তালিবানকে আফগানিস্তান রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানাল কাবুল সরকার
তালিবানরা কাবুলের নির্বাচিত সরকারের সঙ্গেও সমঝোতার পথে এগোলে আসন্ন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তারা অংশ নিতে পারবে।
আফগানিস্তানে শান্তি স্থাপনের প্রক্রিয়া যখন মধ্যরাস্তায়, তখন সেদেশের চিফ এক্সিকিউটিভ আব্দুল্লাহ আব্দুল্লাহ-র কার্যালয় জানাল যে তালিবানরা কাবুলের নির্বাচিত সরকারের সঙ্গেও সমঝোতার পথে এগোলে আসন্ন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তারা অংশ নিতে পারবে। এখানে বলে রাখা দরকার যে যুদ্ধ-বিধ্বস্ত আফগানিস্তানে শান্তি ফেরানোর জন্য কাতারের রাজধানী দোহায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কথা বললেও তালিবান আফগানিস্তানের সরকারের সঙ্গে বসতে রাজি হয়নি। আর এই নিয়ে কাবুলের সরকারের পক্ষেও রয়েছে ক্ষোভ, বিশেষ করে ওয়াশিংটনের প্রতি।
আব্দুল্লাহর মুখপাত্র ফ্রাইদুন খোয়াজুন জানিয়েছেন, তালিবান যেকোনও সময়ে ইচ্ছে করলেই আফগানিস্তানের সরকারের সঙ্গে সামনা-সামনি বৈঠকে বসতে পারে এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারে, জানিয়েছে আফগানিস্তানের টোলো নিউজ।
ইমরান খানের মতে, আফগানিস্তান নির্বাচনে তালিবানের অংশ নেওয়া উচিত
আফগানিস্তানের সরকারের পক্ষ থেকে তালিবানের প্রতি এই আবেদন আসে প্রতিবেশী পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ঘটনাবহুল মার্কিন সফরের পরে পরেই। ইমরান ওয়াশিংটনে মন্তব্য করেন যে আফগানিস্তানের আসন্ন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন এমনভাবে হওয়া উচিত যাতে তালিবানও তাতে যোগ দিতে পারে।
ওয়াশিংটনের ইউএস ইনস্টিটিউট অফ পিস-এ একটি বক্তৃতায় ইমরান বলেন যে মার্কিন সফরের পরেই তিনি তালিবানের সঙ্গে দেখা করবেন এবং চেষ্টা করবেন যাতে তারা আফগান সরকারের সঙ্গে বৈঠকে সামিল হয়। তিনি আশাপ্রকাশ করেন তালিবানকেও আফগানিস্তানের আসন্ন নির্বাচনে অংশ নিতে দেখা যাবে।
তালিবান কতটা সায় দেয়, এখন দেখার সেটাই
যদিও ইমরান তাঁর মার্কিন সফরে ওয়াশিংটনের কর্তাদের হৃদয় জিতে নেন এবং দু'পক্ষের মধ্যে যথেষ্ট ইতিবাচক কথা হয়, বাস্তবের জমিতে তালিবান কতটা আফগান সরকারের সঙ্গে বৈঠকে রাজি হবে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
প্রাক্তন তালিবান আধিকারিক সায়েদ আকবর আগা বলেন, যতদিন বিদেশি শক্তি আফগানিস্তানের মাটিতে রয়েছে, ততদিন তালিবান কোনওভাবেই নির্বাচনে অংশ নেবে না। আফগানিস্তানে বিদেশি শক্তির উপস্থিতি যাতে বেশিদিন স্থায়ী না হয়, তা নিয়ে প্রথম থেকেই দাবি জানিয়ে আসছে তালিবান।