ফের বড় সাফল্য মার্কিন সেনার, নিকেশ ইয়েমেনের আল-কায়েদা প্রধান
আইএস-এর মাথা বাগদাদিকে কয়েকদিন আগেই খতম করেছিল আমেরিকা। এবার ইয়েমেনে জঙ্গি দমনের ক্ষেত্রে আরও সাফল্য হাত লাগল মার্কিন সেনার। ইয়েমেনে আল কায়েদা প্রধান কাসিম আল-রিমিকে খতম করল মার্কিন সেনা। ইয়েমেনের আল কায়েদা প্রধানকে নিকেশ করার কথা বৃহস্পতিবার টুইট করে জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
আরব সাগর অঞ্চলে প্রভাবশালী ছিল এই কাসিম আল-রিমি
আরব সাগরের পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলিতে আল কায়দার মাথা ছিল এই কাসিম আল-রিমি। গত বছর ডিসেম্বরে ফ্লরিডার পেনাস্কোলা মার্কিন নৌসেনা ঘাঁটিতে অতর্কিতে হামলা চালায় আল কায়দা। প্রাণ হারিয়েছিলেন তিন মার্কিন নৌসেনা কর্মীর। এই নাশকতার মূল মাথা ছিল কাসিম আল-রিমি।
'আমেরিকার উপর আঘাত হানলে বদলা নেবই'
গতকাল হোয়াইট হাউসের তরফ থেকে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, ইয়েমেনে আল কায়দা প্রধান নিকেশ অভিযান সফল হয়েছে। ঠিক কবে এবং কীভাবে কাসিমকে হত্যা করা হয়েছে সেই তথ্য এখনও সামনে আনেনি হোয়াইট হাউস। অবশ্য ৩১ জানুয়ারি থেকেই কাসিম আল-রিমির হত্যার কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল। তবে গতকাল প্রথমবার সরকারি ভাবে এই খবরের সত্যতা স্বীকার করে আমেরিকা। এই বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, 'আমেরিকার উপর আঘাত হানলে আমরা তার বদলা নেবই। নিকেশ করা হবে সেই সন্ত্রাসবাদীদের।'
এর আগে একাধিক চেষ্টাতেও মারা যায়নি কাসিমকে
২০০৬ সালে ইয়েমেনের জেল থেকে মুক্তি পেয়েই জিহাদি কার্যকলাপ শুরু করে দেয় কাসিম আল-রিমি। ২০০৯ সালে আল কায়দার আরব উপদ্বীপ শাখার কার্যক্রম শুরু হয়। সৌদি আরব এবং ইয়েমেন থেকে মার্কিন সমর্থিত সরকার এবং পশ্চিমা প্রভাব মুক্ত করাই ছিলে এই শাখার লক্ষ্য। মোস্ট ওয়ান্টেড আল কায়দা প্রধানকে খতম করতে ২০১৭ সালেই আরাবিয়ান পেনিনসুলায় ১৩১ বার এয়ার স্ট্রাইক চালায় আমেরিকা। ২০১৮ সালে ৩৬ বার। প্রতিবারই বেঁচে পালিয়ে যায় কাসিম।