শুধু ব্যবসা নয় , নবী নিয়ে মন্তব্যের জেরে ভারতে আছড়ে পড়তে পারে উপসাগরীয় 'মহাবিপদ'
শুধু ব্যবসায়িক দিক থেকে নয় ইসলামের প্রতিষ্ঠাতা পবিত্র নবীকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জের পড়তে পারে আরব দেশগুলিতে থাকা ভারতীয়দের উপরেও। ফলে ওই দেশগুলির সঙ্গে যে সাংস্কৃতিক মেলবন্ধন রয়েছে তাতে বড় প্রভাব পড়তে পারে। সে দিক থেকে চাপে পড়তে পারে ভারত সরকার। সেখানকার মানুষ যদি ভারতীয়দের উপর খারাপ ব্যাবহার শুরু করে সরকারের ব্যাপক চাপ হবে, কারণ অন্যান্য ক্ষেত্রে যখন ভারতীয়রা কোন ঘটনার জেরে বিদেশ ছেড়ে দেশে ফিরেছেন বা সরকার বিপদের মুখে বিদেশ থাকা ভারতীয়দের দেশে ফিরিয়েছে তখন সমস্যাগুলি সে দেশেরই ছিল। এক্ষেত্রে সমস্যার তীর যে খোদ ভারতের দিকেই।
চাপে ভারত
আরবের দেশগুলি বিজেপি'র মুখপাত্র নূপুর শর্মার করা মন্তব্য নিয়ে নাগাড়ে প্রতিবাদ করছে। এই দেশগুলি মুসলিম অধ্যুষিত দেশ। নূপুর শর্মা ও বিজেপির মিডিয়া সেলের প্রধান একসঙ্গে ইসলামের সৃষ্টি কর্তাকে নিয়ে নানা বিতর্কিত মন্তব্য করেন। এরপর থেকেই বিতর্কের শুরু। তড়িঘড়ি দুজনকেই দল থেকে বরখাস্ত করা হলেও ফল কিছু হয়নি। দল যতটা না চাপে পড়েছে তার থেকে আন্তর্জাতিক ভাবে ভারত দেশ হিসাবে চাপে পড়েছে।
বিতর্ক ভারতের ভাবমূর্তিতে প্রভাব ফেলতে পারে
আর সেই চাপ মোকাবিলা করতে গিয়ে নাস্তানাবুদ অবস্থা কেন্দ্রীয় সরকারের। ভারতের বিরুদ্ধে এখন প্রতিবাদী ্দেশের সংখ্যা সাত। এর মধ্যে পাকিস্তানও আছে, তবে এই ঘটনায় পাকিস্তান নিয়ে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক ততটা চাপে পড়বে না বা পড়ছে না যতটা সরকারের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে উপসাগরীয় দেশগুলি। কারণ এখানে সরকার শুধু ব্যাবসা নিয়ে চিন্তায় পড়বে না সমস্যা হতে পারে ওইসব দেশগুলিতে জীবিকার উদ্দেশ্যে পারি দেওয়া মানুষদের জন্য। আর তাঁরা চাপে পড়লে আন্তর্জাতিক মহলে ভারতের ভাবমূর্তি এবং চিন্তাভাবনা নিয়ে বড় প্রশ্ন উঠে যাবে।
ইতিহাস ও সংস্কৃতি
যে
সম্পর্কগুলি
উপসাগর
এবং
ভারতকে
আবদ্ধ
করে
তা
কেবল
ব্যবসা-বাণিজ্য
নয়,
ইতিহাস
ও
সংস্কৃতির
উপর
ভিত্তি
করেও
তা
দাঁড়িয়ে
রয়েছে।
উপসাগরীয়
অঞ্চলে,
লক্ষ
লক্ষ
ভারতীয়
বাস
করে
এবং
কাজ
করে
এবং
এটি
ভারতে
পাঠানো
রেমিটেন্সের
বৃহত্তম
অংশ
তৈরি
করে।
বছরের
পর
বছর
ধরে,
এই
দেশগুলির
সাথে
ভারতের
