করোনা থাবা আফ্রিকাতে! আক্রান্তের সংখ্যা হাজার ছাড়াতেই লকডাউনে যাচ্ছে গোটা মহাদেশ
লকডাউনে চলে যাচ্ছে গোটা আফ্রিকা। সৌজন্যে বিশ্বজুড়ে হাহাকার ছড়ানো করোনা ভাইরাস। বাকি মহাদেশগুলোর তুলনায় এতদিন করোনার কম প্রকোপ দেখা গিয়েছিল আফ্রিকাতে। তবে পরিস্থিতি অবনতির দিকে যেতেই লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিল আফ্রিকার বেশ কয়েকটি দেশ।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যু আফ্রিকায়
করোনা সংক্রমণে আক্রান্ত হয়ে শুক্রবারই প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে সাব সাহারান অঞ্চলে। আর এর জেরে অশনি সংকেত বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা। আর এরপরই সতর্কবাণী শোনা যাগ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রেসিডেন্ট টেড্রস আধনম গ্যাব্রিয়েসিসের গতলায়। তিনি বলেন, 'এবার সচেতন হতে হবে আফ্রিকাকেও।'
আফ্রিকা নিয়ে গোটা বিশ্বে আশঙ্কা বাড়ছে
আফ্রিকা নিয়ে গোটা বিশ্বে আশঙ্কা বাড়ছে। কারণ ইতিমধ্যেই সেদেশে করোনা মোকাবিলার জন্য পর্যাপ্ত পরিকাঠামো নেই বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এমন অবস্থায় আফ্রিকার বরকিনা ফাসোতে ২৭ জন করোনা আক্রান্তের খবর মিলেছে। গোটা আফ্রিকা জুড়ে ১০০০ জনকে করোনা আক্রান্ত হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকায় এই সংখ্যাটা ২০০ ছাড়িছে। ফলে আতঙ্ক আর আশঙ্কার পারদ ক্রমেই চড়ছে।
আন্তর্জাতিক উড়ান বন্ধ নাইজেরিয়ায়
এদিকে এই পরিস্থিতিতে ইতিমধ্যেই নাইজেরিয়া তাদের দেশে আন্তর্জাতিক উড়ানের অবতরণের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। রাওয়ান্ডাতে প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে যাওয়া আগামী ২ সপ্তাহর জন্য বন্ধ। তিউনিশইয়াতেও লকডাউন জারি করা হয়েছে কয়েকদিন আগে।
আফ্রিকার ৪২টি দেশে থাবা বসিয়েছে করোনা ভাইরাস
এদিকে আফ্রিকার উগান্ডা, আঙ্গোলা ও এরিট্রিয়াতে প্রথম করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে গতকাল। বর্তমানে আফঅরিকার ৫৪টি দেশের মধ্যে ৪২টি দেশেই থাবা বসিয়েছে করোনা ভাইরাস।
বিদেশ ফেরত নাগরিকদের বাধ্যতামূলক কোয়ারান্টাইন
ইথিওপিয়াতে বিদেশ ফেরত নাগরিকদের বাধ্যতামূলক কোয়ারান্টাইনে পাঠানো হচ্ছে। কঙ্গো ও ঘানাও তাদের আন্তর্জাতিক সীমান্ত বন্ধ করে দিচ্ছে। তবে বিদেশে আটকে পড়া মানুষদের জন্য সোমালিয়া আন্তর্জাতিক উড়ানের উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে দুই দিনের জন্য।