প্রয়াত প্রেসিডেন্ট শেখ খালিফা বিন জায়েদ আল নাহইয়ান, শোকস্তব্ধ বিশ্ব
প্রয়াত সংযুক্ত আরব আমীরশাহির প্রেসিডেন্ট শেখ খালিফা বিন জায়েদ আল নাহইয়ান। শুক্রবার আমীরশাহির সংবাদসংস্থা WAM -এ এই রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। আবু ধাবি এমিরেটের শাসকও ছিলেন তিনি। সংবাদ সংস্থা WAM জানিয়েছে, শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের মৃত্যুতে স্থানীয় মানুষ, গোটা আরব, ইসলামিক জনজাতির মানুষ সমবেদনা জানিয়েছে।

মৃত্যুকালে আরবের প্রেসিডেন্টের বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। শুধু তাই নয়, এই ঘটনায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
২০০৪ সালের ৩ নভেম্বর থেকে সংযুক্ত আরব আমীর শাহির প্রেসিডেন্ট ছিলেন শেখ খলিফা বিন জায়েদ নাহইয়ান। খলিজ টাইমসে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুসারে বিন জায়েদ নাহইয়ানের মৃত্যুতে সে দেশে ৪০ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে। অর্ধনমিত রাখা হচ্ছে জাতীয় পতাকা। দেশের বিভিন্ন সরকারি বিভাগ ও স্থানীয় সংস্থাগুলির কাজকর্ম শুক্রবার থেকেই স্থগিত থাকছে।
নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করতে ৩০ দিন সময় লেগে যাবে। ততদিন পর্যন্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব সামলাবেন ভাইস প্রেসিডেন্ট শেখ মহম্মদ বিন রশিদ-আল-মাকতুম। এতদিন তিনি ছিলেন দুবাইয়ের শাসক। খলিফার জন্ম ১৯৪৮ সালে। ২০০৪ সালে তিনি ক্ষমতায় আসেন। সংযুক্ত আরব আমীরশাহির মধ্যে সবথেকে ধনী এমিরেট আবু ধাবির শাসক হন তিনি। মনে করা হচ্ছে, আবুধাবির শাসক হিসেবে শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল-নাহিয়ানের উত্তরসূরী হতে পারেন তার সৎ ভাই ক্রাউন প্রিন্স শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল-নাহিয়ান।
২০১৪ সালে স্ট্রোক হওয়ার পর থেকে শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ানকে প্রকাশ্যে খুব একটা দেখা যেত না। সেই সময় মূলত দেশ শাসন করছিলেন তাঁর সৎ ভাই শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল-নাহিয়ান। আ
শেখ খলিফা প্রেসিডেন্ট হিসাবে তার শাসনের প্রথম দিকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের কেন্দ্রীয় সরকার এবং আবুধাবি সরকার উভয় ক্ষেত্রেই নকে নতুন কাজ করেছিলেন। স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে তাকে জনসমক্ষে খুব একটা দেখা না গেলেও নানা বিষয়ে নির্দেশ দিতেন তিনি।