ব্যবসায়িক
সংযোগ
কেবল
শক্তিশালী
হয়েছে।
ভারত
তার
তেলের
চাহিদার
জন্য
এই
অঞ্চলের
উপর
অনেক
বেশি
নির্ভর
করে।
সংযুক্ত
আরব
আমিরাশাহিতে
ভারতীয়দের
সংখ্যার
এক
তৃতীয়াংশেরও
বেশি।
উপসাগরীয়
অঞ্চলে
৮৯
লক্ষ
ভারতীয়
নাগরিক
রয়েছে।
তাঁরা
সমস্যায়
পড়লে
বিপদ
ব্যাপক
ভাবে
বাড়বে
ভারত
সরকারের
ভারতীয়দের ব্যবসায় সমস্যা
উপসাগরীয় দেশগুলির কিছু বড় দোকান এবং রেস্তোরাঁর মালিকানা ভারতীয়দের। সেখানে ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাক দেওয়ায় ভারতীয়দের মালিকানাধীন ব্যবসায় সমস্যা হতে পারে।
সংযুক্ত
আরব
আমিরশাহি
ভারতের
তৃতীয়
বৃহত্তম
বাণিজ্য
অংশীদার।
উপসাগরীয়
রাষ্ট্রগুলোও
ভারতের
উপর
নির্ভরশীল।
মার্কিন
যুক্তরাষ্ট্রের
পরে,
সংযুক্ত
আরব
আমিরাশাহি
হল
ভারতের
দ্বিতীয়
বৃহত্তম
রপ্তানি
গন্তব্য
এবং
তৃতীয়
বৃহত্তম
ব্যবসায়িক
অংশীদার।
২০২১-২২ সালে ভারত এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের মূল্য ছিল ৭২.৯ বিলিয়ন ডলার, ভারতের রপ্তানি পরিমাণ ছিল ২৮.৪ বিলিয়ন ডলার। সদ্য সমাপ্ত ব্যাপক অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তির অধীনে, ২০২৬ সালের মধ্যে মোট বাণিজ্য ১০০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
উপসাগরীয় অঞ্চল বিশেষ করে খাদ্য ও শস্য আমদানির উপর নির্ভরশীল; তাদের খাদ্যের ৮৫% এবং তাদের ৯৩% শস্য আমদানি করা হয়। চাল, মহিষের মাংস, মশলা, সামুদ্রিক পণ্য, ফলমূল, শাকসবজি এবং চিনি সবই ভারত থেকে রপ্তানি সেখানে যায়।
উপসাগরীয়
দেশগুলির
এভিয়েশন
ইন্ডাস্ট্রি
ভারতীয়দের
উপর
অনেক
বেশি
নির্ভর
করে।
ভারতে
রেমিটেন্সের
প্রায়
অর্ধেক
আসে
মাত্র
পাঁচটি
উপসাগরীয়
দেশ
থেকে।
২০১৮
সালে,
মাত্র
পাঁচটি
উপসাগরীয়
দেশ
সমস্ত
রেমিটেন্সের
অর্ধেকেরও
বেশি
ছিল।
কেরালায়
রেমিট্যান্সের
সর্বোচ্চ
শতাংশ
রয়েছে।
সাম্প্রতিক
বছরগুলিতে
দিল্লির
অংশ
বেড়েছে।
উত্তরপ্রদেশ
এবং
বিহারেও
তা
যথেষ্ট
বৃদ্ধি
পেয়েছে।
ভারতের
অশোধিত
তেলের
৬০
শতাংশের
বেশি
সরবরাহ
করে
উপসাগরীয়
অঞ্চল।
ভারত
উপসাগরীয়
দেশগুলি
থেকে
উল্লেখযোগ্য
পরিমাণে
অপরিশোধিত
তেল
আমদানি
করে,
শুধুমাত্র
তার
শক্তির
চাহিদা
মেটাতে
নয়
বরং
কৌশলগত
এবং
নিরাপত্তার
কারণেও৷
ভারতের
পেট্রোলিয়াম
মন্ত্রী
হরদীপ
পুরি
মার্চ
মাসে
সংসদে
বলেছিলেন
যে
ভারত
প্রতিদিন
৫
মিলিয়ন
ব্যারেল
তেল
ব্যবহার
করে,
যার
৬০
শতাংশ
আসে
উপসাগর
থেকে।