মহাজাগতিক দৃশ্য! পৃথিবীর গা ঘেঁষে ঘণ্টায় ১৪ হাজার মাইল গতিতে ছুটছে গ্রহাণু
পৃথিবীর গা ঘেঁষে বেরিয়ে যাবে একটি গ্রহাণু। শনিবার রাতে এই ঘটনা ঘটতে চলেছে মহাকাশে। এই গ্রহাণুটি পৃথিবীর দীর্ঘতম বিল্ডিংয়ের থেকেও বড়।
পৃথিবীর গা ঘেঁষে বেরিয়ে যাবে একটি গ্রহাণু। শনিবার রাতে এই ঘটনা ঘটতে চলেছে মহাকাশে। এই গ্রহাণুটি পৃথিবীর দীর্ঘতম বিল্ডিংয়ের থেকেও বড়। এবং পৃথিবীর পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় এর গতিবেগ থাকবে ১৪,৩৬১ মাইল প্রতি ঘণ্টায়। পৃথিবীর পাশ দিয়ে মোট ৩,৩১২,৯৪৪ মাইল পথ অতিক্রম করবে গ্রহাণুটি।
নাসার তরফে জানানো গয়েছে এই গ্রহাণু '২০০০ কিউডব্লু সেভেন' ২৯০ মিটার x ৬৫০ মিটার বা ৯৫১ ফুট x ২,১৩২ ফুট ব্যাসের। বিশ্বের দীর্ঘতম বিল্ডিং দুবাইয়ের বুর্জা খলিফা থেকেও লম্বা। উল্লেখ্য, বুর্জা খলিফার উচ্চতা ২,৭১৭ ফুট। দ্বিতীয় বৃহত্তম বিল্ডিংটি সাংহাই টাওয়ারটি হল ২,৭০৭।
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন না যে, গ্রহাণুটি কোনও বিপদ ডেকে আনবে, নাসার সেন্টার ফর নিয়ার আর্থ অবজেক্ট স্টাডিজ এটির সন্ধান করেছে। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা দেখিয়েছিলেন, পৃথিবীতে গ্রহাণুটি ক্রমশ দূরে সরে গিয়েছে পৃথিবী থেকে। ফলে পৃথিবীর কোনও ক্ষতি করতে পারবে না।
এর আগে হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বলেন, ২২ জুন সকালে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের আগে একটি ছোট গ্রহাণু সন্ধান করেছিলেন। অ্যাটলাস এবং প্যান-স্টারস সার্ভে টেলিস্কোপ ব্যবহার করে তাঁরা তা জানতে পেরেছিলেন।
২০১৯ এমও নামের ওই গ্রহাণুটির দৈর্ঘ্য ছিল ১৩ ফুট। পৃথিবী থেকে ৩,১০,৬৮৫ মাইল দূরে ছিল এটি। হাওয়াইয়ের মধ্যরাতের প্রায় ৩০ মিনিট দেখা গিয়েছিল। এরপর এই '২০০০ কিউডব্লু সেভেন' পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়তে পারে এমন সম্ভাবনা তৈরি হয়। যদিও প্যান-স্টারএস টেলিস্কোপ চিত্রে স্পষ্ট, তা পৃথিবীর পাশ দিয়ে বেরিয়ে যাবে।