করোনা মোকাবিলায় আমেরিকা যথেষ্ট পদক্ষেপ করতে ব্যর্থ, দাবি বিল গেটসের
করোনা মোকাবিলায় আমেরিকা যথেষ্ট পদক্ষেপ করতে ব্যর্থ, দাবি বিল গেটসের
ধনকুবের বিল গেটসের মতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কোভিড–১৯ মহামারি মোকাবিলায় যথেষ্ট পদক্ষেপ করছে না। এক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাতকারে বিল গেটস জানিয়েছেন যে আমেরিকায় এখনও মানুষ মরছে, যেটা প্রমাণ করছে যে এই দেশে কোভিড–১৯ মহামারি রোধের জন্য এখনও যথেষ্ট কোনও পদক্ষেপ করতে পারেনি।
আমেরিকার পদক্ষেপে হতাশ
বিশ্বব্যাপী ভাইরাস পরিচালনায় মার্কিন নেতৃত্বের অভাবের কারণে বিল গেটস হতাশও হয়েছিলেন, যার ফলশ্রুতি হিসাবে ভারত এবং ব্রাজিলের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলি এই রোগের কবলে পড়েছে। কোভিড সঙ্কট চলাকালীন বিল গেটস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ‘অভ্যন্তরীণ দিকে ফেরাতে' পেরেছিলেন এবং মেলিন্ডা বলেন, ‘কৃষ্ণাঙ্গদের আগে প্রতিষেধক দেওয়া উচিত।'
আমেরিকার সমালোচনায় বিল গেটস
১৮ জুন বিশ্বব্যাপী প্রথম ভার্চুয়াল ফোর্বস ৪০০ শীর্ষ সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিল গেটস সমালোচনা করেছিলেন আমেরিকার মহামারি ও মহামারি রোধ করতে যে দুর্বল প্রয়াস করা হচ্ছে তার। মাইক্রোসফট সহ-প্রতিষ্ঠাতা বলেন, ‘সাধারণভাবে বিশ্বের সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে বিরাট ভূমিকা পালন করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তাই শুধু দায় চাপানের চেষ্টা না করে, তাদের থেকে (হু) সরে না এসে বরং অন্য দেশগুলির সঙ্গে সহযোগিতা করা উচিত।' বিল গেটস বলেন, ‘এটা কৌশলগত পরিস্থিতি, আমেরিকাকে এর অভ্যন্তরে গিয়ে কাজ করতে হবে।'
বিল গেটস চান করোনা রুখতে সব দেশ এক হয়ে কাজ করুক
বৃহস্পতিবারই আমেরিকার রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, ২.৪ মিলিয়নের বেশি করোনা ভাইরাস কেস রয়েছে এই দেশে এবং ১২৬,০০০ জনের বেশি মারা গিয়েছে এই রোগে আক্রান্ত হয়ে এবং আমেরিকার অনেক শহরেই বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। বিল গেটস বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি বিভিন্ন দেশকে একসঙ্গে নিয়ে কাজ করতে। ইউরোপিয়ান নেতৃত্বরা চেষ্টা করছে ফাঁকা জায়গা পূরণ করার।' তিনি আরও বলেন, ‘কিন্তু আমেরিকার নেতৃত্বদের নিষ্ক্রিয়তার জন্য দেশের বাসিন্দাদের আত্মবিশ্বাস, দেশের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক ও দেশের প্রতি আনুগত্য হ্রাস পেতে শুরু করেছে।'
প্রথম প্রতিষেধক পাওয়ার অধিকার স্বাস্থ্যকর্মীদের
৬৪ বছরের বিল জানিয়েছেন যে তিনি করোনা ভাইরাস প্রতিষেধক তৈরি করতে পারবে এমন তিন সংস্থার প্রতি আশাবাদী, তারা হল মডেরনা, অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও জনসন অ্যান্ড জনসন। তিনি মনে করেন, বছরের শেষের দিকে বা ২০২১ সালের প্রথম দিকে একটি কার্যকর টিকা থাকবে। বিল ও মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা মেলিন্ডা বলেন, ‘আমরা এই প্রতিষেধক তৈরির কাজে নিজেদের এইজন্য যুক্ত করলাম কারণ আমেরিকা চায় না প্রথম প্রতিষেধক কোনও জনবহুল দেশে প্রথম যাক।' মেলিন্ডা আরও বলেন, ‘বিশ্বজুড়ে ৬০ মিলিয়ন স্বাস্থ্য কর্মী রয়েছেন, তাঁদের প্রতিষেধক পাওয়ার অধিকার সবার আগে, কারণ তাঁরাই এই মহামারির বিরুদ্ধে সামনের সারির কর্মী হিসাবে লড়ছে, আমাদের নিরাপদে রাখার চেষ্টা করছে। স্বাস্থ্য কর্মীদের এই প্রতিষেধক দেওয়ার পর আপনার উচিত জনসংখ্যা ও দেশের ভিত্তিতে প্রতিষেধক দেওয়া শুরু করা।'
আমেরিকায় কৃষ্ণাঙ্গদের আগে প্রতিষেধক পাওয়া দরকার
মেলিন্ডা বলেন, ‘আমেরিকায়, এখানে কৃষ্ণাঙ্গ মানুষ ও আদিবাসীদের প্রথম এই প্রতিষেধক দেওয়া দরকার, এরপর যাঁদের উপসর্গ দেখা দিয়েছে তাঁদের এবং তারপর বয়স্কদের।' প্রসঙ্গত, বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণ করতে বিল ও মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ৩৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
আমেরিকার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনেও এবার সিএএ-এনআরসি তরজা, কাশ্মীর-অসম নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ বাইডেনের