পরকীয়া নিয়ে সন্দেহ, বেঁধে রেখে স্ত্রীর দুই কান কেটে নিল স্বামী
জোর করে বেঁধে রেখে নিজের স্ত্রীর দুটি কান কেটে নিল স্বামী। ঘটনাটি ঘটেছে আফগানিস্তানের উত্তরে বালখ প্রদেশে। জানা গিয়েছে, মহিলার নাম জারিনা। তিনি চান তার স্বামীকে যেন গ্রেফতার করে শাস্তি দেওয়া হয়।
কাবুল, ২ ফেব্রুয়ারি : জোর করে বেঁধে রেখে নিজের স্ত্রীর দুটি কান কেটে নিল স্বামী। ঘটনাটি ঘটেছে আফগানিস্তানের উত্তরে বালখ প্রদেশে। এক ২৩ বছর বয়সী যুবতী মহিলার উপরে এই ধরনের গার্হস্থ্য হিংসার ঘটনা ঘটেছে।[(ছবি) জলের তলায় আংটি বদল, বিয়ের প্রতিজ্ঞা দম্পতির, ভারতে এই প্রথম!]
জানা গিয়েছে, মহিলার নাম জারিনা। তিনি আপাতত বিপন্মুক্ত হলেও ট্রমায় রয়েছেন। বলেছেন, আমি কোনও অপরাধ করিনি। কেন স্বামী আমার কান কেটে নিল তাও আমি জানি না।[ইনি কিন্তু মানুষ নন, রোবট ]
পুলিশ জানিয়েছে, অপরাধ করার পরে মহিলার স্বামী স্থানীয় কাসিন্দা জেলায় গিয়ে আত্মগোপন করেছে। তার খোঁজে তল্লাশি চলছে। মহিলা জানিয়েছেন, ঘটনার আগে তিনি শুয়েছিলেন। হঠাৎ স্বামী এসে তাকে তুলে বেঁধে রেখে কান কেটে নেয়।[সন্তানের জন্ম দিতে চলেছেন এক ব্রিটিশ পুরুষ]
জারিনা আরও বলেছেন, মাত্র ১৩ বছর বয়সে তার বিয়ে হয়। স্বামীর সঙ্গে তার সম্পর্ক ভালো ছিল না। এমনকী বাবা মায়ের বাড়িতেও তাকে যেতে দিতে চাইতো না। এমন লোকের সঙ্গে তিনি থাকতে চান না বলেও জানিয়েছেন জারিনা। তাঁর দাবি, স্বামী অহেতুক সন্দেহ করত। আমি বাপের বাড়ি গেলে সন্দেহ করত পরপুরুষের সঙ্গে আমি কথা বলেছি।[রোবটের সঙ্গে তরুণীর 'লিভ-ইন', এবার বিয়ের পালা!]
গার্হস্থ্য হিংসার এই ধরনের অপরাধের পরে জারিনা চান তার স্বামীকে যেন গ্রেফতার করে শাস্তি দেওয়া হয়। তবে আফগানিস্তানের মতো দেশে এমনটা কতদূর সম্ভব তা বলা বেশ দূরহ।[এইদেশে জঞ্জালের অভাব পড়েছে, অন্য দেশ থেকে আমদানি করতে হচ্ছে]
এর আগে আফগানিস্তানের ফরইয়াব প্রদেশের স্ত্রীর নাক স্বামী কেটে নিয়েছে। এছাড়া ডাইকুন্ডি প্রদেশে এক মহিলার সঙ্গেও একইভাবে নাক কাটার ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া মারধর করতে করতে খুন করার মতো অগুনতি ঘটনা সেদেশে মহিলাদের সঙ্গে ঘটে থাকে। তবে তার বেশিরভাগই ছাড়া পেয়ে যায়। উল্টে মহিলাদের উপরে অত্যাচার আরও বেড়ে যায়।[বারে বসে মদ না পেয়ে রেগে গেল 'ভূত'! বিশ্বাস না হলে ভিডিওটি দেখুন]