চিন কোন ক্ষুরধার প্ল্যানে গিলগিট নিয়ে পাকিস্তানকে চাপ দিয়ে চলেছে! লাদাখ আবহে বেজিং নীতি নিয়ে তোলপাড়
গিলগিটকে প্রভিন্স করার জন্য পাকিস্তানের ওপর কোন প্ল্যান ছকে চাপ দিচ্ছে চিন
লাদাখ সংঘাতের পারদ চড়তেই আচমকা গিলগিট বালতিস্তান নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে পাকিস্তান।অনেকেই বলছেন, পাকিস্তানে ইমরানের পরামর্শদাতা মোইদ ইউসুফের মস্তিষ্ক প্রসূত এই পদক্ষেপ। তবে বিশেষজ্ঞমহলের বার্তা, মইদ ইউসুফ, গিলগিট নিয়ে কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারার পাল্টা পদক্ষেপ নিতে গিয়ে মূলত পাকিস্তানের তাঁবেদারি করার ছক কষেছেন। প্রশ্ন উঠছে, পাকিস্তানের অধিকৃত কাশ্মীরের গিলগিট এলাকা নিয়ে চিন এত কেন আগ্রহ দেখাচ্ছে লাদাখ আবহে? যার উত্তরে একাধিক তথ্য মিলছে।
গিলগিট পাকিস্তানি প্রভিন্স হতে চলেছে!
খুব শিগগিরিই পাকিস্তানের অধিকৃত কাশ্মীরের গিলগিট বালিতিস্তানকে প্রভিন্স হিসাবে ঘোষণা করতে চলেছে ইমরান সরকার। এলাকায় গিয়ে ইমরান নিজে এই ঘোষণা এলাকাবাসীর সামনে করবেন বলে খবর। শোনা যাচ্ছে, যবে থেকে ওই এলাকায় চিন বড় জলববিদ্যুৎ প্রকল্পে হাত দিয়েছে, তবে থেকেই এলাকাকে পাকিস্তানের দখলে রাখার জন্য চিন বারবার চাপ দিচ্ছে। পাকিস্তানের সবচেয়ে দামী এই প্রকল্পে চিন টাকা ঢালতেই পাকিস্তান কার্যত বেজিংয়ের তাঁবেদারিতে পৌঁছে গিয়েছে!
গিলগিট ও ধোঁয়াশা
পাকিস্তান চিরকালই গিলগিট নিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন আইন লাগু করেছে। ফলে গিলগিট নিয়ে তাদের মেপে চলা পদক্ষেপই প্রকাশ করে, এই এলাকাকে নিজের দখলে রাখার প্রক্রিয়ায় তাঁদের কতটা অবৈধ পদক্ষেপ জড়িয়ে রয়েছে। ১৯৪৯ সালের করাচি চুক্তির পর, এলাকাকে ব্রিটিশ এফসিআর আইনের আওতায় শাসন শুরু করে তারা। এটা পরে ১৯৭৫ সালে অবলুপ্ত হয়। ১৯৯৪ সালে নর্দান এরিয়াজ কাউন্সিলের সূচনা হয়। তারপর ২০০৯ সাল থেকে গিলগিট বালতিস্তান এম্পাওয়ারমেন্ট অ্যান্ড সেলফ গভর্নেন্স অর্ডার গিলগিটের জন্য লাগু হয়েছে। এই সমস্ত ক'টি নিয়মেপ পরিবর্তমের পর এবার সংবিধানের তোয়াক্কা না করে গিলগিট পেতে মরিয়া ইমরান সরকার।
কেন গিলগিটে চিনের নজর?
উল্লেখ্য, চিন বারবার গিলগিটের দিকে নজর রেখেছে আগেও। তবে লাগাখ পরিস্থিতির মাঝে গিলগিট যেন চিনের পাখির চোখ হয়ে যাচ্ছে। মূলত যুদ্ধকৌশলের দিক থেকে গিলগিটের বড়সড় গুরুত্ব রয়েছে। গিলগিট যে জায়গায় রয়েছে, সেখানের আশেপাশে তিনটি পরমাণু শক্তিধর দেশ রয়েছে। চিন, পাকিস্তান, ভারতের মাঝে রয়েছে কাশ্মীরের এই একখণ্ড ভূভাগ। যা ভারতের থেকে পাকিস্তান ছিনিয়ে রেখেছে বলে দাবি দিল্লির। আর সেই এলাকায় থাবা বসিয়ে চিন ক্ষমতার কর্তৃত্ব কায়েম করতে চাইছে।
গিলগিটের মানুষ খুশি নন চিনকে নিয়ে!
এদিকে, পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে চিনের সঙ্গে পাকিস্তানের এই আঁতাত নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে। এলাকাবাসীর দাবি, চিনের কাছে মাথা নোয়ানো পাকিস্তান এই নতুন জলবিদ্যুৎ প্রজেক্টেপ দ্বারা কাশ্মীরের আবহাওয়ার ক্ষতি করছে। নষ্ট হচ্ছে এলাকার পরিবেশের ভারসাম্য।
গিলগিটের মানুষের মুখ বন্ধ করা হচ্ছে কিভাবে?
জানা যায়, পাকিস্তান তার গুপ্তচর বাহিনী দিয়ে গিলগিটের মানুষের মুখ বন্ধ করে যাচ্ছে। এলাকাতে যাঁরাই এই চিন-পাকিস্তান প্রজেক্ট নিয়ে মুখ খুলছেন, তাঁদেরই প্রবল হুঁশিয়ারি দিয়ে যাচ্ছে আইএসআই। বহু মানুষ সেখান থেকে রাতারাতি গুম হচ্ছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
বিহার বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির সঙ্গে নীতীশের জেডিইউয়ের আসন সমঝোতা সম্পন্ন! কোন ভোট-গণিত প্রকাশ্যে