কাশেম সুলেমানির মৃত্যুর পর আমেরিকার পতাকা টুইট ট্রাম্পের
কাশেম সুলেমানির মৃত্যুর পর আমেরিকার পতাকা টুইট ট্রাম্পের
বাগদাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মার্কিনী হামলায় মৃত্যু হয়েছে ইরানের কুদস ফোর্সের প্রধান জেনারেল কাশেম সুলেমানির। এই হত্যার পেছনে যে ডোনাল্ড ট্রাম্পের গোপন নির্দেশ ছিল তা নিজেই প্রমাণ করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। শুক্রবার তিনি আমেরিকার জাতীয় পতাকার ছবি পোস্ট করেন টুইটারে।
ট্রাম্পের টুইট প্রাথমিকভাবে এই ঘটনার পেছনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাত রয়েছে বলে জল্পনা ঘনীভূত হলেও, পরে হোয়াইট হাউস এবং পেন্টাগনের পক্ষ থেকে টুইট করে জানানো হয় যে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশেই এই মার্কিন হামলা হয়েছে। হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে বলেছে, 'প্রেসিডেন্টের নির্দেশে, মার্কিন সামরিক বাহিনী বিদেশী সন্ত্রাসবাদী সংস্থা ইরান বিপ্লবী গার্ড কর্পস–কুদস ফোর্সের প্রধান কাশেম সুলেমানিকে হত্যা করে বিদেশে মার্কিন কর্মীদের রক্ষার জন্য সিদ্ধান্তমূলক প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।’ এই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে যে, 'জেনারেল সুলেমানি ইরাকে আমেরিকান কূটনৈতিকবিদ এবং পরিষেবা কর্মীদের ওপর হামলা করার পরিকল্পনা করেছিল।’
— Donald J. Trump (@realDonaldTrump) January 3, 2020
ইরানের অভিজাত কুদস ফোর্সের প্রধান কাশেম সুলেমানি শুক্রবার বাগদাদ বিমানবন্দরে মার্কিনী বিমান হামলায় মারা যান। এই খবরটি নিশ্চিত করেছে ইরাকের এক টেলিভিশন চ্যানেল ও ইরাকের তিন সরকারি সূত্র। সুলেমানির পাশাপাশি এই হামলায় মারা গিয়েছে ইরান সমর্থিত পপুলার মোবিলাইজিং ফোর্সের নেতা আবু মাহাদির। এই হামলায় মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের। তবে তাদের এই অপমৃত্যু মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতিকে বদলে দেবে এবং আমেরিকা ও ইজরায়েলের বিরুদ্ধে ইরাক শীঘ্রই প্রতিশোধ নেবে। একটি রিপোর্ট অনুযায়ী , মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্দেশ অনুযায়ী, এই হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়েছে। মার্কিনী প্রতিরক্ষা সূত্রের দাবি, সোলেমানির কুদস ফোর্স হাজার হাজার মার্কিনীদের হত্যার জন্য দায়ী ছিল। আর তার জেরেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট এমন নির্দেশ দেন বলে খবর।