চিনা বেলুনকে গুলি করে নামাল আমেরিকা, আটলান্টিক মহাসাগরে ডুবুরি নামিয়ে চলছে খোঁজ
চিনের বেলুনকে গুলি করে নামানোয় পাল্টা হুঁশিয়ারি বেজিংয়ের
বার বার আমেরিকার আকাশে চিনের বেলুন। অবশেষে হুঁশিয়ারির পরে চিনা স্পাই বেলুনকে গুলি করে নামাল আমেরিকা। আটলান্টিক মহাসাগরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছে তার ধ্বংসাবশেষ। অবশেষে সেই ধ্বংসাবশেেষর সন্ধানে ডুবুরি নামিয়ে চলছে মহাসাগরে তল্লাশি। কী রয়েছে সেই বেলুনের ভেতরে তা জানতেই এই তৎপরতা বলে মনে করা হচ্ছে।
চিনা স্পাই বেলুনকে গুলি
গত কয়েকদিন ধরে টানটান উত্তেজনা তৈরি হয়েছে চিনা স্পাই বেলুনকে কেন্দ্র করে। হঠাৎই মার্কিন মুলুকে পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রের আকাশে উড়তে দেখা গিয়েছিল চিনা বেলুনকে। চিন নজরদারি চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছিল আমেরিকা। এই নিয়ে জিনপিংকে হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন বাইডেন। শেষ পর্যন্ত সেই বেলুনকে গুলি করে নামাল আমেরিকা। শনিবার দুপুরে মিসাইল ছুড়ে নামানো হয় চিনা বেলুনকে। আমেরিকার দক্ষিণ ক্যারোলিনার উপকূলে আটলান্টিক মহাসাগরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছে বেলুনটি।
আটলান্টিক মহাসাগরে তল্লাশি
চিনা স্পাই বেলুনটিকে গুলি করে নামানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তাঁর নির্দেশের পরেই শনিবার দুপুর ২টো ৩৯ মিনিট নাগাদ মার্কিন সেনা মিসাইল ছুড়ে বেলুনটিকে নীচে নামায়। আমেরিকার দক্ষিণ ক্যারোলিনার ৬ মাইল দূরে আটলান্টিক মহাসাগরে বেলুনটি টুকরো টুকরো হয়ে পড়ে। ভার্জিনিয়ার এয়ারবেস থেকে যুদ্ধবিমানের সাহায্যে মিসাইলটি ছোড়া হয়েছিল। মার্কিন জলসীমার মধ্যেই বেলুনটিকে গুলি করে নামানো হয়। তারপরেই ডুবুরি নামিয়ে বেলুনটির ধ্বংসাবশেষের তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
কেন তল্লাশি
বেলুনটিকে প্রথমে গুলি করে নামানো যাবে না বলেই জানিয়েছিল আমেরিকা। কারণ চিনা েবলুনটি মার্কিন পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রের উপর দিয়ে উড়ছিল। সেখানে গুলি চালালে হিতে বিপরীত হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন তাঁরা। সেকারণেই সুযোগের অপেক্ষায় ছিল তারা। সুযোগ পেয়েই সেটা গুলি করে নামানো হয়। বেলুনটিতে গোপনীয় কোনও তথ্য থাকতে পারে বলে মনে করছে মার্কিন সেনা। সেকারণেই তল্লাশি চালানো হচ্ছে। চিনের হাতে সেই তথ্য পৌঁছনোর আগেই সেগুলি নষ্ট করে দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে আমেরিকা।
তীব্র নিন্দা বেজিংয়ে
চিনা স্পাই বেলুনকে গুলি করে নামানোর ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বেজিং। অতিতৎপরতা দেখাচ্ছে আমেরিকা এমনই অভিযোগ করেছে বেজিং। গত কয়েকদিন ধরে মার্কিন মুলুকে চিনা বেলুনের আনাগোনা নিয়ে তুমুল টানাপোড়েন তৈরি হয়েছিল। ট্রাম্পের সময় থেকেই চিনের সঙ্গে সম্পর্কের তিক্ততা তৈরি হয়েছিল আমেরিকার। বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর তার কিছুটা উন্নতি হলেও এই বেলুনকে কেন্দ্র করে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে।