নরেন্দ্র মোদীর শান্তি বার্তা নিয়ে মুখ খুললেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন
Array
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেছেন যে ভারত ও চিন শান্তির বার্তা নিয়ে ইউক্রেনে কথা বলেছে। উজবেকিস্তান নিয়ে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছিল তা নিয়ে মোদী ও জিন পিং একভাবে কথা বলার এক মাস পরে এই কথা বললেন ভ্লাদিমির পুতিন।
তিনি কাজাখাস্তানের রাজধানী আস্তানাইয় একটি প্রেস কনফারেন্সে বলেছেন যে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্দি ফেরত দিতে রাজি হচ্ছিল না। তুর্কির প্রেসিডেন্ট কথা বলায় তারা রাজি হয়। এর জন্য তাইলিপ এরদগেনকে অনেক ধন্যবাদ। পুতিন বলেন, "আলোচনার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে ভারত ও চিন সব সময়ই কথা বলে। তারা কথা বলে শান্তিপূর্ণভাবে সবকিছু সমাধানের। আমরা জানি তাদের অবস্থান। দুই দেশই আমাদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। আমরা ভাল পার্টনার। তাদের অবস্থানকে আমরা সম্মান করি। তবে কিয়েভের অবস্থানও আমরা খুব ভালো করে জানি। তারা বলেই চলেছে যে তারা আলোচনা চায়। এখন তারা আবার অন্য কথা বলছে। এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে যা ওই আলোচনার বিসয়কে আর সামনে আসতে দিচ্ছে না"।
প্রসঙ্গত পুতিনকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, আজকের যুগ যুদ্ধের নয়। জি ২০-র বৈঠকে এই কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।রাশিয়া ও ভারতের দুই রাষ্ট্রনায়ক কৌশলগত স্থিতিশীলতা, বাণিজ্য, এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রসংঘ ও জি ২০-তে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে এই আলোচনা করেছিলেন। ইউক্রেন যুদ্ধ নবম মাসে প্রবেশ করার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে বলেছিলেন, আজকের যুগ যুদ্ধের নয়।
উজবেকিস্তান সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে মোদী ও পুলিথ দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। সেখানে তিনি বলেহিলেন, আজকের যুগ যুদ্ধের নয়। তাই আমরা কীভাবে শান্তির পথে অগ্রসর হতে পারি, তা নিয়ে কথা বলার সুযোগ পাবো। ভারত-রাশিয়া বেশ কয়েক বছর ধরে পারস্পরিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখে চলেছে।
জবাবে পুতিন বলেছিলেন, "রাশিয়া চায় যত তাড়াতাড়ি সম্ভব যুদ্ধ শেষ হোক। আমি ইউক্রেনের সংঘাতের বিষয়ে আপনার অবস্থান এবং আপনার উদ্বেগের বিষয়েও জানি। আমরা চাই এই সমস্যার সমাধান দ্রুত হোক। এই যুদ্ধে কী ঘটছে, তা আমরা আপনাকে অবগত রাখব। পশ্চিমা দেশগুলির চাপ সত্ত্বেও ভারত এখন পর্যন্ত ইউক্রেন আক্রমণের জন্য রাশিয়ার সমালোচনা করা থেকে বিরত থেকেছে। ভারত আলোচনার মাধ্যমে সংকট সমাধানের জন্য জোর দিচ্ছে।" পুতিন পরের বছর এসসিওর সভাপতিত্ব গ্রহণের জন্য ভারতকে অভিনন্দন জানিয়েছিল। রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ছাড়াও চিনা রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংও ২০২৩ সালে এসসিও-র সভাপতিত্বের জন্য ভারতকে অভিনন্দন জানায়।
তামিলনাড়ুতে স্কুলে আচমকা অসুস্থ ১০০ পড়ুয়া, এলাকায় চাঞ্চল্য