ভিনদেশকে ঋণ দিয়ে চিনের কর্তৃত্ব দখলের ছকে জোর ধাক্কা! জি ২০ থেকে প্রবল চাপ বেজিংকে
মূলত ছোট ছোট তৃতীয় বিশ্বের দেশ, বা দরিদ্র দেশগুলিকে বহু অর্থ ঋণ হিসাবে দান করে, একটি নির্দিষ্ট ছকে এলাকায় কর্তৃত্ব দখলের খেলা এতদিন খেলে গিয়েছে চিন। চিনের এই টাকা দানের নাগপাশে বহু দেশ জড়িত হয়ে যায়। আর ঋণের অনাদায়ে ধীরে ধীরে সেখানে ক্ষমতা কর্তৃত্ব দখলের খেলা খেলে চিন। এই চেনা ছক এবার ভাঙার জন্য পদক্ষেপ নিচ্ছে জি ২০।

কী ঘটেছে?
জি ২০ দেশগুলির সংগঠন 'ডেবট সার্ভিস সাসপেনশন ইনিশিয়েটিভ' এবার চিনের ওপর ঋণ বাতিল নিয়ে চাপ দিতে শুরু করেছে। চিনকে বলা হয়েছে, করোনা আক্রান্ত প্রবল দরিদ্র দেশগুলির ঋণ চিন যেন বাতিল করে দেয়। এরপর থেকেই বিশাল চাপে পড়েছে বেজিং।

৭৭ টি দেশকে নিয়ে চিন্তিত জি ২০
এর আগে, জি ২০ এর 'ডেবট সার্ভিস সাসপেনশন ইনিশিয়েটিভ' জানিয়েছে, বিশ্বের ৭৭ টি দরিদ্রতম দেশকে ঋণ পরিশোধ করার সময়সীমা আরও বাড়ানো হোক। এক্ষেত্রে সময়সীমা ধার্য না করে দেওয়ার বার্তাও জানানো হয়েছে। সেই মর্মেই চিন এবার চাপে। কারণ বিভিন্ন দেশে বহু কোটি
কোটি ডলার প্রকল্পের খাতে ঋণ দিয়ে রেখেছে চিন।

বিশ্বে চিনের অর্থ যোগান ও আগ্রাসন
বেল্ট অ্যান্ড ইনিশিয়েটেভ প্রকল্প ছাড়াও একাধিক প্রকল্পের হাত ধরে চিন বহু দেশকে ঋম দিয়েছে। দেখা গিয়েছে জি ২০ এর আওতায় থাকা ঋণদানের প্রকল্পে সবচেয়ে বেশি শতাংশ ঋণ চিন দিয়েছে। যে অর্থ দরিদ্র দেশগপলির থেকে ঋণের পরিশোধ হিসাবে আসবে জি ২০ এর সংগঠন 'ডেবট সার্ভিস সাসপেনশন ইনিশিয়েটিভ' এর হাতে , তার ৭০ শতাংশ টাকাই চিনের প্রাপ্য় বলে দেখা গিয়েছে।

চিন, সার্বভৌমত্ব ও আফ্রিকা
উল্লেখ্য, ঋণদানের প্যাঁয়তারায় জমি , এলাকা দখল বা ভূখণ্ডজের কর্তৃত্ব দখল চিনের পুরনো খেলা। আর সেই খেলায় কার্যত বড়সড় ফাঁদে পড়েছে আফ্রিকা। আফ্রিকার একাধিক দেশকে ঋণের ফাঁদে ফেলে তাদের সার্বভৌমত্ব কাড়ার ছকেও চিন রয়েছে বলে খবর। এদিকে, এশিয়ায় ইতিমধ্যেই চিন এই চেনা খেলা শ্রীলঙ্কার হাত ধরে শুরু করেছে। যার জেরে সিংহলরাষ্ট্রকে হামবানতোতা বন্দর দিতে চিনের একটি সংস্থাকে দিতে হয়েছে। এই বন্দর ৯৯ বছরের লিজে নিয়েছে ওই চিনা সংস্থা।

আহত নেতাকে দেখতে বাড়িতে মুকুল! দলের সহ সভাপতির কাছে পুলিশের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুললেন শমীক