ফের স্বাধীনতা হরণের আশঙ্কা, তালিবানদের সঙ্গে শান্তি চুক্তিতে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন আফগান নারীরা
ফের স্বাধীনতা হরণের আশঙ্কা, তালিবানদের সঙ্গে শান্তি চুক্তিতে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন আফগান নারীরা
তালিবানদের সঙ্গে শান্তি চুক্তি যেন ঝড়ের আগের নিস্তব্ধতা। এমনই মনে করছেন আফগানিস্তানের নারীরা। প্রতিমুহূর্তে তাঁরা নতুন করে স্বাধীনতা হরণের আশঙ্কায় কাঁপছেন। শিউরে উঠছেন তালিবানদের ফেরার কথা ভেবেই। তালিবানরা যতদিন শাসকের বিরোধী ছিল ততদিন অশান্তি হলেও কিছুটা স্বাধীনতা তাঁরা পেয়েছেন। এবার তালিবানরা সরকারের বন্ধু হয়ে যাচ্ছে। তাতে তাঁদের নতুন করে আবার স্বাধীনতা হারাতে হবে।
তালিবানদের সঙ্গে শান্তিচুক্তি
তালিবানদের সঙ্গে ঐতিহাসিক শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর করল আমেরিকা। ২০০১ সাল থেকে তালিবান বিধ্বস্ত আফগানিস্থানে আফগান সরকারকে সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছিল মার্কিন সেনা। দীর্ঘ ১৯ বছর মাটিতে তালিবানদের সঙ্গে যুদ্ধ চালিয়ে অবশেষে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
শান্তি চুক্তিতে আতঙ্কে আফগান নারীরা
তালিবানরা এখন শক্তি হারিয়ে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর করলেও তাঁদের চরমপন্থী মানসিকতা যে রয়েই যাবে। তাতে কোনও সন্দেহ নেই। এই শান্তি চুক্তিতে তাই ঘুম উড়েছে আফগান নারীদের। নতুন করে সিঁদুরে মেঘ দেখতে শুরু করেছেন তাঁরা। আফগান সরকারের যদি তালিবানরা থাবা বসাতে শুরু করে তাহলে তাঁরে সামান্য স্বাধীনতাটুকও চলে যাবে। এমনই মনে করছেন তেহরা রেজাই, সিতারা আকরিমিরা।
স্বাধীনতা হরণের আশঙ্কা
চরম ইসলামিক তালিবানরা ২০০১ পর্যন্ত চার বছর আফগানিস্তানে দাপিয়ে বেরিয়েছে। তাতেই নরক যন্ত্রণা ভোগ করতে হয়েছে আফগান নারীদের। বাড়ি থেকে বেরনো বন্ধ হয়ে গিয়েছিল তাঁদের। আপাদ মস্তক বোরখায় ঢেকে রাখতে হত নিজেদের। নইলেই তালিবানিদের বন্দুকের গুলি এফোঁড ওফোঁড করে দিত তাঁদের শরীর। পড়াশোনা তো শিকেয় উঠেছিল। ডাক্তার দেখাতেও বেরোতে পারতেন না তাঁরা। তালিবানদের হাত থেকে বাঁচতে পাকিস্তানে পালিয়ে গিয়েছিলেন অনেকেই। সেই দিন আবার ফিরে আসতে চলেছে এমনই আশঙ্কা করছেন আফগান নারীরা।