'ভারতীয় গণতন্ত্রকে সম্মান করি', জয়শঙ্করের ওয়াশিংটন সফরের পর জানাল আমেরিকা
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই চাপে রয়েছে মোদী সরকার। এই আইন আসার পর প্রতিবেশী বন্ধু রাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গেও সম্পর্কে চিড় ধরার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি, রাষ্ট্রসংঘ ও আমেরিকার কমিশন থেকে এই আইন নিয়ে সংশয় প্রকাশ করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতেই ভারতের বিদেশ নীতিকে উদ্বুদ্ধ করতে আমেরিকা ও কানাডা সফরে যান বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। প্রথমে এই সফর বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নতি করার লক্ষ্যে স্থির করার জন্যে হলেও বর্তমান পরিস্থিতিতে উঠে আসে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বিষয়টিও।
|
ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ জয়শঙ্কর
বৃহস্পতিবার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিদেশমন্ত্রী বলেন, 'আমি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়। আমি ভারতের সঙ্গে এদেশে মানবসম্পদ আদানপ্রদানের বিষয়েও কথা বলি।'
|
'নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে স্পষ্ট ছবিটি তুলে ধরেছি'
এরপর সাংবাদিকরা বিদেশমন্ত্রীকে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, 'কংগ্রেস সদস্যদের সঙ্গে আমার আলোচনার সময় আমি নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে স্পষ্ট ছবিটি তুলে ধরেছি। তারা আমার থেকে এই বিষয়ে জানতে চাইলে আমি আইনটি তাঁদের বোঝাই। এছাড়া ভিসা নিয়েও তাঁধের সঙ্গে আলোচনা হয়।'
|
মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের বিবৃতি
এরপরেই মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের তরফে এক বিবৃতি জারি করে বলা হয়, 'ভারতীয় গণতন্ত্রের প্রতি আমাদের সম্মান রয়েছে। আমরা সেদেশে এনআরসি ও নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন চলা পরিস্থিতি ও রাজনৈতিক মতবিরোধের উপর নজর রাখছি। আমরা সংসদে এই নিয়ে আলোচনা ও রাস্তায় মানুষের বিক্ষোভের উপরও নজর রেখেছি। এই মুহূর্তে সেদেশে এই বিষয়টি বিচারাধীন। আমরা এই বিচার ব্যবস্থার উপর ভরসা রাখি। আমরা ভারতীয় প্রতিষ্ঠান এবং রাজনৈতিক অনুশীলনের উপর ভরসা রাখি। আমাদের ভারতের সঙ্গে আরও আলোচনা করতে হবে। সংখ্যালঘুদের অধিকার, ধর্মীয় স্বাধীনতা ও মানবাধিকার একটি গণতন্ত্রের স্তম্ভ। আমরা নিশ্চিত যে ভারত এই বিষয়গুলি নজরে রেখেছে।'
|
'প্রমীলার সঙ্গে দেখা করার কোনও ইচ্ছে নেই'
এদিকে মার্কিন কংগ্রেসর সদস্য প্রমীলা জয়পালের সঙ্গে সাক্ষাতের কথা থাকলেও সেই বৈঠক বাতিল করা হয়। সেই বিষয়ে বিদেশমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, 'আমার মনে হয় না তাঁর প্রকাশ করা কাশ্মীর বিষয়ক রিপোর্টটি জম্মু ও কাশ্মীরের আসল পরিস্তিতির প্রতিচ্ছবি না। আমার তাঁর সঙ্গে দেখা করার কোনও ইচ্ছে নেই।'