'আমরা ওকে খুব ভালো করে চিনি', নতুন আইএস প্রধান প্রসঙ্গে মন্তব্য ট্রাম্পের
আইএস জঙ্গি প্রধান আবু বক্কর আল-বাগদাদির মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করেই নতুন জঙ্গিনেতার নাম ঘোষণা করে সংগঠনটি। বাগদাদি হত্যার প্রতিশোধ নেবে বলেও আমেরিকাকে হুমকি দেয় তারা। তবে এরই মধ্যে নতুন জঙ্গি নেতা সম্পর্কে আমেরিকা সব জানে বলে মন্তব্য করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন সেনার আক্রমণে আইএস প্রধান ছাড়াও তাদের সেকেন্ড ইন কমান্ড আবু আল হাসান মুজাহিরের মৃত্যু হয়েছে। এই দুজনের মৃত্যুর পর আবু ইব্রাহিম অল হাশেমি অল কুরেশিকে আইএস প্রধানের স্থানে রাখা হয়।

বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে ইসলামিক স্টেট
এদিকে বিশ্লেষকেরা বলছেন, বাগদাদির মৃত্যুর ফলে ইসলামিক স্টেট বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। নতুন নেতা হিসেবে যিনিই আবির্ভূত হোন না কেন, তাঁকে দলটিকে যোদ্ধাবাহিনী হিসেবে ফিরিয়ে আনার কাজটি করতে হবে। এদিকে অল কুরেশির বিষয়ে আমেরিকা সব জানে বলে ইতিমধ্যেই জঙ্গি সংগঠনটিকে চাপে ফেলা শুরু করে দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তবে দুই শীর্ষ নেতাকে মেরেও আইএসকে নির্মূল না করতে পারায় নিশ্চই চিন্তায় থাকবেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট।

কট্টরপন্থী গোষ্ঠীর নেতৃত্বে নতুন লোক
মার্কিন নেতৃত্বাধীন হামলার ফলে নিয়ন্ত্রণ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আগে ২০১৪-১৭ সাল পর্যন্ত ইরাক এবং সিরিয়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চল দখল করে কট্টরপন্থী গোষ্ঠীর নেতৃত্ব দেন আইএস প্রধান বাগদাদি। নিজেকে মুসলিমদের খলিফা হিসেবে ঘোষণা করার মধ্য দিয়ে ইরাকে জন্ম নেওয়া এই নেতা আলোচনায় উঠে আসে। এখন তারই জায়গায় বসতে চলেছেন আবু ইব্রাহিম অল হাশেমি অল কুরেশি।

কটাক্ষ ও পাল্টা কটাক্ষ
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানান, মার্কিন সেনার আক্রমণের মুখে পড়ে নিজের শেষ মুহূর্তে কার্যত কান্নাকাটি করে আইএস প্রধান বাগদাদি। 'কাপুরুষচিত' মৃত্যু হয় বাগদাদির। যে বক্তব্যকে অবশ্য সমর্থন করেননি মার্কিন সেনা প্রধান। তবে এরপর আইএসের তরফে পাল্টা কটাক্ষের সামনে পড়েন ট্রাম্প। ট্রাম্পকে 'ওল্ড ফুল' বলে উল্লেখ করে আইএসএর দাবি, ট্রাম্প ঘুমোতে যান এক ধরনের চিন্তা নিয়ে, আর ঘুম থেকে ওঠেন আরেক রকমের চিন্তা নিয়ে।