দক্ষিণ চিন সাগরে বেজিংয়ের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ভারত সহ একাধিক দেশ চোখ রাঙাচ্ছে! জোরালো হচ্ছে কোন নীতি
দক্ষিণ চিন সাগরে বেজিংয়ের আস্ফালনকে যে জাপান এক্কেবারেই মেনে নেয়নি, তা চিনকে দ্বিপাক্ষিত সম্পর্কের খাতে বুঝিয়ে দিয়েছে জাপান। একই সুর কানাডার। আমেরিকা বহু আগে থেকেই চিন বিরোধিতায় সরব। অন্যদিকে, সাগরজলে চিনের দাদাগিরি মানতে পারছে না অস্ট্রেলিয়া। এমন পরিস্থিতিতে লাদাখ আবহে, ভারত সহ কোয়াড ভূক্ত দেশের পাশে এসেছে কানাডা। ফলে চিনের বিরুদ্ধে চোখ রাঙানি আরও জোরালো হতে শুরু করেছে।

কোয়াড দেশগুলি কেন চিনের বিরুদ্ধে রয়েছে?
চিন আগেই জানিয়েছে, যে ভারত, অস্ট্রেলিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাপানের সমন্বয়ে গঠিত কোয়াড দেশগুলিকে তারা একটি 'এক্সক্লুসিভ গ্রুপ' ছাড়া আরও কোনও বিশেষ তাৎপর্য দেয়না। এদিকে, বিশ্বের এই ৪ টি দেশই এক যোগে চিন বিরোধিতায় সরব হয়ে জোরালো বার্তা দিতে চলেছে বলে খবর। মূলত জাপান ও ভারতের সঙ্গে চিনের সীমান্ত ও এলাকা দখল নিয়ে সংঘাত রয়েছে। অস্ট্রেলিয়া ও আমেরিকাকে চিন বাণিজ্য যুদ্ধের মাধ্যমে শত্রু শিবিরে পরিণত করেছে।

দক্ষিণ চিন সাগর , সংঘাতের আবহ এবং ইন্দো পেসিফিক এলাকা
মূলত ইন্দো পেসিফিক এলাকা দক্ষিণ চিন সাগরের অংশে সম্পদের দিকে চিনের লোভের দৃষ্টি রয়েছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে আমেরিকা। মার্কিন সচিব মাইক পম্পেও জাপান সফরের আগে , জানিয়েছে, যেভাবে দক্ষিণ চিন সাগর এলাকার সম্পদ নিয়ে চিন শোষণ ও বিস্তারের নীতি নিয়েছে, তা মোটেও আমেরিকার পছন্দ নয়। কার্যত একই সুর , জাপান , অস্ট্রেলিয়া, ভারতের। তিনি জানান চিনের কমিউনিস্ট পার্টির যে আর্থিক নীতি রয়েছে এই এলাকায়,তা বিশ্বকে নিঃস্ব করতে উদ্যতে হয়েছে।

জাপান চিনকে যোগ্য জবাব দিয়েছে!
জাপানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নত করে পুরনো আর্থিক নীতি আবারও উন্নত করতে চেয়েছে চিন। কিন্তু চিনের সেই চেষ্টায় কার্যত জল ঢেলে দিয়েছে জাপান। চিনের বিস্তারবাদ নিয়ে জাপান কী ভাবছে, তা স্পষ্ট করেছেন জাপানের নব নিযুক্ত প্রধানমন্ত্রী। গদিতে বসে তিনি ভারত, মার্কিন, অস্ট্রেলিয়ার প্রধান মন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলার পর চিনের রাষ্ট্রনেতা জিনপিংকে ফোন করেন। যে কূটনীতি বুঝিয়ে দিয়েছে, যে চিন আপাতত, ভারত, অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকার পরে জাপানের কাছেল প্রাধান্য পাবে!

জোরদার হচ্ছে সেনা শক্তি!
উল্লেখ্য, বঙ্গোপোসাগরে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে মালাবার নৌসেনা মহড়ায় নামবে ভারত। যা থেকে বোঝা যাচ্ছে চিনের বিরুদ্ধে সাগর জলে কতটা মুখিয়ে রয়েছে দুই দেশ। অন্যদিকে, এই কোয়াডভূক্ত দেশগুলির মধ্যে ৫ জি সংযোগ জোরালো করার সিদ্ধান্তও জোরদার হয়েছে। যার দ্বারা ইন্দো পেসিফিক এলাকায় সেনা মহড়ার সময় সংযোগ জোরদার হবে বলে আশা।

চিন বিরোধিতা তুঙ্গে কনাডার!
এদিকে, চিরাচরিতভাবে চিন বিরোধিতার রাস্তা তুঙ্গে রেখেছে কানাডা। করোনার আবহে চিনের সঙ্গে কানাডার সংঘাত তুমুল অবস্থায় ছিল। এমন পরিস্থিতিতে ইন্দো পেসিফিস এলাকা নিয়ে কানাজা নতুন নীতি স্থির করছে বলে খবর। যে নীতিতে আগ্রাসনের সমস্ত পদক্ষপকে বিরোধিতা করতে চলেছে কানাডা। যা বেজিংকে কেন্দ্র করেই নেওয়া হচ্ছে বলে খবর।
চিন কোন ক্ষুরধার প্ল্যানে গিলগিট নিয়ে পাকিস্তানকে চাপ দিয়ে চলেছে! লাদাখ আবহে বেজিং নীতি নিয়ে তোলপাড়