পৃথিবীর মতো এই গ্রহে হাজার কোটি বছর ধরে কি লুকিয়ে ভিনগ্রহের প্রাণীরা
বেশ কয়েকটি গ্রহ ইতিমধ্যে আবিষ্কার হয়েছে যেখানে এলিয়েন বা ভিনগ্রহের প্রাণীদের লুকিয়ে থাকা আশ্চর্যের নয়।
স্টিফেন হকিং বেশ কিছুদিন আগে বলেছিলেন, বাঁচতে হলে আগামী একশো বছরের মধ্যে পৃথিবী ছাড়তে হবে মানবজাতিকে। পাশাপাশি এটাও আশঙ্কা করেছেন যে ভিনগ্রহের প্রাণীরা যেকোনও সময় পৃথিবীর দখল নিজেদের হাতে নিয়ে নিতে পারে। তাঁর এই দাবিকে সত্য বলে মেনে নিলে এমন বেশ কয়েকটি গ্রহ ইতিমধ্যে আবিষ্কার হয়েছে যেখানে এলিয়েন বা ভিনগ্রহের প্রাণীদের লুকিয়ে থাকা আশ্চর্যের নয়।
মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা পৃথিবীর বাইরে প্রাণের সন্ধান পেতে হাবল টেলিস্কোপ ব্যবহার করছে। সেখানে প্রাণের ও জলের অস্বিত্ব রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মনে করা হচ্ছে বেঁচে থাকতে যে প্রাথমিক বিষয়গুলি প্রয়োজন তার খোঁজ বহির্বিশ্বে পাওয়া যেতে পারে। এই ভাবনাকে সামনে রেখেই গবেষণা চলছে।
[আরও পড়ুন : এলিয়েনের অস্তিস্ব রয়েছে, দেখতেও মানুষের মতোই, বলছেন বিশেষজ্ঞরা]
তবে সাম্প্রতিক গবেষণায় যে তথ্য সামনে এসেছে তা চমকে দেওয়ার মতো। কিছুদিন আগে ট্র্যাপিস্ট ১-এর গ্রহদের নিয়ে তথ্য জানিয়েছে নাসার হাবল টেলিস্কোপ। এবার সেই ট্র্যাপিস্ট সৌরজগতের মধ্যেই এলিয়েনের লুকিয়ে থাকার সম্ভাবনা নিয়ে জানানো হয়েছে।
[আরও পড়ুন : পৃথিবীর খুব কাছেই মহাকাশ থেকে 'এলিয়েন' সঙ্কেত পেলেন বিজ্ঞানীরা]
নাসা এখন এই নতুন আবিষ্কৃত গ্রহগুলির মধ্যে প্রাণের সম্ভাবনা কতটা তা নিয়ে উৎসাহিত। পৃথিবীর মতো এখানেও প্রাণের অস্বিত্ব খুঁজে পেলে তার থেকে বড় ঘটনা আর কিছু হবে না।
[আরও পড়ুন : TRAPPIST-1 সৌরজগত নিয়ে অজানা তথ্য]
প্রসঙ্গত, এই বছরের জানুয়ারি মাসে ট্র্যাপিস্ট ১ সৌরজগতের খোঁজ পান বিজ্ঞানীরা। এই সৌরজগতটি পৃথিবী থেকে মাত্র ৩৯ আলোক বর্ষ দূরে অবস্থিত। সেখানে রয়েছে পৃথিবীর মতো ৭টি গ্রহ। যাদের মধ্যে ৩টির উষ্ণতার মান পৃথিবীর উষ্ণতার সমান। এখানের প্রাণের অস্তিত্ব থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে, ৭টি গ্রহরই আকার পৃথিবীর মতো। একটি মাত্র নক্ষত্রকে কেন্দ্রে করে এখানে ৭টি গ্রহ আবর্তন করছে।