কেন মারা হল কাসেম সুলেমানিকে? মুখ খুললেন ট্রাম্প
শুক্রবার ভোর রাতে বাগদাদ বিমানবন্দরের বাইরে মার্কিন সেনার অভিযানে মৃত্যু হয় ইরানের কুদস ফোর্সের প্রধান কাসেম সুলেমানির। এরপরেই টুইটারে আমেরিকার পতাকা টুইট করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবারে সুলেমানির মৃত্যুর যৌক্তিকতাও দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
ট্রাম্পের বক্তব্য
সুলেমানির মৃত্যুর বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, 'সুলেমানি ইরাকে মার্কিন কূটনীতিক এবং কর্মকর্তাদের উপর হামলার পরিকল্পনা করছিলেন। এছাড়া মার্কিন সেনা আধিকারিকদেরও মারার পরিকল্পনা করছিল সে ও তার কুদস ফোর্স। বহু মার্কিনি এবং জোটের সদস্যের হতাহতের জন্য দায়ি। ভবিষ্যতে মধ্যপ্রাচ্য ও ইরাকে থাকা মার্কিনিদের সুরক্ষার্থেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।'
'কোনও জঙ্গির নিস্তার নেই'
তিনি আরও বলেন, 'আমার নেতৃত্বে আমেরিকার শত্রু ও জঙ্গি যারা আমেরিকার ক্ষতি করতে চায়, এদের কারোর নিস্তার নেই। আমরা সেসব জঙ্গিদের খুঁজে বের করব এবং তাদের মারব। আমরা আমাদের দেশ ও আমাদের দেশের কূটনীতিক এবং কর্মকর্তাদের সবসময় সুরক্ষিত রাখব। এছাড়া আমাদের বন্ধু রাষ্ট্রের নাগরিকদেরও আমরা সুরক্ষিত রাখব। সম্প্রতী বাগদাদে আমাদের দূতাবাসের উপর হামলা ও রকেট হামলায় আমাদের কর্মকর্তারা মারা গিয়েছেন ও জখম হয়েছেন। সুলেমানি দিল্লি থেকে লন্ডন পর্যন্ত জঙ্গি কার্যকলাপ পরিকল্পনা করেছিল। তাই তাকে মারা দরকার হয়ে পড়েছিল।'
বাগদাদ বিমানবন্দরে আমেরিকার সেনার অভিযান
শুক্রবার ভোর রাতে বাগদাদ বিমানবন্দরে আমেরিকার সেনার অভিযানে মারা যান ইরানের জেনারেল কাশেম সুলেমানি। বাগদাদের মার্কিন দূতাবাসে হামলার বড়সড় মূল্য দিতে হবে তেহরানকে এমনটাই ঘোষণা করেছিলেন অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, আর হলও তাই৷ দেশের বাইরে কর্মরত আমেরিকার নাগরিকদের রক্ষার জন্য সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ করা হয়েছে৷ এই অভিযানে ইরানের কমান্ডার কাসিম সুলেইমানি সহ মোট আটজনের মৃত্যু হয়েছে। তেহরান সমর্থিত আধাসামরিক বাহিনী হাশেদ আল-শাবির সেকেন্ড-ইন-কমান্ড আবু মেহদি আল-মুহানদিস রয়েছেন মৃতদের মধ্যে।
ট্রাম্পের নির্দেশেই সুলেমানিকে হত্যা
এই হত্যার পেছনে যে ডোনাল্ড ট্রাম্পের গোপন নির্দেশ ছিল তা নিজেই প্রমাণ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। শুক্রবার তিনি আমেরিকার জাতীয় পতাকার ছবি পোস্ট করেন টুইটারে। ট্রাম্পের টুইট প্রাথমিকভাবে এই ঘটনার পেছনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাত রয়েছে বলে জল্পনা ঘনীভূত হলেও, পরে হোয়াইট হাউস এবং পেন্টাগনের পক্ষ থেকে টুইট করে জানানো হয় যে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশেই এই মার্কিন হামলা হয়েছে।