চোখ রাঙাচ্ছে করোনা! সংক্রমণ ঠেকাতে ফের লকডাউনের কবলে চিনের প্রায় ২ কোটি মানুষ
গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই চিনের বিস্তৃর্ণ এলাকায় ফের মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছে করোনা ভাইরাস। হু হু করে বাড়ছে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এমতাস্থায় ফের চিনের মূল ভূখন্ডের একটা বড় অংশে লকডাউন জারি করেছে সরকার। লকডাউনের কবলে পড়েছে ল্যাংফ্যাং শহরও। পাশাপাশি গোটা দেশে লকডাউনের আওতায় চলে গিয়েছেন ২ কোটি মানুষ।

ফের জারি লকডাউন
সূত্রের খবর, গত কয়েকদিনে বেলাগাম ভাবে করোনা সংক্রমণ দেখা যায় চিনের হেবেই প্রদেশে। চিন সরকারের খতিয়ান অনুযায়ী হেবেই প্রদেশের বাসিন্দাদের হাত ধরেই গত সপ্তাহ থেকেই করোনা কবলে চলে যায় ল্যাংফ্যাং শহর। এমতবাস্তায় প্রায় ৫০ লক্ষ জনবসতি যুক্ত এই শহরে লকডাউন জারি বিনা আর কোনও রাস্তাই খোলা ছিল না।

মঙ্গলবার জারি সরকারি বিবৃতি
সূত্রের খবর, মঙ্গলবারই সরকারি বিবৃতি জারি করে ল্যাংফ্যাংয়ে লকডাউন জারি করা হয়। এমনকী শহরের প্রায় প্রতিটি পরিবারকেই হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি করোনা পরীক্ষার জন্য গণহারে নিউক্লিক অ্যাসিড টেস্টিং শুরু হবে বলেও জানা যাচ্ছে। এদিকে চিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী মঙ্গলবার গোটা প্রদেশে ৫৫ জন নতুন করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। যা সোমাবার ছিল প্রায় ১০৩।

হেবেই সংলগ্ন পাশ্ববর্তী গ্রামগুলিতেও জাঁকিয়ে বসছে করোনা
অন্যদিকে চিনা বিশেষজ্ঞাদের ধারণা হেবেই প্রদেশ থেকেই পাশ্ববর্তী গ্রামগুলিতেও ঘাঁটি গেড়েছে করোনা। বর্তমানে ওই এলাকায় নতুন ৩০৫ জন করোনা আক্রান্তের মধ্যে ৭০ শতাংশই কৃষক বলে জানা যাচ্ছে।অন্যদিকে বেইজিংয়ের সীমানার কাছে ল্যাংফ্যাংয়ের অধীনস্থ গুয়ান এবং সানহে প্রদেশেও কড়া হোম কোয়ারেন্টাইনের বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

একাধিক শহরে জারি কড়া লকডাউন
একইসাথে হেবেই অধীনস্থ দুটি প্রধান শহর ছাড়াও মূল শহর শিজিয়াজুয়াংয়ের ফের কড়া করোনা বিধি জারি করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এই শহরের জনসংখ্যা আবার প্রায় ১ কোটি ১০ লক্ষের কাছাকাছি। অন্যদিকে ৭০ লক্ষ জনসংখ্যার জিঙ্গটাই প্রদেশেও কড়া লকডাউন জারি হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া আম-আদমির বাড়ির বাইরে বেরোনোর উপরেো রয়েছে কড়া নিষেধাজ্ঞা।

এক নজরে চিনের করোনা পরিসংখ্যান
অন্যদিকে স্থানীয় স্থরে করোনা সংক্রমণের ক্ষেত্রে বেজিং সন্নিহিত হেবেইকেই কাঠগড়ায় তুলছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। কারণ তথ্য বলছে সাম্প্রতিককালে আঞ্চলিক ভাবে করোনা সংক্রমণে ৪০ থেকে ৪২ শতাংশ অবদান রেখেছে এই শহর। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এখনও পর্যন্ত গোটা চিনে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৭ হাডার ৫১৯। পাশাপাশি মৃতের সংখ্যা ৪ হাজার ৬৩৪।

কৃষক বিক্ষোভ সমাধানে কমিটি গঠনের নির্দেশ, কারা রয়েছেন সেই বিশেষজ্ঞ কিমিটিতে একনজরে