ভারতের দেখাদেখি এবার পাকিস্তানে উঠল বড় নোট বাতিলের দাবি
ভারতের পর এবার পাকিস্তানও? প্রতিবেশী দেশের সরকার ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট বাতিল করে কালো টাকা এবং জাল নোটের কারবারিদের ধাক্কা দেওয়ার পরে পাকিস্তানের পার্লামেন্টেও একইরকম পদক্ষেপ নেওয়ার কথা উঠল।
করাচি, ১৩ নভেম্বর : ভারতের পর এবার পাকিস্তানও? প্রতিবেশী দেশের সরকার ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট বাতিল করে কালো টাকা এবং জাল নোটের কারবারিদের ধাক্কা দেওয়ার পরে পাকিস্তানের পার্লামেন্টেও একইরকম পদক্ষেপ নেওয়ার কথা উঠল।
সম্প্রতি সেদেশের পার্লামেন্টের সিনেটে বিরোধী দল পাকিস্তান পিপলস পার্টির একজন প্রতিনিধি সেখানকার ১০০০ এবং ৫০০০ টাকার নোট বাতিল করার প্রস্তাব আনেন দুর্নীতির মোকাবিলা করার লক্ষ্যে। ওসমান সইফুল্লা খান নামে ওই পার্লামেন্টের ওই প্রতিনিধি তাঁর প্রস্তাবটি জমা দেন।
সংবাদ সূত্রের মতে, ওসমানের এই প্রস্তাবটি আসে যখন পাকিস্তানের অর্থনীতি ক্রমেই নগদ টাকা লেনদেনের দিকে ঝুঁকছে। কারণ সেদেশের ত্রুটিপূর্ণ কর ব্যবস্থা, জানিয়েছে সেখানকার এক্সপ্রেস নিউজ।
প্রস্তাবটিতে বলা হয় ৫০০০ এবং ১০০০ টাকার নোট অবিলম্বে অর্থিনীতি থেকে সরিয়ে নিয়ে অবৈধ কারবার বন্ধ করুক সরকার। খানের মতে, এই পদক্ষেপ যেমন একদিকে কালো টাকার কারবারের উপর আঘাত হানবে তেমনি ব্যাঙ্ক ব্যবস্থার উপরে সাধারণ মানুষের বিশ্বাসকেও দৃঢ় করবে।
খান গত বৃহস্পতিবার (নভেম্বর ১০) সিনেটের অর্থ-বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকে একথা জানানোর পরে কমিটির তারিফ থেকে বলা হয় সবদিক বিবেচনা করেই এই বিষয়ে এগোনো হবে।
অবশ্য এব্যাপারে পাকিস্তানের বিভিন্ন মহলে যে একমত, তা বলা যাবে না। স্টেট ব্যাঙ্ক অফ পাকিস্তানের তরফ থেকে যেমন এক্সপ্রেস নিউজকে জানানো হয়েছে যে ৫০০০ টাকার নোট সরিয়ে নেওয়ার কোনও কারণ অন্তত এই মুহূর্তে তাঁরা দেখছেন না, জানিয়েছে এক্সপ্রেস নিউজ। পাকিস্তানে ৫০০০ টাকার নোট চালু হয়েছিল প্রাক্তন সেনানায়ক পারভেজ মুশারফের আমলে।
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গত ৮ নভেম্বর ভারতে ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট বন্ধ করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। কালো টাকা এবং জাল নোটের কারবার ঠেকানোর লক্ষ্যে ঘোষিত এই পদক্ষেপকে বিভিন্ন মহল থেকে সাধুবাদ জানানো হলেও দেশের রাজনৈতিক বিরোধীরা মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে ওঠে। তাদের বক্তব্য, সাধারণ মানুষকে অশেষ হয়রানির মধ্যে ঠেলে দিয়েছে সরকারের এই সিদ্ধান্ত।