হংকংবাসীদের পাশে থাকার বার্তা মাইক পেন্সের, আনলেন চিনের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা হরণের অভিযোগ
হংকংয়ের বিক্ষোভকারীদের পাশে থাকার বার্তা দিলেন আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স। এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি চিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে বলেন, "হংকংয়ে স্বাধীনতা ও অধিকার হরণ করা হচ্ছে।"
হংকংয়ের বিক্ষোভকারীদের পাশে থাকার বার্তা দিলেন আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স। এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি চিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে বলেন, "হংকংয়ে স্বাধীনতা ও অধিকার হরণ করা হচ্ছে।" পাশাপাশি দক্ষিণ চিনে বসবাসরত মুসলিম উইঘুরদের উপর নির্যাতনের জন্য চিনের কঠোর সমালোচনা করেন তিনি। এদিকে মাইক পেন্স নিজের দেশের মর্যাদা বিক্রি করে অন্য দেশের বাজারে প্রবেশাধিকার রক্ষা করার জন্য মার্কিন কোম্পানিগুলোর নিন্দা জানিয়েছেন। তাঁর অভিযোগের তির মূলত খেলার সামগ্রী প্রস্তুতকারক ব্র্যান্ড নাইকির দিকে ছিল।
চিনের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা হরণের অভিযোগ মাইক পেন্সের
ওয়াশিংটনে থিংক ট্যাংক উইলসন সেন্টারে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের ভাইস প্রেসিডেন্ট পেন্স বলেন, "প্রধান অর্থনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীর সঙ্গে আমেরিকা সংঘাতে জড়াতে চায় না।" চিনের উসকানিমূলক সামরিক পদক্ষেপ এবং নজরদারিমূলক রাষ্ট্র গঠনের সমালোচনা করে মাইক পেন্স বলেন, "চিন কীভাবে স্বাধীনতাকে হরণ করে তার বড় প্রমাণ হংকং।"
হংকংবাসীদের পাশে থাকার বার্তা পেন্সের
গত কয়েক বছর ধরে বেইজিং হংকংয়ের জনজীবন ও রাজনৈতিক বিষয়ে হস্তক্ষেপ বাড়িয়েছে। এর জেরে মানুষের স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ন হয়েছে। পেন্স হংকংবাসীর উদ্দেশে বলেন, "আমরা আপনাদের পাশে আছি। আপনারা রাস্তায় থাকুন এবং অহিংস প্রতিবাদ জারি রাখুন।"
চিনে ব্যবসা বাড়ানোয় নাইকির বিরুদ্ধে তোপ মাইকের
এদিকে আমেরিকার খেলার সামগ্রী প্রস্তুতকারক কোম্পানি নাইকি এবং ন্যাশনাল বাস্কেটবল অ্যাসোসিয়েশনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, নাইকি নিজেদেরকে সামাজিক বিচারের চ্যাম্পিয়ন বলে। "কিন্তু হংকংয়ের ক্ষেত্রে তারা তাদের সামাজিক বিবেককে প্রাধান্য দিতে পছন্দ করে না।"
জুন থেকে বেজিং বিরোধী আন্দলোন চলছে হংকংয়ে
চলতি বছরের জুনে হংকংয়ে বন্দিপ্রত্যর্পণ বিলকে ঘিরে আশান্তির সূত্রপাত৷ বিলে বলা হয়, হংকংয়ে কেউ কোনও অপরাধ করলে চিনের মূল ভূখণ্ডে তার বিচার করা যাবে৷ হংকংবাসীদের আশঙ্কা ছিল, কেউ চিনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখালে কড়া শাস্তি দিতেই এই বিল আনা হয়েছে৷ এই বিল প্রত্যাহারের দাবিতে হংকংয়ে শুরু হয় বিক্ষোভ৷ প্রতিবাদের মুখে বিলটি স্থগিত করা হলেও প্রতিবাদ অব্যাহত থাকে। পরে বিলটি পুরোপুরি প্রত্যাহার করা হয়। কিন্তু এতেও প্রতিবাদীদের ক্ষোভ কমেনি। পূর্ণ গণতন্ত্রের দাবিতে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছে তারা। পাশাপাশি পুলিশের নিষ্ঠুরতা ও অন্যান্য অভিযোগেরও তদন্ত দাবি করছে।
ক্যারি ল্যামকে পদ থেকে সরাতে পারে বেজিং
এতে থেমে না থেকে ক্যারি ল্যামের পদত্যাগ চেয়ে প্রতিবাদ আন্দোলনে নামেন হংকংয়ের অসংখ্য বাসিন্দা। বিক্ষোভকারীদের দাবি, গণতান্ত্রিক সংস্কারও করতে হবে হংকংয়ের স্বশাসিত সরকারের। হংকংয়ের জনগণের অভিযোগ, প্রশাসক লাম নিমিত্তমাত্র, পর্দার আড়ালে আসলে কলকাঠি নাড়ছে বেজিং। এরপরই কয়েকদিন আগে একটি খবর প্রকাশ পায় যে হংকংয়ে চলতে থাকা গণতন্ত্রপন্থীদের আন্দোলনকে বাগে আনতে না পারার কারণে হয়ত হংকংয়ের প্রধানের পদ থেকে সরানো হতে পারে ক্যারি ল্যামকে।