করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার পরও রিপোর্ট পজিটিভ, জেনে নিন এর বৈজ্ঞানিক কারণগুলি
করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার পরও রিপোর্ট পজিটিভ, জেনে নিন এর বৈজ্ঞানিক কারণগুলি
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়ে যাওয়ার পরও পুনরায় সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। এমনটি দেখা গিয়েছে বেশ কয়েকটি কেসে। নয়ডার দু’জন রোগী কোভিড–১৯–এ আক্রান্ত হওয়ার পর তাঁরা সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে যান কিন্তু এ সপ্তাহের প্রথমদিকে তৃতীয় পরীক্ষার পর ফের তাঁদের শরীরে করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। তাঁদের কোয়ারান্টাইনে রাখা হয় ফের।
দক্ষিণ কোরিয়াতেও এই বিষয় লক্ষ্য করা গিয়েছে
ভারত ছাড়াও দক্ষিণ কোরিয়াতেও কোভিড-১৯ রোগীরা সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যাওয়ার পরও তাঁদের শরীরে ফের করোনা সংক্রমণ দেখা দেয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তথা হুয়ের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়ে যাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দু'বার পরীক্ষা করলে তার রিপোর্ট নেগেটিভ আসবে। বিস্তারিতভাবে বলতে গেলে কোনও ব্যক্তির শরীরে করোনা ভাইরাসকে প্রকাশিত করা যায় ১) দেহে ভাইরাসের উপস্থিতি পরীক্ষা করে ও ২) করোনার বিরুদ্ধে লড়ার জন্য আমাদের দেহের অ্যান্টি-বডিজ যখন কম থাকে।
সেরোলজিকাল টেস্ট
দ্বিতীয় পরীক্ষা, যাকে ফাস্ট টেস্ট বা সেরোলজিকাল টেস্টও বলা হয়, কোনও ব্যক্তি ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার এক সপ্তাহ পরে তা কার্যকর হয়। এই সময় রোগীর শরীরের অ্যান্টি-বডি তৈরি করতে হয় যা আমাদের রক্তের নমুনায় দেখা যায়। তাই যদি কোনও ব্যক্তির শরীরে অ্যান্টি-বডি তৈরি হয়েছে এরকম সময়ে যদি করোনার পরীক্ষা করা যায় তবে রিপোর্ট নেগেটিভ আসার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে একটি ক্লাস্টার বা সম্প্রদায়ের মধ্যে রোগের বিস্তারকে মূল্যায়ন ও সমীক্ষার জন্য সেরোলজিকাল টেস্টগুলি বড় আকারের পরীক্ষা করা কার্যকর। ভারতে বেশ কিছু এলাকায় স্থানীয় প্রকোপ দেখা গিয়েছে করোনা ভাইরাসের। তাই সেরোলজিকাল টেস্ট কিটের অপেক্ষা করছে দেশ যা দিয়ে অ্যান্টি-বডি পরীক্ষা করা যাবে।
আরটি–পিসিআর পরীক্ষা
অন্যদিকে, হু কোভিড-১৯ কেস সনাক্ত করতে অধিকাংশ সময় ব্যবহৃত রিভার্স ট্রান্সক্রিপটস--পলিমেরেজ চেইন রিঅ্যাকশন বা আরটি-পিসিআর প্রয়োগ করতে বলছে। এই পরীক্ষায় গলা, নাক বা নিচের কোনও শ্বাসযন্ত্রের অঙ্গ থেকে থুতু বা ওই জাতীয় কোনও নমুনা সংগ্রহ করে তার পরীক্ষা করা হয় এবং এর মাধ্যমে ওই ব্যক্তি করোনার বাহক কিনা তা বোঝা যায়। তাই করোনা আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়ে যাওয়ার পরও যদি তাঁর দেহে ভাইরাস থাকে তবে তা আরটি-পিসিআরে ধরা পড়ে যায়। যদিও এটা খুবই উচ্চ সংবেদনশীল পরীক্ষা কিন্তু মাঝে মাঝে এই আরটি-পিসিআরও নমুনাতে ভাইরাস রয়েছে কিনা তা সনাক্ত করতে ব্যর্থ হয়। তাই কোনও কোনও সময় রোগীদের দেহে এই ভাইরাস রয়েছে কিনা তা বোঝা যায় না।