বহুরূপী করোনা ধরতে উদাসীন সরকার! নব স্ট্রেনের চোখরাঙানিতে কাঁপছে মার্কিন মুলুক
বহুরূপী করোনা ধরতে উদাসীন সরকার! নব স্ট্রেনের চোখরাঙানিতে কাঁপছে মার্কিন মুলুক
ব্রিটেনের অভিযোজিত করোনা আগের থেকেও ৭০% অধিক শক্তিশালী হয়ে যেভাবে তান্ডব চালাচ্ছে গোটা বিশ্বে, তাতে উদ্বেগ বাড়ছে চিকিৎসকমহলে। অন্যদিকে করোনার পূর্ব স্ট্রেনের আক্রমণ থেকেও যে শিক্ষা নেয়নি আমেরিকা, তা প্রকাশ পেল সাম্প্রতিক রিপোর্টে। জিআইএসএআইডি (গিসেইড)-এর গত সপ্তাহের রিপোর্ট মোতাবেক, নব স্ট্রেন ধরার ক্ষেত্রে জিনোম সিকোয়েন্সিং পদ্ধতি অবলম্বনের তালিকায় আমেরিকা রয়েছে ৪৩ তম স্থানে! যা দেখে স্বাভাবিকভাবেই চক্ষু চড়কগাছ আন্তর্জাতিক গবেষকমহলের।
কী এই 'জিনোম সিকোয়েন্সিং' পদ্ধতি?
করোনাবিদদের মতে, কোভিডের অভিযোজনের কারণে যেভাবে ত্রাস ছড়াচ্ছে, তা থেকে দেশের নাগরিকদের বাঁচানোর একমাত্র উপায় 'জিনোম সিকোয়েন্সিং'। এই জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের মাধ্যমে দেশে প্রাপ্ত করোনা বীজের ডিএনএ সজ্জা পরীক্ষা করে নির্ধারণ করা হয় যে দেশে বিবর্তিত কোভিড ভাইরাসের প্রবেশ ঘটেছে কি না। সূত্রের খবর, বর্তমানে প্রায় ১.৮ কোটি কেসের মাত্র ০.৩%-এর জিনোম সিকোয়েন্সিং করেছে আমেরিকা।
আমেরিকাতেও থাবা বসালো নয়া করোনা স্ট্রেন
এদিকে কোভিডের নব স্ট্রেনের জন্মস্থান ব্রিটেনে মাত্র ৭.৪%-এর জিনোম সিকোয়েন্সিং হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তালিকায় সর্বোচ্চ স্থানে থাকা অস্ট্রেলিয়ায় ৫৮.৬%-এর এই পরীক্ষা হয়েছে। অন্যদিকে সোমবার মার্কিন স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, কলোরাডোর এক বাসিন্দার শরীরে কোভিডের নতুন স্ট্রেন মিলেছে। যদিও ব্রিটেনে যাতায়াত না করা সত্ত্বেও কিভাবে ওই ব্যক্তি নবস্ট্রেনে আক্রান্ত হলেন, সে বিষয়ে উঠছে প্রশ্ন।
ব্রিটেনে না যাওয়া সত্ত্বেও ঢুকে পড়ল নয়া করোনা, উঠছে প্রশ্ন
সূত্রের খবর, ব্রিটেনে না যাওয়া সত্ত্বেও ডেনভারের বছর কুড়ির ওই যুবকের শরীরে কিভাবে বাসা বাঁধল করোনা, সেটা ভেবেই আতঙ্কিত মার্কিনীরা। বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে এই সংক্রান্ত সকল প্রশ্নের জবাব দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে আমেরিকার স্বাস্থ্যমন্ত্রক। অন্যদিকে সিএসআইআর-এর তরফে খবর, গত সপ্তাহে গিসেইড-এর কাছে ৪,০০০ জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের ফলাফল জমা করেছে সিএসআইআর।
ভারতে নতুন স্ট্রেনের জোয়ারে আক্রান্ত ২০
ভারতীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে খবর, ৪,০০০-এর মধ্যে ২,২০০ নমুনা পরীক্ষা করেছে সিএসআইআর, দিল্লির আইজিআইবি ও হায়দ্রাবাদের সিসিএমবি। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের খবর, মঙ্গলবার ৭ জনের পাশাপাশি বুধবার আরও ১৩ জন আক্রান্ত হওয়ায় গোটা ভারতেই ক্রমেই বাড়ছে আশঙ্কা। অন্যদিকে, কানাডা, ইতালি ও সৌদি আরবে করোনার নয়া স্ট্রেন বি.১.১.৭-এর চোখরাঙানিতে ঘরবন্দি হয়েছেন নাগরিকরা।
৩০, ৩১ ডিসেম্বর থেকে ১ জনুয়ারি ফের করোনার কড়া বিধি লাগু হতে পারে! কেন্দ্রের কোন নির্দেশিকা