নিউ ইয়র্কের পর এই দুই শহরও করোনা রোগীর দেহ রাখতে রেফ্রিজারেটর ট্রাক কিনতে বাধ্য হচ্ছে
বিশ্বে করোনা ভাইরাস প্রকোপে তালিকায় সকলের আগে নাম রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের। প্রথম যখন এই দেশে করোনার প্রকোপ দেখা দেয়, সেই সময় নিউ ইয়র্ক শহরে কোভিড রোগীর দেহ নিয়ন্ত্রণের জন্য রেফ্রিজারেটর ট্রাক ব্যবহার করতে বাধ্য হয়েছিল। এবার নিউ ইয়র্কের পাশাপাশি আমেরিকার আরও দুই শহর একই পথে হাঁটল।
টেক্সাস ও অ্যারিজোনায় বাড়ছে করোনায় মৃত্যু
জানা গিয়েছে, অ্যারিজোনা ও টেক্সাসে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। যে কারণে এই দুই দেশ মৃতদেহ রাখার জন্য রেফ্রিজারেটর ট্রাক ব্যবহার করছে। কারণ মর্গে মৃতদেহ রাখার জায়গা নেই। এই সপ্তাহের শুরুতে, টেক্সাস তার প্রতিদিনের ভাইরাসজনিত মৃত্যুর রেকর্ডে ১২৯ জন নিহতের সঙ্গে শীর্ষে ছিল। এখনও পর্যন্ত এই শহরে ৩৭০০-এরও বেশি জন কোভিড-১৯-এ প্রাণ হারিয়েছে। সান অ্যান্টোনিও এবং কর্পাস ক্রিস্টির মতো শহরের কর্তৃপক্ষরা কোবইড-১৯ মৃত্যুর ওপর নজরদারি রাখছে এবং এই দুই শহরের মর্গগুলির ওপর থেকে চাপ কমাতে ফ্রিজার ট্রাক ও ট্রেলারের অর্ডার দিচ্ছে।
করোনা মৃতদেহ রাখার জায়গা নেই
সান অ্যান্টোনিওর মেয়র রন নিরেনবার্গ বলেন, ‘কোথাও দেহ রাখার জায়গা নেই। এটা শুনতে খারাপ লাগলেও তা সত্যি।' তিনি আরও বলেন, ‘আমরা রেফ্রিজারেটর ট্রাককে স্ট্যান্ডবাইয়ে রেখেছি, এগুলির প্রয়োজন রয়েছে।' এই এলাকা পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ক্রিস্টাস সান্টা রোজা স্বাস্থ্য পদ্ধতির মুখ্য মেডিক্যাল অফিসার কেন ডেভিস বলেন, ‘হাসপাতালে দেহ রাখার অনেক জায়গা রয়েছে। আমাদের এখানে কোনও জায়গা নেই। এমনকী সমাধিস্থানগুলিতেও জায়গার অভাব রয়েছ।'
১৪টি রেফ্রিজারেটর ট্রাকের অর্ডার
আরিজোনার দক্ষিণপশ্চিম এলাকায় আড়াই হাজারের বেশি করোনায় মৃত্যু হয়েছে। ফোনেক্সের বড় শহর মারিকোপার প্রশাসন মৃতদেহ রাখার জন্য ১৪টি রেফ্রিজারেটর ট্রাকের অর্ডার দিয়েছে বৃহস্পতিবার। যেখানে ২৯৪টি দেহ রাখা যায়। ফোনেক্সের মেয়র কেট গ্যালেগো সম্প্রতি এক সাক্ষাতকারে বলেন, ‘আমরা বহু আরিজোনার বাসিন্দাদের হারালাম।'
আমেরিকার শীর্ষে
বিশ্ব মহামারির তালিকায় আমেরিকার নাম রয়েছে সবার শীর্ষে। এই দেশে ১৩৮,০০০-এর বেশি জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। আক্রান্তের সংখ্যা কয়েক লক্ষ।