মে মাসের শেষে 'কোভিড শূন্য' পর্যায়ে পৌঁছতে আরও কড়া লকডাউন সাংহাইতে
টানা আড়াই বছর ধরে মারণ কোভিড ১৯ ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করছে গোটাবিশ্ব৷ টিকা আবিষ্কার হয়ে গিয়েছে, বহু দেশ বুস্টার ডোজও দিতে শুরু করে দিয়েছে। প্রথমে ভাবা হচ্ছিল, এই বুঝি অতিমারির শেষ! তবে ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে কোভিড সংক্রমণ। গত ক'মাস থেকেই চিনের সাংহাই প্রদেশে হু-হু করে বাড়ছিল আক্রান্তের সংখ্যা। সংক্রমণ রুখতে কঠোর লকডাউন ঘোষণা করেছিল প্রশাসন৷ এবার সেই বিধিনিষেধ আরও কঠোর করার পথে হাঁটল সরকার।

লক্ষ্য 'জিরো কোভিড'!
সূত্রের খবর, মে মাসের শেষ অবধি সাংহাইকে কোভিডশূন্য করতে করতে চাইছে সরকার। সেই কারনেই কঠোর লকডাউনের বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছিল। আক্রান্ত ব্যক্তিদের রাখা হচ্ছিল কোয়ারেন্টাইনে। এবার সেই ব্যক্তিদের ঘনিষ্ঠদেরও সেন্ট্রাল কোয়ারেন্টাইনে এনে রাখার চেষ্টা করছে সরকার৷

সুফল মিলছে কড়া লকডাউনের!
কঠোর লকডাউনের সুফলও মিলছে হাতেনাতে। দেখা যাচ্ছে, লকডাউন ঘোষণা করার পর থেকে কমেছে আক্রান্তের সংখ্যা। তবে এই কঠোর বিধিনিষেধের ফলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। বহু বাসিন্দা জানিয়েছেন, তাদের কোভিড পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ আসা সত্ত্বেও কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বাধ্য করেছে প্রশাসন!

অতিরিক্ত কড়াকড়ি সমস্যায় ফেলছে সাধারণ মানুষকে!
কোনও বহুতলে একজন কোভিড আক্রান্ত হলে সেই বহুতলের বাকিদেরও কোয়ারেন্টাইনে রাখা হচ্ছে। বহু বাসিন্দারা আবার বলেন, শনিবার তাঁদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আগামী এক সপ্তাহের জন্য কোনও রকম দ্রব্যের ডেলিভারি নিতে পারবেন না তাঁরা। এই প্রসঙ্গে সাংহাই প্রশাসনকে প্রশ্ন করা হলে তারা উত্তর দিতে চায়নি।

প্রতিদিন এক হাজার আক্রান্ত করোনায়!
দিনে প্রায় হাজার জন করে আক্রান্ত হচ্ছে সাংহাই প্রদেশে৷ সেখানের ১৬ টি জেলায় আজ্রান্তের হার ভিন্ন ভিন্ন। লকডাউনের ফলে আক্রান্তের সংখ্যা কমতে শুরু করলেও তা এখনও শূন্যতে ঠেকেনি। প্রশাসন এর আগে জানিয়েছিল ২০ এপ্রিল অবধি নিয়ন্ত্রণে এসে যাবে সংক্রমণ। তবে তার দু'সপ্তাহ পরেও মাত্র দু'টি জেলায় এমনটা সম্ভব হয়েছে৷
টসের মাধ্যমে নির্ধারিত হল নির্বাচনে হার-জিৎ, এমনই চমকপ্রদ ঘটনা ঘটল ইংল্যান্ডে