্ব এর আগে অবতারণা করেন চার্ল ডারউইন। তিনি জানিয়েছিলেন, প্রাগৈতিহাসিক যুগের বহু প্রাণ এখনও একইরকম রয়েছে। কারণ তারা প্রকৃতিতে এমনভাবে মিলে রয়েছে যেখানে অভিযোজনের প্রয়োজন পড়ে না। তাই নিজেদের সত্ত্বাকে কোটি কোটি বছর ধরে এই প্রাণীরা এক রাখতে পেরেছে। এই হাঙরটিও সমুদ্রের বহু গভীরে বসবাস করায় সম্ভবত নিজের অস্তিত্বকে টিঁকিয়ে রাখতে পেরেছে। এমনটাই মনে করছেন গবেষকরা।