লাদাখে চিন-ভারত উত্তেজনার মাঝে দিল্লি আসছেন মার্কিন সচিব পম্পেও! জোরালো হচ্ছে কূটনীতির রঙ
অস্ট্রেলিয়া,জাপান, ভারত, আমেরিকার প্রতিনিধিরা এই সপ্তাহেই কোয়াডের বিশেষ বৈঠকে যোগ দেন টোকিওতে। এদিকে,লাদাখের বুকে এখনও চিন-ভারত সংঘাতের গনগনে আঁচ। এমন পরিস্থিতিতে কোয়াডের বৈঠক থেকে চিনকে নাম না করে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছে ৪ দেশ। সেই বৈঠকে হাজির ছিলেন মার্কিন স্বারষ্ট্র সচিব মাইক পম্পেও। এবার তিনি আসছেন ভারতে।
২০ দিনের মাথায় ভারত-মার্কিন পর পর বৈঠক
কোয়াডের বৈঠক, আর তারপরই ভারতে -মার্কিন বিশেষ বৈঠক পর পর ২ বার বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করের সঙ্গে দেখা হবে মার্কিনম সচিব মাইক পম্পেওর। জানা গিয়েছে, অক্টোবরেই ভারতে পা রাখছেন মার্কিন সচিব। প্রসঙ্গত, লাদাখের পরিস্থিতি যখন শীতকালীন সংঘাতের দিকে এগোচ্ছে তখন ভারতে মার্কিন সচিবের পদার্পণ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
দুই দেশের একই শত্রুপক্ষ.. চিন
উল্লেখ্য,ভারতের কাছে সীমান্ত বিবাদ নিয়ে চিন সংঘাতের মেজাজ জোরদার করছে, অন্যদিকে, বাণিজ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সংঘাতের রাস্তায় গিয়েছে বেজিং। এমন পরিস্থিতিতে চিনকে দুরমুশ করা এখন ভারত ও আমেরিকার একমাত্র ফোকাসে। এমন পরিস্থিতিতে দ্বিতীয়বার ভারত-মার্কিন বৈঠক রীতিমতো প্রাসঙ্গিক।
কোয়াডের বৈঠক থেকে পম্পেওর বার্তা
প্রবল ক্ষমতার লোভে চিন দমন পীড়ন শুরু করেছে। কোনও মহৎ দেশ এমন কাজ করেনা। একথা মঙ্গলবারই এসেছে মার্কিন সচিব মাইক পম্পেওর তরফে। তিনি সাফ জানিয়েছেন যে, চিনের এই ক্ষমতার আস্ফালন ও তেজ কমানোই তাঁদের আসল উদ্দেশ্য।
ইন্দো পেসিফিক ও চিনের আস্ফালন
মূলত, ইন্দো পোসিফিক ক্ষেত্রে চিনের আস্ফালন একফোঁটাও মেনে নিতে পারছে না ভারত , আমেরিকার মতো দেশগুলি। এই মর্মেই কোয়াডের বৈঠক থেকে ভারত বার্তা দিয়েছে যে জলসীমায় অবাধে সকলকে যাতায়াত করতে দেওয়া হোক, এই মর্মে বিশ্বাসী দিল্লি। এমনকি আন্তার্জাতিক আইন মানার সপক্ষেও মত দিয়েছেন এস জয়শঙ্কর। এমন এক পরিস্থিতিতে লাদাখ সংঘাতের আবহে ভারতে আসছেন মাইক পম্পেও।