তালিবানকে শুভেচ্ছা জানিয়ে কাশ্মীর নিয়ে ফোকাস বাড়াচ্ছে আল কায়দা! ভূস্বর্গ নিয়ে কোন বার্তা জঙ্গি গোষ্ঠীর
তালিবানকে শুভেচ্ছা জানিয়ে কাশ্মীর নিয়ে ফোকাস বাড়াচ্ছে আল কায়দা! ভূস্বর্গকে নিশানা করে কোন বার্তা জঙ্গি গোষ্ঠীর
৩১ অগাস্ট আফগানিস্তানের মাটি ছেড়ে চলে গিয়েছে মার্কিনি সেনা। আর সেই দিনকে স্বাধীনতার পথে এক ধাপ বলে বর্ণনা করে আতশ বাজিতে আকাশ রাঙিয়েছে তালিবান। এদিকে, আফগানিস্তানের মাটিতে পর পর রক্তবন্যা বয়ে যাওয়ার নানান ঘটনা প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। এমন এক পরিস্থিতিতে জঙ্গি সংগঠন আল কায়দা তালিবানকে শুভেচ্ছা জানিয়ে ফের একবার কাশ্মীরের দিকে ফোকাস বাড়ানোর বার্তা দিয়ে রেখেছে। একনজরে দেখে নেওয়া যাক, তালিবানকে দেওয়া শুভেচ্ছাবার্তার মধ্যে কী বলেছে আল কায়দা।
আল কায়দা কী জানিয়েছে?
এক বিবৃতিতে আফগানিস্তানে তালিবান-রাজকে স্বাগত জানিয়ে তালিবানিদের প্রতি শুভেচ্ছা বার্তা জানিয়েছে জঙ্গি সংগঠন আল কায়দা। একই সঙ্গে আল কায়দার দাবি, 'ইসলামের শত্রুদের হাত থেকে মুক্ত' করতে হবে কাশ্মীরকে। একই সঙ্গে লাদেন প্রদর্শিত পথে হাঁটা জঙ্গি সংগঠনটির দাবি, প্যালেস্টাইন, লেভান্ত, সোমালিয়া, ইয়েমেনকেও 'মুক্ত' করতে হবে। প্রসঙ্গত, বহুদিন ধরেই আমেরিকার নিশানায় রয়েছে এই সংগঠন। এককালে এই জঙ্গি শিবিরের নেতা লাদেনের মাথার দাম ঘোষণার পর , তাকে পাকিস্তানের মধ্যে অ্যাবেতাবাদের বাড়িতে ঢুকে নিকেশ করে মার্কিনি সেনা। এরপর ফের একবার আল কায়দার এমন বার্তার পর বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলি কোন স্টান্স নেয়, তা নিয়ে রয়েছে জল্পনা।
তালিবান, আফগানিস্তান ও আল কায়দা
আলকায়দার তরফে তালিবানদের এদিনের বিবৃতিতে শুভেচ্ছা বার্তার পাশাপাশি, তারা জানিয়েছে, যা ঘটেছে বা যা হয়েছে তা ঈশ্বরের ইচ্ছায় আফগানিস্তানে স্বাধীনতা এসেছে। আর এর জন্যই তারা তালিবানদের অভিনন্দন জানায়। প্রসঙ্গত, আমেরিকার সেনা আফগানিস্তানের মাটি ছাড়ার ঘোষণার পর থেকেই আফগান প্রান্তরে ঝড় তুলে একের পর এক এলাকা দখল করে তালিবানরা। এরপর গত ২০২১ সালের ১৫ অগাস্ট কাবুলে পা রাখে তালিবান। ফের ২০ বছর আগের শাসনকালের ত্রাস ফিরিয়ে এনে কার্যত বিধ্বস্ত করতে শুরু করে তারা কাবুলকে। পর পর রক্তপাতে ক্লান্ত হয়ে দেশ ছাড়ার পথে পা বাড়ান বহু আফগানি নাগরিক।
শান্তি চুক্তি ও তালিবান
এর আগে , তালিবানের সঙ্গে আমেরিকার ঐতিহাসিক শান্তি চুক্তি সম্পন্ন হয়। সেই চুক্তি অনুসারে জঙ্গি গোষ্ঠী আল কায়দার সঙ্গে তালিবান কোনও যোগ রাখতে পারবে না বলে জানানো হয়। তবে বাস্তবের মাটিতে তা হয়নি। রাষ্ট্রসংঘের একটি রিপোর্টে বলা হচ্ছে যে, আফগানিস্তানে তালিবানরা বহু দিন আগে থেকেই আল কায়দার সঙ্গে যোগ রাখছে। ফলে তালিবান যে আগের মতোই হিংস্রতার ছায়ায় রয়েছে , তা বলাই বাহুল্য।
USA সেনাবাহিনী ফিরে গিয়েছে, ATM-এর বাইরে ভীত সন্ত্রস্ত মানুষের লম্বা লাইন কাবুলে
আফগান মুলুক নিয়ে আল কায়দার দাবি
আল কায়দার বিবৃতিতে সাফ জানানো হয় যে, 'আমেরিকা দুষ্টের সাম্রাজ্য'। জঙ্গি সংগঠনের দাবি, যদি আফগানিস্তানের ঘটনা বিশ্বের বহু বিপর্যস্তের কাছে একটি অনুপ্রেরণার ঘটনা। যাঁরা দমিত রয়েছেন তাঁদের কাছে আফগানিস্তানে তালিবানি জয়কে 'অনুপ্রেরণা' বলে বর্ণনা করেছে আল কায়দা। এই বিষয়ে তারা জিহাদের পক্ষেও একাধিক বার্তা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আলকায়দার এমন বক্তব্য নিয়ে বিশ্বের দেশগুলি কোন পথে হাঁটে বা আমেরিকা কোন স্টান্স নেয় , সেদিকে তাকিয়ে সমস্ত মহল।