মোদীর সঙ্গে দেখা হতেই কাশ্মীর ইস্যুতে ইউ-টার্ন ট্রাম্পের, পিছিয়ে এলেন মধ্যস্থতা থেকে
জি৭ সম্মেলনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা হওয়ার পরই ইউ-টার্ন নিয়ে নিলেন ট্রাম্প।
কাশ্মীর নিয়ে বেশ কয়েকবার নিজের মতামত দেওয়ার চেষ্টা করেছেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভারত প্রথম থেকেই বলে এসেছে, কাশ্মীরের বিষয়টি একান্তভাবেই ভারতের ব্যক্তিগত বিষয়। এবং কাশ্মীর সমস্যার সমাধান ভারত এবং পাকিস্তান দ্বিপাক্ষিকভাবে করবে। এতে কোনও তৃতীয় শক্তির হস্তক্ষেপের প্রয়োজন নেই। তারপরও ট্রাম্প বেশ কয়েকবার মধ্যস্থতার প্রস্তাব দেন। তবে জি৭ সম্মেলনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা হওয়ার পরই ইউ-টার্ন নিয়ে নিলেন ট্রাম্প।
মোদীর সঙ্গে দেখা হওয়ার পরই ট্রাম্পের পাল্টি
প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী দৃঢ়কণ্ঠে ট্রাম্পকে সামনাসামনি জানিয়েছেন, কাশ্মীর নিয়ে তৃতীয় কোনও শক্তির হস্তক্ষেপ তাঁরা চান না। আর এরপরই সোজা পাল্টি খেয়েছে মার্কিন রাষ্ট্রপতি। বেশ কিছুদিন ধরে তিনি মধ্যস্থতাকারী হতে চেয়েছিলেন। মোদীর সঙ্গে হওয়ার পরই জানিয়েছেন, কাশ্মীর সমস্যাকে ভারত এবং পাকিস্তান দ্বিপাক্ষিকভাবে সমাধান করবে।
ঢোক গিললেন ট্রাম্প
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর তিনি জানিয়েছেন, আমরা কাশ্মীর নিয়ে কথা বলেছি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছেন, কাশ্মীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তাঁরা পাকিস্তানের সঙ্গে কথা বলেছেন। এবং আমি আশা করছি দুই দেশ মিলে নিশ্চয়ই ভালো কিছু করবে। জি৭ সম্মেলনের ফাঁকে সাংবাদিকদের এমনটাই জানিয়েছেন ট্রাম্প।
ভারতের পাশে আমেরিকা
জি৭ সম্মেলনের সদস্য দেশ নয় ভারত। বিশেষ আমন্ত্রণে ফ্রান্সে গিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানেই কাশ্মীর নিয়ে মোদীর সঙ্গে আলোচনার কথা আগেই জানিয়েছিলেন ট্রাম্প। সেইমতো ফ্রান্সে মোদী-ট্রাম্প আলোচনা হয় কাশ্মীর নিয়ে। কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা তুলে নিয়ে রাজ্যকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ভেঙে দেয় মোদী সরকার। যা নিয়ে জাতীয় স্তরে তো বটেই আন্তর্জাতিক স্তরে শোরগোল হয়েছে। তবে আমেরিকা যে ভারতের পাশে রয়েছে তা ফের একবার স্পষ্ট হয়ে গেল।