কিউরিওসিটির পর প্রাণের সন্ধান চালাতে মঙ্গল গ্রহে পাড়ি দিতে চলেছে ‘মার্স ২০২০’
কিউরিওসিটির পর প্রাণের সন্ধান চালাতে মঙ্গলে পাড়ি দিতে চলেছে ‘মার্স ২০২০’
মঙ্গল
যান
কিউরিওসিটি-র
পর
মঙ্গলে
প্রাণের
অস্তিত্বের
খোঁজ
জারি
রাখতে
এবার
নতুন
পরিকল্পনা
মার্কিন
মহাকাশ
গবেষণা
সংস্থা
নাসার।
আগামী
বছরই
লাল
গ্রহে
জীবনের
সন্ধান
চালাতে
পাড়ি
দিতে
চলেছে
মঙ্গল
যান
'মার্স
২০২০’।
নতুন
মঙ্গলযানটির
পরিকাঠামোগত
উন্নয়নের
কাজও
বর্তমানে
চলছে
জোর
কদমে।
ইতিমধ্যেই মিলেছে জলের খোঁজ
এদিকে কয়েক মাস আগেই লাল গ্রহে জলে খোঁজ দেয় নাসার পূর্ববর্তী মঙ্গল যান কিউরিওসিটি। কিউরিওসিটি যে ছবি পাঠিয়েছে, তা বিশ্লেষণ করার পর মঙ্গলে জলের উৎস নিয়ে প্রায় নিশ্চিত মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থার বিজ্ঞানীরা। তাঁরা দাবি করেছেন সাড়ে ৩০০ কোটি বছর আগে জলাশয়ের অস্তিত্ব ছিল মঙ্গল গ্রহে। ১৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি জলাশয়েরও প্রমাণ মিলেছে বলে জানা গেছে।
জীবনের সন্ধানেই মঙ্গলে মার্স ২০২০
জলের খোঁজ পাওয়ার পর লাল গ্রহে প্রাণের অস্তিত্বের খোঁজ পেতে আরও তৎপর হয়ে ওঠেন বিজ্ঞানীরা। এদিকে কিউরিওসিটি অনুসন্ধানের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী বছরই। তাই অনুসন্ধান প্রক্রিয়া জারি রাখতে মঙ্গলে নতুন মহাকাশ যান পাঠাতে চলেছেন বিজ্ঞানীরা। ইতিমধ্যে ক্যালিফোর্নিয়ার পাসাডেনায় নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরিটিতে নতুন এই মঙ্গলযানটির পরিকাঠামোগত উন্নয়নের কাজ চলছে বলে জানা যাচ্ছে। কিউরিওসিটির সঙ্গে মার্স ২০২০ বেশ কিছু গঠনতান্ত্রিক মিল আছে বলে ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
কিউরিউসিটির সঙ্গে রয়েছে গঠনতান্ত্রিক মিল
এই বিষয়ে বিবৃতি জারি করে নাসা জানিয়েছে, মঙ্গল ২০২০ এর বাহুগুলি 'কিউরিওসিটি'-র প্রায় সমান হবে। তবে এটি চেহারায় কিউরিওসিটির থেকে বেশ খানিকটা বড় এবং ওজনও প্রায় ১০২৫ কেজির কাছাকাছি। নতুন বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানের জন্য আরও উন্নতমানের একাধিক যন্ত্রাংশ সহ মঙ্গলে পাড়ি দেবে মার্স। পাশাপাশি প্রাচীন প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদান সংগ্রহের জন্য বেশ কিছু বড় যন্ত্র ও ড্রিলও বহন করতে হবে এই নতুন মঙ্গল যানটিকে।
১৯৭৬ সাল থেকে চলছে প্রাণের সন্ধান
১৯৭৬ সাল থেকে মঙ্গল গ্রহে প্রাণের সন্ধান চালাচ্ছেন মহাকাশচারীরা। আর ২০০৬ সাল থেকে মঙ্গল গ্রহের চারপাশে ঘুরছে ‘মার্স রিকনেসেন্স অরবিটার' নামের অপর একটি যান। ওই অরবিটারটি থেকে মঙ্গল গ্রহ সম্পর্কে নিয়মিত নানা তথ্য সংগ্রহ করে চলেছেন বিজ্ঞানীরা। এছাড়াও এর আগেও ‘স্পিরিট' আর ‘অপরচুনিটি' নামের দুটো ‘রোভার' পাঠানো হয় লালগ্রহে। ২০০৮ সালে মঙ্গল থেকে ঘুরে আসে ‘ফিনিক্স মার্স ল্যান্ডার'। তারপর ২০১১ সালে যাত্রা শুরু করে কিউরিওসিটি।