আদর্শগত কারণে ভারতে হামলার পরিকল্পনা আলকায়দার! স্বাধীনতা দিবসের আগে রিপোর্ট রাষ্ট্রসঙ্ঘের
ভারতের ৭২তম স্বাধীনতা দিবসের ঠিক আগে, রাষ্ট্রসঙ্ঘের প্রকাশিত এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, আল কায়দা মতাদর্শগতভাবে ভারতে হামলা চালানোর জন্য আগ্রহী। তবে আপাতত তাদের ক্ষমতা ও লোকবল দুইই কম।
৭২তম স্বাধীনতা দিবসের ঠিক আগে আল কায়দা জঙ্গী গোষ্ঠীর ভারতীয় শাখা আলকায়দা অন দ্য ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্ট বা আইকিউআইএস নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করল রাষ্ট্রসঙ্ঘ। তাতে বলা হয়েছে ভারতে হামলা চালানর জন্য এই গোষ্ঠীটি 'আদর্শগতভাবে আগ্রহী'। কিন্তু এই অঞ্চলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করায় আপাতত এই গোষ্ঠী ক্ষমতা ও লোকবলের দিক থেকে অনেক কম বলে জানানো হয়েছে।
ইউএন সিকিওরিটি কাউন্সিলের আলকায়দা স্যাংশন কমিটির সামনে এই রিপোর্ট পেশ করে অ্যানালিটিকাল সাপোর্ট অ্যান্ড স্যাংশন মনিটরিং টিম। তাদের দাবি বর্তমানে আইকিউআইএস তুলনায় অন্যান্য জঙ্গী-গোষ্ঠীগুলির থেকে বিচ্ছিন্ন এবং ভারতীয় উপমহাদেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ক্রমে জোরদার করায় তাদের ক্ষমতাও বেশ কম। কিন্তু তাই বলে হামলা হবে না এমনটা বলা যায় না। কারণ আদর্শগতভাবে তারা ভারতে হামলা চালাতে সবসময়ই আগ্রহী। কাজেই সবসময়ই নিরাপত্তার ফাঁক তারা খুঁজবে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে আইকিউআইএস-এর হাতে এই মুহূর্তে কয়েকশ' সদস্য রয়েছে। তারা ছড়িয়ে আছে আফগানিস্তানের লাগমান, পাকতিকা, কান্দাহার, গজনি ও জাবুল প্রদেশে। কোনও বড় ধরনের হামলা করার মতো ক্ষমতা এখনও না থাকায় তারা আপাতত স্থানীয়দের মন পাওয়ার কাজ করছে। স্থানীয় পরিবেশ, স্থানীয় আন্দোলন, স্থানীয় সম্প্রদায়গুলির মধ্যে নিজেদের প্রতিষ্টিত করতে চাইছে।
রাষ্ট্র সঙ্ঘের ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে এই মুহূর্তে ভারতীয় উপমহাদেশের সবচেয়ে আশু সন্ত্রাসবাদী হুমকি অবশ্যই আইএস জঙ্গীগোষ্ঠী। কিন্তু, আল কায়দাকে তাদের থেকেও বড় বিপদ বলা হচ্ছে। এর প্রধান কারণ আল কায়দা গোষ্ঠী বরাবরই অন্যান্য জঙ্গি-গোষ্ঠীগুলির তুলনায় বুদ্ধিবৃত্তি ও পরিকল্পনায় এগিয়ে। সেইসঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে তাদের খতম করার চেষ্টা হলেও তারা এখনও নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছে।
ওসামা বিন লাদেনের মৃত্যুতে আল কায়দা ভেঙে যাবে এমনটাই মনে করা হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। রয়ে গিয়েছে তাদের কোর গ্রুপ। রাষ্ট্র সঙ্ঘের সাম্প্রতিক রিপোর্টটির দাবি, আফগান-পাক সীমান্তে রয়েছেন কুখ্যাত আল কায়দা নেতা আইমান আল-জাওয়াহিরি। সেখানেই আছেন ওসামা-পুত্র হামজা বিন লাদেনও। তাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে তালিবানদের। কোর গ্রুপের বাকি সদস্যরা আরও নিরাপদ কোনও স্থানে আত্মগোপন করে আছেন। আপাতত ক্ষমতা কম থাকলেও যে কোনও সময়ই আবার শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে তারা, এমনটাই আশঙ্কা করা হচ্ছে।