মস্তিষ্কে মারণ টিউমার, তবু বেন বলল 'আমার বিশ্বকাপ কোথায়', এক আবেগঘন কাহিনি যা চোখে জল আনবে
পরনে ইংল্য়ান্ড ফুটবল দলের সাদা জার্সি আর নীল প্যান্ট। মাথা আবার মুড়োনো। ছোট্ট চেহারার চোখে-মুখে উচ্ছ্বলতায় ভরা এক আনন্দ। আর হাতে বিশ্বকাপ। আজ বেজায় খুশি বেন।
পরণে ইংল্য়ান্ড ফুটবল দলের সাদা জার্সি আর নীল প্যান্ট। মাথা আবার মুড়োনো। ছোট্ট চেহারার চোখে-মুখে উচ্ছ্বলতায় ভরা এক আনন্দ। আর হাতে বিশ্বকাপ। আজ বেজায় খুশি বেন। কারণ, সপ্তাহখানেক আগে সে তো তাঁর চিকিৎসকের কাছে এটাই চেয়েছিল। তাই ছয় সপ্তাহের কেমোথেরাপি মিটতেই ছোট্ট বেন এক্কেবারে হ্যারি কেনদের সাজে রেডিওথেরাপি সেন্টারে হাজির। আর তার হাতে আস্ত একটা বিশ্বকাপ। প্রবল যত্নে যা বুকের সঙ্গে আঁকড়ে রেখেছে।
ইংল্যান্ডের বার্মিংহামের বাহাম চিলড্রেন্স হাসপাতালে ছোট্ট বেনের চিকিৎসা চলছে। কারণ তার মাথায় বাসা বেঁধেছে মারণ টিউমার। যা ক্যানসারে পরিণত হয়েছে। ছয় সপ্তাহ ধরে কেমোথেরাপি নিতে হয়েছে বেনকে। বেন আবার ফুটবল ভক্ত। খেলা বলতে পাগল সে। হ্যারি কেনদের নাম তার নখদর্পণে।
কেমোথেরাপি নিতে গিয়ে প্রবল অসুস্থ হয়ে পড়েছিল বেন। হাঁটা-চলার ক্ষমতা তো ছিলই না। সেইসঙ্গে কথা বলার শক্তিও হারিয়ে ফেলেছিল। বেনের অসুস্থতায় খুবই ভেঙে পড়েছিল তার পরিবার। এমনকী, চিকিৎসক লায়াম হার্বাটের মনও খারাপ হয়ে গিয়েছিল। বেন যে একজন প্রকৃত ফাইটার তা তিনি চিকিৎসার সময়ই বুঝেছিলেন। ফুটবল পাগল বেন যেভাবে কেমোথেরাপির মধ্যেও লড়াই করে যাচ্ছিল তা সত্যি অবাক করেছিল তাঁকে।
লায়াম হার্বাট জানিয়েছেন, সপ্তাহখানেক আগে আচমকাই কিছুটা কথা বলে ওঠে বেন। ফুটবল বিশ্বকাপ শুরু হয়েছে ক্যানসারের চিকিৎসার মধ্যেও তা সে ভোলেনি। কথা বলার শক্তি ফিরে পেয়ে বেন প্রথম যে কথাটি বলেছিল তা হল 'আমার বিশ্বকাপটা কোথায়, আমি বিশ্বকাপ ধরতে চাই'। চিকিৎসক লায়াম প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ছোট্ট বেনকে বিশ্বকাপ এনে দেওয়ার। কিন্তু, সেটা ছয় সপ্তাহের কেমোথেরাপি কোর্স সম্পূর্ণ করার পরে।
Ben has just completed his #radiotherapy for a #braintumour, he was unable to walk and talk before his treatment but a week ago he asked for the World Cup, so we delivered. @England and @HKane can you do the same? #cancer #threelions #ChildhoodCancer #nhs70 #Itscomminghome pic.twitter.com/En8TtKnVnG
— Liam Herbert (@LiamHerbert_) July 5, 2018
বেনের কেমোথেরাপি সম্পূর্ণ হতেই বহাম চিল্ড্রেন হাসপাতালের পক্ষ থেকে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। রেডিওথেরাপির রুমকেই বিশ্বকাপের সাজে সাজানো হয়। লাগানো বয় ফুটবল বিশ্বকাপ-এ অংশ নেওয়া দেশগুলির পতাকা। বেনকে এই ঘরেই হাতে তুলে দেওয়া হয় বিশ্বকাপের রেপ্লিকা।
বেনের চিকিৎসর লায়াম হার্বাট পুরো ঘটনাই ভিডিও করেন। বেনের সেই আবেগঘন ভিডিও তিনি টুইটারে পোস্ট করেন। আর তারপরে তা ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। টুইটার পোস্টে লায়াম বেনের কথা লেখার সময় হ্যারি কেন-এর নামও উল্লেখ করেন। যার শেষে লেখা ছিল বেন তো বিশ্বকাপ তুলে ফেলল, হ্যারি কেন তুমি কি পারবে।
Another photo of Ben who completed 6 weeks of radiotherapy today. This young lion deserves the World Cup for his bravery! Let’s hope @HKane, @JPickford1 and the @England boys see this for a shout out! #BensWorldCup #childhoodcancer #threelions #ItsComingHome #cancer #worldcup pic.twitter.com/eLicNKcb5I
— Liam Herbert (@LiamHerbert_) July 5, 2018
ফুটবল বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে শনিবার সেমিফাইনালের লক্ষ্যে নামছে ইংল্য়ান্ড। তার আগে বেনকে নিয়ে এমন আবেগঘন টুইট তাঁদের মানসিকভাবে শক্তি যোগাবে নিশ্চিতভাবে। মারণ ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত এক শিশু যেভাবে বিশ্বকাপকে বুকে আঁকড়ে ধরেছে তাতে এখন বুঁদ ফুটবল বিশ্ব। সকলেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বেনের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছেন।
This young man had one request after six weeks of radiotherapy to treat a brain tumour.
— Iain Clark (@IainClark38) July 5, 2018
You can’t beat the #WorldCup.
🎥 - @LiamHerbert_ pic.twitter.com/z5uI8Ycxsq