ওলির সরকার ফেলতে উঠে পড়ে লেগেছে দিল্লি! নেপালের গদি নিয়ে টানাটানির মাঝেই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ
দিল্লি ও কাঠমান্ডুর মধ্যে সীমান্ত সমস্যার মাঝে ফের মুখ খুললেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী খড়্গ প্রসাদ শর্মা ওলি। তিনি অভিযোগ করেন, তাঁর সরকারকে ফেলে দিতে ভারতে বৈঠক হয়েছে। কিন্তু এসব করে কোনও সুবিধা হবে না বলেতিনি জানান।
ওলির অভিযোগ
প্রধানমন্ত্রী ওলি বলেন, নেপালের সংসদে তাঁর সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে। বাইরের কোনও শক্তি তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে সফল হবে না। এপ্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, 'আমি জানতে পেরেছি দিল্লিতে বৈঠক হয়েছে। আমাদের সরকার নেপালের যে নতুন ম্যাপ প্রকাশ করেছে, তার বিরুদ্ধাচারণের জন্য ভারত পরিকল্পনা করছে।' সূত্রেরখবর, প্রধানমন্ত্রী ওলি ও এনসিপি চেয়ারম্যান পুষ্পকমল দহলের মধ্যে নতুন করে দূরত্ব তৈরি হয়েছে।
কালাপানি বিবাদ
সম্প্রতি প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ভারত থেকে চিন সীমান্ত পর্যন্ত বিস্তৃত একটি সড়কেরউদ্বোধন করেন। কিন্তু কাঠমান্ডুর তরফে জানানো হয়, এই সড়ক এমন কিছু অঞ্চলের মধ্যে দিয়ে বিস্তৃত হয়েছে যা নিয়ে এখনও নেপাল ও ভারতের মধ্যে বিতর্ক চলছে। এরপরেই নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি ওলি সাংসদে ঘোষণা করেন, তাঁদের নতুন রাজনৈতিক মানচিত্রে সরকার লিপুলেখ, লিমপিয়াধুরাও কালাপানিকে সংযুক্ত করবে।
ভারত-নেপাল দ্বন্দ্ব
লিপুলেখ পাস কালাপানির কাছে অবস্থিত। এই সীমান্তবর্তী অঞ্চল নিয়ে নেপাল ও ভারতের মধ্যে বিতর্ক রয়েছে। কারণ ভারত ও নেপাল দুই দেশেরই দাবি, কালাপানিতাদের সীমানার অন্তর্গত। ভারতের মতে, কালাপানি উত্তরাখণ্ডের পিথোরগড় জেলার অঞ্চল। আর নেপালের মতে, কালাপানি ধরচুলা জেলার অন্তর্গত।
নেপালের নতুন মানচিত্র
নেপাল আনুষ্ঠানিকভাবে ২১ জুন তাদের নতুন রাজনৈতিক মানচিত্রের উদ্বোধন করে। সেই মানচিত্রে কালাপানি, লিপুলেখ ও লিমপিয়াধুরার সংযুক্তিরবিষয়টি ঘোষণা করেন নেপালের মন্ত্রী পদ্মাকুমারী আরিয়াল। ১৮১৬ সালে যে সুগৌলি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল, তার উপর ভিত্তি করে এই নতুন মানচিত্র আঁকা হয়েছে।
এবার পাক জঙ্গি মদতে নাম জড়াল নেপালের, হিটলিস্টে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা! হাই অ্যলার্ট জারি বিহারে