সুস্থ মানুষের শরীরে কোভিড–১৯ ভাইরাস প্রবেশ করিয়ে নতুন ভ্যাকসিনের ট্রায়াল ব্রিটেনে
লন্ডনের কোয়ারেন্টান অঞ্চলে 'কোভিড–১৯ হিউম্যান চ্যালেঞ্জ ট্রায়াল’ আগামী বছরের জানুয়ারি মাসে হওয়ার কথা রয়েছে, এই ট্রায়ালে যোগ দেওয়ার জন্য ২০০০ জন ইতিমধ্যেই ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। এই ট্রায়ালে যোগ্যতা অর্জনের আগে নিয়ন্ত্রিত পরিস্থিতিতে স্বেচ্ছাসেবকদের সার্স–কোভ–২ ভাইরাসের ডোজ দেওয়ার আগে পরীক্ষামূলক ভ্যাকসিন শরীরে ইঞ্জেকশন করে প্রবেশ করানো হবে। যদিও ব্রিটেন সরকারের পক্ষ থেকে এই ট্রায়ালে অংশগ্রহণকারী ভ্যাকসিনটির নাম প্রকাশ করা হয়নি।

এক আন্তর্জাতিক সংবাদপত্রের রিপোর্ট অনুযায়ী, ব্রিটেন সরকার হয়ত বিশ্বে প্রথম যারা এই ভ্যাকসিনের ট্রায়ালের জন্য সুস্থ স্বেচ্ছাসেবকদের শরীরে করোনা ভাইরাসের ডোজ প্রবেশ করাচ্ছে ইচ্ছাকৃতভাবে। রিপোর্টে বলা হয়েছে যে এই পদক্ষেপের লক্ষ্য হল যে ভ্যাকসিনের এই প্রার্থী কতটা ভাইরাসের ওপর কার্যকর তা দেখার। যদিও ব্রিটিশ ওষুধ প্রস্তুতকারক অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও ফরাসি ফার্ম স্যানেফি এরা উভয়ই স্বীকার করেছে যে তাদের ভ্যাকসিন প্রার্থী এই কার্যক্রমে যুক্ত নয়।
জানা গিয়েছে, ১ ডে সুনার নামে মার্কিন উপদে্টার দল যারা কোভিড–১৯–এর ইনফেকশন ট্রায়ালসের প্রচার চালাচ্ছে, তারা ব্রিটিশ সংসদে ১০০ থেকে ২০০ জম অংশগ্রহণকারীকে কোয়ারেন্টাইনে রাখার জন্য কনটেইনমেন্ট সুবিধা দেওয়ার জন্য তহবিল চেয়েছে। তবে এই গবেষণার নেতৃত্বে থাকা লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজ এই সমীক্ষা সম্পর্কে কোনও কিছু নিশ্চিত করে জানায়নি। এই চ্যালেঞ্জ ট্রায়াল হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে এক মুখপাত্র বলেন, 'কোভিড–১৯ গবেষণা নিয়ে ইম্পেরিয়াল ক্রমাগত বিভিন্ন অংশীদারদের সঙ্গে বিস্তৃত অনুসন্ধানমূলক আলোচনায় জড়িত রয়েছে। এই পর্যায়ে এসে আমরা পরবর্তী বিষয়টি নিয়ে কিছুই বলতে পারি না।’ তবে যে কোনও কোভড–১৯ চ্যালেঞ্জ ট্রায়ালকে ইউকে মেডিসিন ও স্বাস্থ্যসংক্রান্ত পণ্য রেগুলেটরি এজেন্সি (এমএইচআরএ) ও স্বতন্ত্র গবেষণা এথিক্স কমিটি থেকে অনুমোদন পেতে হবে।
এমএইচআরএ বলে, 'ভ্যাকসিনের বিকাশের জন্য মানব চ্যালেঞ্জ ট্রায়াল যথেষ্ট সহায়তাপূর্ণ এবং ক্লিনিক্যাল কার্যক্ষমতার প্রাথমিক প্রমাণ সরবরাহ করতে পারে। বিশেষ করে যখন জনসংখ্যায় সংক্রমণের হার কম রয়েছে।’ এমএইচআরএ আরও বলে, 'এই ট্রায়ালে অংশগ্রহণকারীদের সুরক্ষা আমাদের শীর্ষ অগ্রাধিকার এবং মানব সংক্রমণ চ্যালেঞ্জ ট্রায়ালে যদি কেউ প্রস্তাব দিতে চান তবে তা ঝুঁকির ভিত্তিতে গ্রহণ করা হবে।