China in Middle East: আমেরিকা এখন অতীত! মধ্যপ্রাচ্যে চিনের প্রেসিডেন্ট জিনপিং-এর জন্য লাল কার্পেট
গত ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরে আন্তর্জাতিক জ্বালানির বাজারে অভূতপূর্ব পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ভারত মধ্যপ্রাচ্য থেকে তেলের পরিমাণ কমিয়ে রাশিয়ার থেকে তেল কেনার পরিমাণ বাড়িয়েছে। এদিকে সেই তেল
গত ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরে আন্তর্জাতিক জ্বালানির বাজারে অভূতপূর্ব পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ভারত মধ্যপ্রাচ্য থেকে তেলের পরিমাণ কমিয়ে রাশিয়ার থেকে তেল কেনার পরিমাণ বাড়িয়েছে। এদিকে সেই তেল নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আবেদন নাকচ করার পরে সৌদি আরব চিনের প্রেসিডেন্ট জিনপিংয়ের জন্য লাল কার্পেট বিছিয়ে দিয়েছে।
সৌদি আরব সফরে চিনের প্রেসিডেন্ট
সৌদি আরব সফর করবেন জিনপিং। তিনি সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মহম্মদ বিন সলমন এবং আরব ভূখণ্ডের অন্য নেতাদের সঙ্গে একটি আঞ্চলিক শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেবেন। এই সময় চিনের তরফে ৩০ বিলিয়ন ডলারের চুক্তির প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে শক্তি ছাড়াও রয়েছে পরিকাঠামোর বিষয়ও।
উদ্বিগ্ন আমেরিকা
চিনে জিরো কোভিড নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয় সম্প্রতি। তারপরে প্রাক্তন নেতা জিয়াং জেমিনের মৃত্যু। যার জেরে বুধবার সকালে চিনের তরফে প্রেসিডেন্টের সফর নিশ্চিত করা হয়। এই বৈঠক শুধু চিনই নয়, প্রিন্স মহম্মদ উভয়ের কাছেই দুদেশের মধ্যে সম্পর্কের উন্নয়নের সুযোগ তৈরি করেছে। বিপরীতে যেখানে আমেরিকার সঙ্গে সৌদি আরবের সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। সৌদির আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, জিনপিং-এর এই সফর গত কয়েক বছরে দু-দেশের মধ্যে সম্পর্ক বৃদ্ধির চূড়ান্ত মুকুট। বিষয়টি নিয়ে আমেরিকা যথেষ্টই উদ্বিগ্ন।
আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ
গত
অক্টোবরে
আমেরিকা
তেল
উৎপাদন
কমানো
নিয়ে
সৌদি
আরবের
সঙ্গে
রাশিয়ার
যোগসাজসের
অভিযোগ
এনেছিল।
সেই
সময়
দুদেশের
সম্পর্ক
খারাপ
জায়গায়
পৌঁছে
যায়।
একটা
সময়ে
মার্কিন
যুক্তরাষ্ট্র
সৌদি
আরবের
সব
থেকে
বড়
বাণিজ্যের
অংশীদার
ছিল।
তবে
সেক্ষেত্রে
চিন
আমেরিকাকেও
ছাড়িয়ে
যায়।
২০১২
সালে
যেখানে
আমেরিকার
সঙঅগে
সৌদি
আরবের
বাণিজ্য
ছিল
৭৬
বিলিয়ন
ডলার,
সেখানে
২০২১-এ
তা
নেমে
হয়েছে
২৯
বিলিয়ন
ডলারে।
তবে
এর
পিছনে
কারণও
রয়েছে।
আগে
যেখানে
মার্কিন
যুক্তরাষ্ট্র
মধ্যপ্রাচ্য
থেকে
যে
পরিমাণ
তেল
আমদানি
করত,
তা
এখন
করে
না।
চিন
এখন
সৌদি
আরব
থেকে
সব
থেকে
বেশি
অপরিশোধিত
তেল
নিয়ে
থাকে।
পারস্য উপসাগরে প্রভাব বাড়াচ্ছে চিন
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সৌদি আরব এবং আশপাশের এলাকায় বিপুল সংখ্যক সৈন্য মজুত করে রাখলেও, চিন এই এলাকায় প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। গত মাসে সংযুক্ত আরব আমীরশাহিতে থাকা চিনের রাষ্ট্রদূত বলেছিলেন, চিন ও ছটি উপসাগরীয় দেশের সহযোগিতা পরিষদের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। মার্কিন কালো তালিকাভুক্ত টেলিকম সংস্থা হুয়েই টেকনোলজিস মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে কার্যকলাপ বৃদ্ধি করেছে। এছাড়া চিনের স্টেট গ্রিড কর্পোরেশন মধ্য প্রাচ্যে তাদের বিনিয়োগ বাড়িয়েছে।