নতুন ভ্যারিয়েন্ট সৃষ্টি করতে পারে ওমিক্রন! চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করল 'হু'
নতুন ভ্যারিয়েন্ট সৃষ্টি করতে পারে ওমিক্রন! চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করল 'হু'
গোটা বিশ্বজুড়ে এই মুহূর্তে নতুন করে ত্রাস সৃষ্টি করেছে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন। মাত্র দেড় মাসের মধ্যেই পৃথিবীর প্রায় অধিকাংশ দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এইনয়া প্রজাতির করোনা ভাইরাস। সপ্তাহে এই বি.১.১.৫২৯ কোভিড ভেরিয়েন্ট বা ওমিক্রনের খোঁজ প্রথম মেলে দক্ষিণ আফ্রিকায়। ৩০ বার প্রোটিন পার্টিকল পাল্টে নয়া রূপে করোনার আগমন নিয়ে যথারীতি ঘুম ছুটেছে গোটা দুনিয়ার। প্রথম থেকেই এবিষয়ে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা 'হু'। 'হু'-এর প্রধান টেড্রোস আধানম ঘেব্রেয়েসাস সরাসরি ওমিক্রন কে 'নতুন রূপে পুরনো শত্রু' বলে অভিহিত করেছেন। আর এবার ওমিক্রন নিয়ে নয়া তথ্য সামনে আনল 'হু'।
ওমিক্রন নিয়ে নয়া তথ্য
করোনার এই নয়া ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন নিয়ে এবার নয়া তথ্য সামনে আনল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। মঙ্গলবার ইউরোপে একটি বিবৃতিতে 'হু' জানিয়েছে, বিশ্বজুড়ে ওমিক্রনের বাড়বাড়ন্তের ফলে তৈরি হতে পারে করোনার আরও নিত্য-নতুন প্রজাতির। আর সেই সব প্রজাতি বেশ বিপজ্জনক ভাবে করোনার ঝুঁকি বৃদ্ধি করবে বলেই মত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার।
'হু' কর্মকর্তার বক্তব্য
ইউরোপে এক আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে 'হু'এর এক শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা ক্যাথরিন স্মলউড নিজের বক্তব্যের মাধ্যমে জানিয়েছেন, ওমিক্রনের এই ক্রমবর্ধমান সংক্রমণের হার বিপরীত প্রভাব ফেলতে পারে জনজীবনে। তিনি বলেছেন, ওমিক্রন যত বেশি ছড়াবে তত বেশি নতুন পার্টিকল তৈরি করার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাবে। ওমিক্রন এই মুহূর্তে ডেল্টার থেকে কম ঝুঁকিপূর্ণ ঠিকই। কিন্তু হতেই পারে যে ওমিক্রন থেকে উৎপন্ন পরবর্তী প্রজাতির করোনা ভাইরাসের প্রভাব খুব বেশি হবে। তাই ওমিক্রনের এই বাড়বাড়ন্তকে মোটেই ভালো চোখে দেখছেননা স্মলউড।
ইউরোপে করোনার প্রভাব
করোনা বিশ্বজুড়ে মহামারীর আকার ধারণ করার পর ২০২০ ও ২০২১ সাল পর্যন্ত প্রায় ১০০ মিলিয়নেরও বেশি কোভিড কেস নথিভুক্ত করা হয়েছে ইউরোপে। যার মধ্যে ২০২১ সালের শেষ সপ্তাহে ৫ মিলিয়নেরও বেশি নতুন কেস সামনে এসেছে গোটা মহাদেশ থেকে, যা রীতিমত চিন্তা বাড়িয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার। এর মধ্যে সবথেকে বেশি প্রভাব পড়েছে ব্রিটেনে। রানির দেশে এই মুহূর্তে ২লাখ নতুন সংক্রমণের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে যা এখনও পর্যন্ত সবথেকে বেশি।
যদিও ওমিক্রন এই মুহূর্তে দাবানলের মত গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের ধারনা ওমিক্রন যেহেতু খুব একটা গুরুতর প্রভাব ফেলছেনা মানুষের শরীরে, তাই এটি প্রাথমিকভাবে আশঙ্কার চেয়ে অনেক কম গুরুতর বলে মনে হচ্ছে। ওমিক্রনের উপসর্গগুলিও আগের অন্যান্য প্রজাতির থেকে অপেক্ষাকৃত কম তাই এর থাবা কাটিয়ে খুব দ্রুত স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরবে পৃথিবী।
১৪ দিন নয়, কমল আইসোলেশনের সময়সীমা? করোনা সংক্রমিতদের জন্য নতুন গাইডলাইন জারি কেন্দ্রের