বাগদাদির পর আইএস-এর 'সেকেন্ড ইন কমান্ড' মুজাহিরকেও নিকেশ ! আইএস নিধনে সাফল্যের দাবি ট্রাম্পের
আইএস জঙ্গি শিবিরের প্রধান বাগদাদির নিধনের পর আলোচনা চলছিল যে এবার জঙ্গি শিবিরের তখতে কে বসতে পারে, তা নিয়ে। তবে যাবতীয় আলোচনা , কৌতূহলের সমাপ্তি ঘটিয়ে ট্রাম্প প্রশাসন জানিয়ে দেয় সাফ যে আইএস আর মাথাচাড়া দিতে পারবে না। কারণ বাগদাদির পরিবর্ত হিসাবে যাকে ভেবেছিল আইএস , সেই আবু হাসান আল মুজাহির খতম!

মার্কিন সেনার হাতে নিকেশ আইএস 'সেকেন্ড ইন কমান্ড'
বাগদাদি যখন আইএস জঙ্গিদের প্রধান হিসাবে তখত সামলাচ্ছেন তখন , জঙ্গিসংগঠনের সেকেন্ড ইন কমান্ড আবু আল হাসান মুজাহিরকে পরবর্তী প্রধান হিসাবে ধরে নিয়েছিল আইএস । সেই মুজাহিরকেও যে মার্কিন সেনা নিকেশ করে দিয়েছে, তা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

কে এই মুজাহির?
মূলত, সিরিয়ায় আইএস এর অন্যতম মুখপাত্র ছিল এই মুজাহির। বিভিন্ন সময় তার ভিডিও ভাইরাল হতে দেখা গিয়েছে। সেই ভিডিওগুলিতে বারবার সন্ত্রাস ছড়ানো ও জঙ্গি হামলা নিয়েই বার্তা দেওয়া হয়েছে। তবে আসলে এই মুজাহির কোন দেশের লোক তা জানা যায় না। শুধু জানা যায়, সিরিয়ায় অনুপ্রবেশকারী হিসাবে আত্মপ্রকাশ মুজাহিরের।

কিভাবে মারা হয়েছে মুজাহিরকে?
মার্কিন সেনা সূত্রের দাবি, বাগদাদি-নিধন ছাড়াও আরও একটি আলাদা অভিযানে খতম করা হয়েছে। মার্কিন সেনার বিশেষ ফোর্স কুর্দিশ যোদ্ধাদের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে এই অভিযান চালিয়ে খতম করে মুজাহিরকে।

কিভাবে মারা হয় বাগদাদিকে?
মার্কিন প্রশাসনের দাবি, সিরিয়ার যে সুড়ঙ্গে বাগদাদি ঢুকে নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করছিল, সেই জায়গায় নিজের 'ঢাল' হিসবে ৩ শিশুকে নিয়ে ঢোকে বাগদাদি। মার্কিন বাহিনির তাড়া খেয়ে চিৎকার করতে করতে ওই সুড়ঙ্গে ঢোকে বাগদাদি। কার্যত ওই সুড়ঙ্গটি ছিল বন্ধমুখ। যার একদিকে ছিল মার্কিন সেনার মিলিটারি কুকুর। গোটা চত্বর ততক্ষমে ফাঁকা করেছে মার্কিন সেনা। সুড়ঙ্গের মধ্যে ৩ টি শিশুকে নিয়ে ততক্ষণে বাগদাদি। শেষে উপায় না পেয়ে নিজের সুইসাইড জ্যাকেটের বোতাম টিপে বিস্ফোরণে নিজেকে ছিন্নভিন্ন করে বাগদাদি। এর ১৫ মিনিট পর সেখানেই বাগদাদির দেহাবশেষ থেকে ডিএনএ পরীক্ষা করে জঙ্গিনেতার মৃত্যু নিশ্চিত করে মার্কিন বাহিনী।