লাদাখে গুলি চলার রাতে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জ্বলে উঠল মশাল! চিনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে পিওকেতে কী ঘটল
লাদাখে তখন চিনের সেনার সঙ্গে ভারতীয় সেনা মল্লযুদ্ধের আসরে। নিজের মাতৃভূমি বাঁচানোর লড়ৃাইয়ে ভারতীয় সেনা তখন চিনের আগ্রাসনকে দুরমুশ করতে উদ্যত। এমন এক পরিস্থিতিতে কাশ্মীর সীমান্তের ওপারে সেই চিনের বিরুদ্ধেই ক্ষোভ , প্রতিবাদে গর্জে উঠলেন মানুষ।
চিনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ
এর আগেও একই ছবি দেখেছে বিশ্ব। র ফের একবার পথে নেমে সেই একই ক্ষভ প্রকাশ করলেন পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের মানুষ। সেখানে মুজাফ্ফরাবাদে একটি নয়া বাঁধ নির্মিত হতে চলেছে। আর সেই বাঁধ নির্মাণ করছে চিনের সংস্থা। এই বাঁধ নির্মাণের বিরুদ্ধেই স্থানীয় মানুষ প্রতিবাদে সরব হয়েছেন।
চিনের বিরুদ্ধে মশাল জ্বলল পিওকেতে
ফের একবার মুজাফ্ফরাবাদের রাস্তায় নেমে সরাসরি ইমরান সরকারের এই বাঁধ নির্মাণের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করেন সেখানের স্থানীয়রা। হাতে মশাল তুলে নিয়ে রাস্তায় নামেন তাঁরা। স্লোগান ছিল 'নিলম ঝিলম বহেনে দো '।
নেপথ্যে কোন কূটনীতি
উল্লেখ্য, পাকিস্তান ও চিনের আঁতাতে এই এলাকায় এমন বাঁধ নির্মাণের ঘটনায় , এলাকা জুড়ে পাকিস্তানের অধিকার বাড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে। এদিকে বহু কোটির বিনিয়োগে, বাঁধ নির্মাণের হাত ধরে পাকিস্তানে দাপট বাড়ানোর চেষ্টায় রয়েছে চিন। যে কূটনৈতিক চালে ভারতও নজর রেখেছে।
কেন প্রতিবাদ ?
পাকিস্তানের অধিকৃত আজাদ পট্টনে , কোহালা জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি তাবড় প্রকল্প চালু হতে চলেছে। চিন-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডরের সবচেয়ে বড় ও গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প হল এই কোহালা। যে প্রকল্প কার্যত নীলম-ঝিলমের গতিপথকে রোধ করবে। কারণ সেখানে বাঁধ দেওয়া হবে। আর তার বিরুদ্ধেই প্রতিবাদে সরব হয়েছেন স্থানীয়রা।
চিন-পাকিস্তান আঁতাতে বিপদে পড়ে যাচ্ছেন কাশ্মীরের মানুষ!
চিনের বিস্তারবাদের দাপটের নেশাও অক্ষুণ্ণ থাকছে এই প্রকল্পের হাত ধরে। আর এই সমস্ত আর্থিক ও রাজনৈতিক স্বার্থ মুনাফার মাঝে কাশ্মীরবাসী আসহায়তায় ভুগছেন। কারণ বাঁধ যদি নির্মিত হয়, তাহলে একটা বড় অংশের জল ভারতের কাশ্মীরে সরবরাহ হবে না। ফলে ভারতের কাশ্মীরবাসী বিপদে পড়বেন।