দীর্ঘ প্রতীক্ষা শেষে মঙ্গল ছুঁল নাসার রোভার, ইতিহাসে ঠাঁই দুই বাঙালি সহ ৪ ভারতীয় বিজ্ঞানীর
দীর্ঘ প্রতীক্ষা শেষে মঙ্গল ছুঁল নাসার রোভার, ইতিহাসে ঠাঁই দুই বাঙালী সহ ৪ ভারতীয় বিজ্ঞানীর
মঙ্গলে প্রাণের অস্তিত্ব ছিল কী ছিল না তা নিয়ে মানুষের কৌতূহল বেশ পুরনো। এদিকে ইতিম বলছে সেই কৌতূহল নিরসনের জন্য মহাকাশ অভিযানের শুরু থেকেই মঙ্গলের দিকে পা বাড়িয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এমতাবস্থায় দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবেশেষে মঙ্গলের বুকে আরও এক মতুন রেকর্ড করে ফেলল নাসা।সঙ্গে ইতিহাসের পাতায় যুক্ত হল চার ভারতীয় বংশোদ্ভূতের নাম।
বৃহঃষ্পতিবার রাতেই মঙ্গলের বুকে পা পারসিভের্যান্স রোভারের
সূত্রের খবর, বৃহঃষ্পতিবারই ভারতীয় সময় রাত দেড়টা থেকে দু'টোর মধ্যে লালগ্রহের মাটিতে পা রাখল সর্বাধুনিক ল্যান্ডার ও রোভার পারসিভের্যান্স। আগামীতে জীবনের খোঁজে লালগ্রহের অলিগলিতে ঢুঁ মারবে নাসার এই অত্যাধুনিক মহাকাশযান। এমনকী এই প্রথম মঙ্গলের বুকে উড়তে চলছে নাসার তৈরি হেলিকপ্টারও। যা নিয়ে তীব্র উন্মাদনা বিশ্বব্যাপী মহাকাশ বিজ্ঞানীদের মধ্যে।
এই প্রথম অন্য কোনও গ্রহে হেলিকপ্টার ওড়াতে চলেছেন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই প্রথম অন্য কোনও গ্রহে হেলিকপ্টার ওড়াতে চলেছেন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। পারসিভের্যান্সের কাঁধে ভর করেই মঙ্গলের আকাশে উড়বে হেলিকপ্টার অত্যাধুনিক হেলিকপ্টার 'ইনজেনুইটি'। এদিকে এই হেলিকপ্টারেরই চিফ ইঞ্জিনিয়ারের দায়িত্বে রয়েছেন জে বব বলরাম। তাঁর জন্ম বেঙ্গালুরুতে। ছাত্র জীবনের শুরুতে মাদ্রাজের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (আইআইটি) থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করেন বলরাম। এরপর রেনস্লার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে মাস্টার্স এবং পিএইচডি-র পর জেপিএল-এ চাকরি করতে শুরু করেন তিনি।
ইতিহাস গড়লেন বেঙ্গালুরুর স্বাতী
অন্যদিকে 'পারসিভের্যান্স'-এর গাইডেন্স, নেভিগেশন ও কন্ট্রোলস অপারেশন্স (জিএনঅ্যান্ডসি)-এর প্রধানের দায়িত্বে রয়েছেন আর এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত বেঙ্গালুরুর স্বাতী মোহন। এর আগে শনিতে পাঠানো নাসার মহাকাশযান 'ক্যাসিনি' এবং চাঁদে পাঠানো যান 'গ্রেল'-এর অভিযানেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় ছিলেন স্বাতী। অন্যদিকে ইতিহাসের পাতায় ঠাঁই পেতে চলা অন্য দুই ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহাকাশ বিজ্ঞানীদের মধ্যে আবার দুই বাঙালীও রয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।
তিন দশক আগে দেখা স্বপ্ন সত্যি করতে চলেছেন মহিষাদলের অনুভব
তিন দশক আগেই লাল গ্রহে হেলিকপ্টার ওড়ানোর স্বপ্নটা দেখতে শুরু করেছিলেন যে মুষ্টিমেয় কয়েক জন, তাঁদের অন্যতম মহিষাদলের বাঙালী বিজ্ঞানী অনুভব দত্ত। বর্তমানে তিনি মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যারোডায়নামিক্স ও অ্যারোইলেকট্রিসিটি বিভাগের অধ্যাপক হিসাবে কর্মরত। অনুভবের জন্ম পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মহিষাদলের ঘাঘরা গ্রামে। নাসার এমস রিসার্চ সেন্টারে এ বারের মঙ্গল অভিযানের হেলিকপ্টারের অ্যারোমেকানিক্স সম্পর্কিত যাবতীয় পরীক্ষানিরীক্ষার সঙ্গেও ওতপ্রোত ভাবে যুক্ত তিনি। অনুভব আবার আমেরিকান হেলিকপ্টার সোসাইটির একটি গুরুত্বপূর্ণ কমিটির প্রতিষ্ঠাতাও বটে।
সৌম্য তৈরি প্যারাশুটে চেপেই মঙ্গলে পা
বলরাম, স্বাতী, অনুভবের পর এই তালিকায় রয়েছেন আরও এক বাঙালী মহাকাশ বিজ্ঞানী সৌম্য দত্ত। তার তৈরি অত্যাধুনিক দৈত্যকার প্যারাশুটে চেপেই মঙ্গলের বুকে নামে নাসার 'মার্স ২০২০ রোভার' পারসিভের্যান্স আর ল্যান্ডার। যে প্যারাশুটে চেপে ৯ বছর আগে লাল গ্রহের বুকে পা রেখেছিল কিউরিওসিটি রোভার, সৌম্যর প্যারাশুটের কাছে সেটা কার্যত সেকেলে বলেই দেগে দিচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।
পেট্রোল, ডিজেলের দামের উর্ধ্বগতি অব্যাহত! কলকাতায় জ্বালানির দর একনজরে