
হারের পর আমেরিকার 'ডিফেন্স স্টাফ'কে ভোটিং মেশিনগুলি বাজেয়াপ্ত করতে বলেছিলেন ট্রাম্প
আমেরিকার সাধারণ মানুষের ভোটে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছেন ট্রাম্প। তাঁর জায়গায় আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হয়েছেন জো বাইডেন৷ অনেকটা সময় পেরিয়েছে এই ঘটনার কিন্তু তবুও ট্রাম্পকে নিয়ে বিতর্ক আর থামতেই চাইছে না! এবার নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে ট্রাম্পের দেওয়া একটি আদেশ নিয়ে৷

সংবাদমাধ্যমের প্রকাশিত খবর ২০২০ সালের নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরাজয়ের কয়েক সপ্তাহের মধ্যে হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেক একটি লিখিত খসড়া নির্বাহী আদেশ দেশের শীর্ষ সামরিক পদাধিকারকে পাঠানো হয়েছিল৷ যেখানে ভোটিং মেশিন বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে৷ শুক্রবার একটি ন্যাশনাল আর্কাইভস প্রকাশিত এবং পলিটিকোর হাতে আসা একটি বিস্ফোরক নথিতে বলা হয়েছে যে জো বাইডেনকে পরবর্তী রাষ্ট্রপতি বেছে নেওয়া ভোটারদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার জন্য চরম পদক্ষেপ নিতে ইচ্ছুক ছিলেন ট্রাম্প।
১৬ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখের একটি কাউন্সিলও নিয়োগ করতে চাওয়া হয়েছিল ভোটিং মেশিনগুলি বাজেয়াপ্ত করে তাতে কোনও কারচুপি করা হয়েছিল কিনা সেটা জানতে! যদিও এই কাউন্সিলে অনুমোদন দেওয়া হয়নি কোর্টের পক্ষ থেকে! সম্প্রতি ক্যাপিটল হামলার তদন্তকারী হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভস সিলেক্ট কমিটির কাছে ৭৫০-এরও বেশি রেকর্ড হস্তান্তর করা হয়েছে যার মধ্যে শেষবেলায় ট্রাম্পের এই ভোটিং মেশিন নিয়ে ক্ষমতায় থাকার চেষ্টার বিষয়টিও রয়েছে৷ যদিও এগুলি প্রকাশ্যে আসা আটকাতে কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল ট্রাম্প এবং আমেরিকার সুপ্রিমকোর্ট সেই আবেদন খারিজ করেছে।
ট্রাম্পের পরাজয় নিশ্চিত হওয়ার অল্প সময়ের মধ্যেই একটি তিনপাতার ড্রাফট নির্দেশে দেশের প্রতিরক্ষা সচিবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল সমস্ত ভোটিং মেশিন, সরঞ্জাম, ইলেকট্রনিকভাবে সঞ্চিত তথ্য এবং অথ্য সংগ্রহে রাখার জন্য প্রয়োজনীয় উপাদানের রেকর্ডগুলি বাজেয়াপ্ত, সংগ্রহ, ধরে রাখা এবং বিশ্লেষণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিে! তিন পৃষ্ঠার ওই খসড়াটিতে আরও বলা হয়েছিল হ্যাক করা ভোটিং মেশিনে অনেক ষড়যন্ত্রের পুনরাবৃত্তি করে ট্রাম্পকে হারানো হয়েছে৷
এই সময় ডানপন্থী উকিল সিডনি পওয়েল সাংবাদিকদের বলেছিলেন যে, ভেনিজুয়েলা, কিউবা এবং সম্ভবত চীনের মাধ্যমে কমিউনিস্ট অর্থ দ্বারা ট্রাম্পকে সরানোয় এই নির্বাচনের লক্ষ্য ছিল।